১০ মে ২০২৫, শনিবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এবার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে রাজ্যপাল

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৩ এপ্রিল ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 18

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের  পর এবার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করে।

বিশেষ করে দিন কয়েক আগেই রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে পাঠানো তাঁর আর্থিক লেনদেন বিষয়ক নির্দেশিকার সঙ্গে এই পরিদর্শনের ঘটনাটিকে জুড়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল, তবে কি রাজ্যপাল বোঝাতে চাইছেন, বাকিদের মতো তিনি স্রেফ রাজভবনে বসে থেকে নিজের দায়িত্ব পালন করবেন না? এই জল্পনার মধ্যেই খাঁ খাঁ রোদে প্রেসিডেন্সিতে চমক পরিদর্শনে পৌঁছে গেলেন রাজ্যপাল।

রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসাবে তাঁর এই ‘হঠাৎ সক্রিয়তা’ কেন, তার কারণ খুঁজতে শুরু হয়েছে আলোচনাও। এর মধ্যেই বুধবার বারাসত বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন আচার্য আনন্দ বোস। বৃহস্পতিবার তিনি পৌঁছে গেলেন প্রেসিডেন্সিতেও।

বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ রাজ্যপালের কনভয় গিয়ে থামে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে প্রথমেই বেকার বিল্ডিংয়ে যান রাজ্যপাল, সেখানে শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেন। শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, আলোচনায় অনুপ্রেরণাদায়ী একটি ভাষণ দিয়েছেন রাজ্যপাল। একই সঙ্গে জানতে চেয়েছেন বিজ্ঞান সংক্রান্ত বিষয়য়ে। পরে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গেও দেখা করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন আচার্য আনন্দ বোস।

উল্লেখ্য, সোমবার দিল্লি থেকে কলকাতা ফিরে রাজভবনে না ঢুকে সোজা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। পরে রাজভবনে ফিরে দুপুর ৩টে নাগাদ আবার সেখানে যান তিনি।

 এদিকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যপাল যাওয়ার পর সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে রাজ্যপালকে দেখে  গো ব্যাক স্লোগানও দিতে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।  এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগে আদালতের নির্দেশ রয়েছে। উপাচার্য গঠনে ইউজিসির প্রতিনিধি  অন্তর্ভুক্তিকরণের জন্য আদালত রায় দিয়েছে। একই সঙ্গে জাতীয় শিক্ষানীতি লাগু করার জন্য রাজ্যগুলিকে অনুরোধ করেছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। সেই নিরিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে রাজ্য শিক্ষা দফতরের  উদ্যোগে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সেই কমিটির তরফে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কাছ থেকে চার বছরের স্নাতক কোর্স চালু করার বিষয়ে মতামতও জানতে চাওয়া হয়েছে। এদিকে রাজ্যপাল তথা আচার্য জাতীয় শিক্ষা নীতি কার্যকর করার বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব নিতেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পরিদর্শন শুরু করেছে বলে মনে করছে শিক্ষা মহল।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

এবার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে রাজ্যপাল

আপডেট : ১৩ এপ্রিল ২০২৩, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের  পর এবার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করে।

বিশেষ করে দিন কয়েক আগেই রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে পাঠানো তাঁর আর্থিক লেনদেন বিষয়ক নির্দেশিকার সঙ্গে এই পরিদর্শনের ঘটনাটিকে জুড়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল, তবে কি রাজ্যপাল বোঝাতে চাইছেন, বাকিদের মতো তিনি স্রেফ রাজভবনে বসে থেকে নিজের দায়িত্ব পালন করবেন না? এই জল্পনার মধ্যেই খাঁ খাঁ রোদে প্রেসিডেন্সিতে চমক পরিদর্শনে পৌঁছে গেলেন রাজ্যপাল।

রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসাবে তাঁর এই ‘হঠাৎ সক্রিয়তা’ কেন, তার কারণ খুঁজতে শুরু হয়েছে আলোচনাও। এর মধ্যেই বুধবার বারাসত বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন আচার্য আনন্দ বোস। বৃহস্পতিবার তিনি পৌঁছে গেলেন প্রেসিডেন্সিতেও।

বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ রাজ্যপালের কনভয় গিয়ে থামে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে প্রথমেই বেকার বিল্ডিংয়ে যান রাজ্যপাল, সেখানে শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেন। শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, আলোচনায় অনুপ্রেরণাদায়ী একটি ভাষণ দিয়েছেন রাজ্যপাল। একই সঙ্গে জানতে চেয়েছেন বিজ্ঞান সংক্রান্ত বিষয়য়ে। পরে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গেও দেখা করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন আচার্য আনন্দ বোস।

উল্লেখ্য, সোমবার দিল্লি থেকে কলকাতা ফিরে রাজভবনে না ঢুকে সোজা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। পরে রাজভবনে ফিরে দুপুর ৩টে নাগাদ আবার সেখানে যান তিনি।

 এদিকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যপাল যাওয়ার পর সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে রাজ্যপালকে দেখে  গো ব্যাক স্লোগানও দিতে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।  এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগে আদালতের নির্দেশ রয়েছে। উপাচার্য গঠনে ইউজিসির প্রতিনিধি  অন্তর্ভুক্তিকরণের জন্য আদালত রায় দিয়েছে। একই সঙ্গে জাতীয় শিক্ষানীতি লাগু করার জন্য রাজ্যগুলিকে অনুরোধ করেছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। সেই নিরিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে রাজ্য শিক্ষা দফতরের  উদ্যোগে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সেই কমিটির তরফে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কাছ থেকে চার বছরের স্নাতক কোর্স চালু করার বিষয়ে মতামতও জানতে চাওয়া হয়েছে। এদিকে রাজ্যপাল তথা আচার্য জাতীয় শিক্ষা নীতি কার্যকর করার বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব নিতেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পরিদর্শন শুরু করেছে বলে মনে করছে শিক্ষা মহল।