২৭ জুলাই ২০২৫, রবিবার, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচন কমিশনে অরুণ গোয়েলের দ্রুত নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট ও কেন্দ্রের মধ্যে দ্বন্দ্ব অব্যাহত

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৪ ডিসেম্বর ২০২২, রবিবার
  • / 36

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক  : গত ১৯ নভেম্বর অবসরপ্রাপ্ত পঞ্জাব-ক্যাডার আইএএস অফিসার অরুণ গোয়েলকে নির্বাচন কমিশনার হিসাবে নিয়োগ নিয়ে দেশে একটি বিতর্ক জন্ম নিয়েছে। এক দিনেই নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েলের নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়েছে কেন্দ্র সরকার।

সুপারিশে পাঠানো চারটি নামের মধ্যে কিসের ভিত্তিতে মাত্র একটি নাম নির্বাচন করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে আদালত। শুনানির সময়, অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছিলেন যে এই নামগুলি শর্টলিস্ট করার জন্য বেশ কয়েকটি কারণ দেখা হয়েছে, যেমন কর্মকর্তাদের সিনিয়রিটি, অবসর গ্রহণ এবং নির্বাচন কমিশনে তাদের মেয়াদ।

আরও পড়ুন: মাহমুদাবাদ মামলা: তদন্তে দেরি নিয়ে সিটকে ভর্ৎসনায় করল সুপ্রিম কোর্ট

সুপ্রিম কোর্ট অরুণ গোয়েলের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছে কিভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সম্পূর্ণ হল? সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়ে আদালতকে কিছুই জানানো হয়নি।

আরও পড়ুন: ‘উদয়পুর ফাইলস’ মামলা: কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় শীর্ষ আদালত

উল্লেখ্য, গোয়েল কেন্দ্রীয় ভারী শিল্প মন্ত্রকের সচিব ছিলেন। নির্বাচন কমিশনার হিসাবে নিযুক্ত হওয়ার একদিন আগে ১৮ নভেম্বর স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেছিলেন। অবসরের পরেই ১৯ নভেম্বর অরুণ গোয়েল নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত হন। নিয়োগের দুদিন পরেই ২১ নভেম্বর তিনি কমিশনে যোগ দেন।
এত তাড়াহুড়ো করে নির্বাচন কমিশনে অরুণ গোয়েলের নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ে কেন্দ্র সরকার। গত ২৩ নভেম্বর শীর্ষ আদালত নিয়োগ প্রক্রিয়া সংক্রান্ত আসল নথি আদালতে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়। সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্র সরকারকে প্রশ্ন করে কোন প্রক্রিয়ায় অরুণ গোয়েলকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দিল তা আদালত জানতে চায়।

আরও পড়ুন: বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধন ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা, শুনানি ১০ জুলাই

বিচারপতি কে এম জোসেফ বলেন,  আদালত একজন ‘ইয়েস ম্যান’ নিয়োগের বিষয়ে উদ্বিগ্ন। সেই সঙ্গে বিচারপতি জানান, শত শত লোকের ডেটা থেকে চারটি নাম বাছাই করার ভিত্তি কী? আবেদনকারীর পক্ষে গোয়েলের নিয়োগের বিষয়টি আদালতে তোলেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। আদালতে আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ বলেন, অরুণ গোয়েল একজন ভারী শিল্প মন্ত্রকের সচিব ছিলেন। শুক্রবার স্বেচ্ছায় অবসর নেওয়ার পরে, শনিবার তিনি নিয়োগ পেলেন, সোমবার থেকেই তিনি নির্বাচন কমিশনে কাজ শুরু করে দিলেন। আইনজীবী ভূষণ বলেছিলেন যে তিনি নিয়োগের বিষয়ে একটি আবেদন করেছিলেন এবং আদালত বিষয়টি শুনানি করছে, তবুও সরকার নিয়োগ করেছে। আদালতে আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন কিভাবে মাত্র একদিনের মধ্যে কেন্দ্র সরকার কাউকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ করতে পারেন?

উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনার এবং মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে কলেজিয়ামের মতো প্রক্রিয়ার আর্জি জানিয়ে যে একগুচ্ছ মামলা দায়ের হয়। সেই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ জানিয়েছে, ১৯৮৫ ব্যাচের আইএএস অফিসার অরুণ গোয়েল (পঞ্জাব ক্যাডারের) স্বেচ্ছাবসর গ্রহণ করেছিলেন। যিনি দীর্ঘদিন কেন্দ্রীয় সরকারের সচিব পদে কর্মরত ছিলেন। অবসরগ্রহণের একদিনের মধ্যেই তাঁর ফাইল ছেড়ে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক। একদিনের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চারজনের নাম পেশ করা হয়েছিল। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রাষ্ট্রপতির অনুমোদন মিলেছিল।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

