০২ মে ২০২৫, শুক্রবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইরাকে সন্ত্রাসী কুর্দ-বিরোধী অভিযান শুরু তুরস্কের

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০২২, সোমবার
  • / 10

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ এপ্রিল­ ইরাকের মাটিতে সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান শুরু করল তুরস্কের সেনাবাহিনী। উদ্দেশ্য, কুর্দ সন্ত্রাসীদের বা কুর্দিস্তান ওয়ার্কাস পার্টির সদস্যদের নিষ্ক্রিয় করে তুর্কি সীমান্তকে সুরক্ষিত রাখা। তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রক জানিয়েছে, বিমান, হেলিকপ্টার, ড্রোন সহযোগে পিকেকে-র সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে হামলা চালানো হচ্ছে। ইরাকের উত্তরের অঞ্চলগুলিতে পিকেকে সন্ত্রাসীদের দাপট বেশি থাকায় সেখানে পাঠানো হয়েছে তুরস্কের পদাতিক বাহিনীকে। সোমবার সকালে এই অভিযান শুরুর কথা নিশ্চিত করেন তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকার। তুরস্কের দাবি, ইতিমধ্যেই ইরাকের সীমান্তবর্তী মেটিনা, জাপ, আভাশিন ও বাসিয়ানের মতো অঞ্চলে অবস্থিত পিকেকে-র কয়েকটি বাঙ্কার, সুড়ঙ্গ ও অস্ত্রাগার ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। তবে তুরস্কের তরফে অভিযান পরিচালনাকারী সেনাদের সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি। তুর্কি প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অভিযান পরিকল্পনামতো চলছে। প্রথম পর্যায়ের লক্ষ্যপূরণ হয়েছে।’ আরও বলা হয়, তুরস্ক কেবলমাত্র সন্ত্রাসীদের ডেরাতে আক্রমণ চালাচ্ছে, জনবসতিতে নয়। ইরাকের ঐতিহাসিক স্থানগুলি যাতে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকেও নজর রাখছে আঙ্কারা।

 

প্রতিরক্ষামন্ত্রী আকার বলেন, সর্বশেষ সন্ত্রাসীকে হত্যা করা পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে।’ উল্লেখ্য, পিকেকে হল ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চলের একটি রাজনৈতিক ও সন্ত্রাসী দল। ১৯৮৪ সাল থেকে কুর্দরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। সে থেকেই তুরস্কের সঙ্গে কুর্দ সন্ত্রাসীদর যুদ্ধ অব্যাহত। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নামে ইরাকে পিকেকে বিরোধী অভিযান চালিয়েছে তুরস্ক। এই পিকেকে গোষ্ঠীকে আমেরিকা, ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন সন্ত্রাসী তালিকায় রেখেছে। যদিও সিরিয়া ও ইরাকে আইএস বিরোধী যুদ্ধে আমেরিকার সঙ্গে জোট বেধে রয়েছে কুর্দরা। এর ফলে সিরিয়া ও ইরাকের কুর্দ অধ্যুষিত অঞ্চলগুলিতে সামরিক অস্তিত্ব বজায় রাখতে পেরেছে ওয়াশিংটন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ইরাকে সন্ত্রাসী কুর্দ-বিরোধী অভিযান শুরু তুরস্কের

আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০২২, সোমবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ এপ্রিল­ ইরাকের মাটিতে সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান শুরু করল তুরস্কের সেনাবাহিনী। উদ্দেশ্য, কুর্দ সন্ত্রাসীদের বা কুর্দিস্তান ওয়ার্কাস পার্টির সদস্যদের নিষ্ক্রিয় করে তুর্কি সীমান্তকে সুরক্ষিত রাখা। তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রক জানিয়েছে, বিমান, হেলিকপ্টার, ড্রোন সহযোগে পিকেকে-র সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে হামলা চালানো হচ্ছে। ইরাকের উত্তরের অঞ্চলগুলিতে পিকেকে সন্ত্রাসীদের দাপট বেশি থাকায় সেখানে পাঠানো হয়েছে তুরস্কের পদাতিক বাহিনীকে। সোমবার সকালে এই অভিযান শুরুর কথা নিশ্চিত করেন তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকার। তুরস্কের দাবি, ইতিমধ্যেই ইরাকের সীমান্তবর্তী মেটিনা, জাপ, আভাশিন ও বাসিয়ানের মতো অঞ্চলে অবস্থিত পিকেকে-র কয়েকটি বাঙ্কার, সুড়ঙ্গ ও অস্ত্রাগার ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। তবে তুরস্কের তরফে অভিযান পরিচালনাকারী সেনাদের সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি। তুর্কি প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অভিযান পরিকল্পনামতো চলছে। প্রথম পর্যায়ের লক্ষ্যপূরণ হয়েছে।’ আরও বলা হয়, তুরস্ক কেবলমাত্র সন্ত্রাসীদের ডেরাতে আক্রমণ চালাচ্ছে, জনবসতিতে নয়। ইরাকের ঐতিহাসিক স্থানগুলি যাতে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকেও নজর রাখছে আঙ্কারা।

 

প্রতিরক্ষামন্ত্রী আকার বলেন, সর্বশেষ সন্ত্রাসীকে হত্যা করা পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে।’ উল্লেখ্য, পিকেকে হল ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চলের একটি রাজনৈতিক ও সন্ত্রাসী দল। ১৯৮৪ সাল থেকে কুর্দরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। সে থেকেই তুরস্কের সঙ্গে কুর্দ সন্ত্রাসীদর যুদ্ধ অব্যাহত। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নামে ইরাকে পিকেকে বিরোধী অভিযান চালিয়েছে তুরস্ক। এই পিকেকে গোষ্ঠীকে আমেরিকা, ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন সন্ত্রাসী তালিকায় রেখেছে। যদিও সিরিয়া ও ইরাকে আইএস বিরোধী যুদ্ধে আমেরিকার সঙ্গে জোট বেধে রয়েছে কুর্দরা। এর ফলে সিরিয়া ও ইরাকের কুর্দ অধ্যুষিত অঞ্চলগুলিতে সামরিক অস্তিত্ব বজায় রাখতে পেরেছে ওয়াশিংটন।