০৭ মে ২০২৫, বুধবার, ২৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হজ ট্যুর অপারেটরদের নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দিল্লি হাইকোর্টের

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৮ জুন ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 18

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ভারত থেকে এ বছরের হজযাত্রা নিয়ে বার বার প্রশ্ন উঠছে কেন্দ্রের হজ কমিটি, সংখ্যালঘু মন্ত্রকের বিরুদ্ধে। হজযাত্রীদের বিমান, হোটেল পরিষেবা, আরোহণ কেন্দ্র ভেদে হজের খরচের বিশাল তারতম্য অসন্তোষ তৈরি করেছে দেশের মুসলিমদের মধ্যে।

 ৩-৫ লক্ষ টাকা খরচ করে হজে যাচ্ছেন মুসলিমরা। তারপরও সঠিক পরিষেবা দিতে ব্যর্থ স্মৃতি ইরানির মন্ত্রক। এই অপারগতার পাশাপাশি কেন্দ্র এ বছর বেশকিছু হজ ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন ও হজ কোটা সাসপেন্ড করে দিয়েছিল। বেনজি ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস, আল রিফাই হজ-উমরাহ সার্ভিসের মতো বেশকিছু হজ সংগঠকদের বিরুদ্ধে পরিষেবা-সংক্রান্ত অভিযোগ তুলে কেন্দ্র তাদের হজ কোটা সাসপেন্ড করে। তখন এই সমস্ত হজ ট্যুর অপারেটরগুলি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। সেই মামলার শুনানিতে দিল্লি হাইকোর্ট ট্যুর অপারেটরগুলির রেজিস্ট্রেশন ও হজ কোটা সাসপেনশনের উপরে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। ফলে তারা এবার নিজেদের কার্যক্রম পুনরায় শুরু করতে পারবে এবং হজযাত্রীদের হজে পাঠাতে পারবে বলে জানা গেছে। দিল্লি হাইকোর্ট এদিন জানিয়েছে, দেশের সংবিধানের ২৫ নং অনুচ্ছেদে ধর্মীয় অনুশীলনের অধিকার রক্ষিত হয়েছে। হজ একটি ধর্মীয় অনুশীলন। এটা বন্ধ করতে পারে না কেন্দ্র। হজে যাওয়া মৌলিক অধিকার। এটা কোনও ছুটি নয়।

বিচারপতি চন্দ্রধারী সিংয়ের বেঞ্চ ১৩টির বেশি হজ ট্যুর অপারেটরের আবেদনের শুনানি করেন এদিন। তিনি বলেন, এভাবে হজ সংগঠকদের উপর সাসপেনশন জারি রেখে হজযাত্রায় যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ হচ্ছে। যারা এই সমস্ত ট্যুর অপারেটরদের মাধ্যমে হজে যাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন, তারা এখন কী করবেন? হজযাত্রীরা আগাম অর্থও দিয়েছেন। তাই তাদের হজযাত্রা যাতে কোনওভাবে বিঘ্নিত না হয়, সেই ব্যবস্থা করতে হবে কেন্দ্রকে। এই অপারেটরগুলি কেন হজ পরিষেবার ক্ষেত্রে কেন্দ্রের শর্ত পূরণ করতে পারেনি, তার কারণ খুঁজতে কেন্দ্র এদেরকে শো-কজ করতে পারে বলে আদালত জানিয়েছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

হজ ট্যুর অপারেটরদের নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দিল্লি হাইকোর্টের

আপডেট : ৮ জুন ২০২৩, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ভারত থেকে এ বছরের হজযাত্রা নিয়ে বার বার প্রশ্ন উঠছে কেন্দ্রের হজ কমিটি, সংখ্যালঘু মন্ত্রকের বিরুদ্ধে। হজযাত্রীদের বিমান, হোটেল পরিষেবা, আরোহণ কেন্দ্র ভেদে হজের খরচের বিশাল তারতম্য অসন্তোষ তৈরি করেছে দেশের মুসলিমদের মধ্যে।

 ৩-৫ লক্ষ টাকা খরচ করে হজে যাচ্ছেন মুসলিমরা। তারপরও সঠিক পরিষেবা দিতে ব্যর্থ স্মৃতি ইরানির মন্ত্রক। এই অপারগতার পাশাপাশি কেন্দ্র এ বছর বেশকিছু হজ ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন ও হজ কোটা সাসপেন্ড করে দিয়েছিল। বেনজি ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস, আল রিফাই হজ-উমরাহ সার্ভিসের মতো বেশকিছু হজ সংগঠকদের বিরুদ্ধে পরিষেবা-সংক্রান্ত অভিযোগ তুলে কেন্দ্র তাদের হজ কোটা সাসপেন্ড করে। তখন এই সমস্ত হজ ট্যুর অপারেটরগুলি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। সেই মামলার শুনানিতে দিল্লি হাইকোর্ট ট্যুর অপারেটরগুলির রেজিস্ট্রেশন ও হজ কোটা সাসপেনশনের উপরে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। ফলে তারা এবার নিজেদের কার্যক্রম পুনরায় শুরু করতে পারবে এবং হজযাত্রীদের হজে পাঠাতে পারবে বলে জানা গেছে। দিল্লি হাইকোর্ট এদিন জানিয়েছে, দেশের সংবিধানের ২৫ নং অনুচ্ছেদে ধর্মীয় অনুশীলনের অধিকার রক্ষিত হয়েছে। হজ একটি ধর্মীয় অনুশীলন। এটা বন্ধ করতে পারে না কেন্দ্র। হজে যাওয়া মৌলিক অধিকার। এটা কোনও ছুটি নয়।

বিচারপতি চন্দ্রধারী সিংয়ের বেঞ্চ ১৩টির বেশি হজ ট্যুর অপারেটরের আবেদনের শুনানি করেন এদিন। তিনি বলেন, এভাবে হজ সংগঠকদের উপর সাসপেনশন জারি রেখে হজযাত্রায় যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ হচ্ছে। যারা এই সমস্ত ট্যুর অপারেটরদের মাধ্যমে হজে যাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন, তারা এখন কী করবেন? হজযাত্রীরা আগাম অর্থও দিয়েছেন। তাই তাদের হজযাত্রা যাতে কোনওভাবে বিঘ্নিত না হয়, সেই ব্যবস্থা করতে হবে কেন্দ্রকে। এই অপারেটরগুলি কেন হজ পরিষেবার ক্ষেত্রে কেন্দ্রের শর্ত পূরণ করতে পারেনি, তার কারণ খুঁজতে কেন্দ্র এদেরকে শো-কজ করতে পারে বলে আদালত জানিয়েছে।