নির্বাচন কমিশনে অরুণ গোয়েলের দ্রুত নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট ও কেন্দ্রের মধ্যে দ্বন্দ্ব অব্যাহত

আপডেট : ৪ ডিসেম্বর ২০২২, রবিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক  : গত ১৯ নভেম্বর অবসরপ্রাপ্ত পঞ্জাব-ক্যাডার আইএএস অফিসার অরুণ গোয়েলকে নির্বাচন কমিশনার হিসাবে নিয়োগ নিয়ে দেশে একটি বিতর্ক জন্ম নিয়েছে। এক দিনেই নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েলের নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়েছে কেন্দ্র সরকার।

সুপারিশে পাঠানো চারটি নামের মধ্যে কিসের ভিত্তিতে মাত্র একটি নাম নির্বাচন করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে আদালত। শুনানির সময়, অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছিলেন যে এই নামগুলি শর্টলিস্ট করার জন্য বেশ কয়েকটি কারণ দেখা হয়েছে, যেমন কর্মকর্তাদের সিনিয়রিটি, অবসর গ্রহণ এবং নির্বাচন কমিশনে তাদের মেয়াদ।

আরও পড়ুন: মাহমুদাবাদ মামলা: তদন্তে দেরি নিয়ে সিটকে ভর্ৎসনায় করল সুপ্রিম কোর্ট

সুপ্রিম কোর্ট অরুণ গোয়েলের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছে কিভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সম্পূর্ণ হল? সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়ে আদালতকে কিছুই জানানো হয়নি।

আরও পড়ুন: ‘উদয়পুর ফাইলস’ মামলা: কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় শীর্ষ আদালত

উল্লেখ্য, গোয়েল কেন্দ্রীয় ভারী শিল্প মন্ত্রকের সচিব ছিলেন। নির্বাচন কমিশনার হিসাবে নিযুক্ত হওয়ার একদিন আগে ১৮ নভেম্বর স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেছিলেন। অবসরের পরেই ১৯ নভেম্বর অরুণ গোয়েল নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত হন। নিয়োগের দুদিন পরেই ২১ নভেম্বর তিনি কমিশনে যোগ দেন।
এত তাড়াহুড়ো করে নির্বাচন কমিশনে অরুণ গোয়েলের নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ে কেন্দ্র সরকার। গত ২৩ নভেম্বর শীর্ষ আদালত নিয়োগ প্রক্রিয়া সংক্রান্ত আসল নথি আদালতে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়। সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্র সরকারকে প্রশ্ন করে কোন প্রক্রিয়ায় অরুণ গোয়েলকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দিল তা আদালত জানতে চায়।

আরও পড়ুন: বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধন ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা, শুনানি ১০ জুলাই

বিচারপতি কে এম জোসেফ বলেন,  আদালত একজন ‘ইয়েস ম্যান’ নিয়োগের বিষয়ে উদ্বিগ্ন। সেই সঙ্গে বিচারপতি জানান, শত শত লোকের ডেটা থেকে চারটি নাম বাছাই করার ভিত্তি কী? আবেদনকারীর পক্ষে গোয়েলের নিয়োগের বিষয়টি আদালতে তোলেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। আদালতে আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ বলেন, অরুণ গোয়েল একজন ভারী শিল্প মন্ত্রকের সচিব ছিলেন। শুক্রবার স্বেচ্ছায় অবসর নেওয়ার পরে, শনিবার তিনি নিয়োগ পেলেন, সোমবার থেকেই তিনি নির্বাচন কমিশনে কাজ শুরু করে দিলেন। আইনজীবী ভূষণ বলেছিলেন যে তিনি নিয়োগের বিষয়ে একটি আবেদন করেছিলেন এবং আদালত বিষয়টি শুনানি করছে, তবুও সরকার নিয়োগ করেছে। আদালতে আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন কিভাবে মাত্র একদিনের মধ্যে কেন্দ্র সরকার কাউকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ করতে পারেন?

উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনার এবং মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে কলেজিয়ামের মতো প্রক্রিয়ার আর্জি জানিয়ে যে একগুচ্ছ মামলা দায়ের হয়। সেই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ জানিয়েছে, ১৯৮৫ ব্যাচের আইএএস অফিসার অরুণ গোয়েল (পঞ্জাব ক্যাডারের) স্বেচ্ছাবসর গ্রহণ করেছিলেন। যিনি দীর্ঘদিন কেন্দ্রীয় সরকারের সচিব পদে কর্মরত ছিলেন। অবসরগ্রহণের একদিনের মধ্যেই তাঁর ফাইল ছেড়ে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক। একদিনের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চারজনের নাম পেশ করা হয়েছিল। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রাষ্ট্রপতির অনুমোদন মিলেছিল।