২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, সোমবার, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইউক্রেন শান্তি না চাইলে বলপ্রয়োগে লক্ষ্য পূরণ করবে রাশিয়া: পুতিন

 

ইউক্রেন যদি শান্তির পথে না আসে এবং সংঘাত শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানে আগ্রহ না দেখায়, তবে রাশিয়া শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমেই নিজের সব লক্ষ্য অর্জন করবে—এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা টিএএসএস সম্প্রচারিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, সামরিক পোশাকে ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে এ মন্তব্য করেন তিনি।
পুতিন বলেন, ইউক্রেন শান্তির জন্য প্রস্তুত নয়। ফলে পরিস্থিতি যেমন আছে, তাতে রাশিয়াকে সামরিক পথেই এগোতে হবে। তার এই বক্তব্য এমন এক সময়ে এলো, যখন যুদ্ধক্ষেত্রে নতুন করে তীব্রতা বাড়ছে।
এদিকে, রাশিয়ার ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পাল্টা অভিযোগ করে বলেছেন, কিয়েভ শান্তি চায়, কিন্তু রাশিয়াই যুদ্ধ চালিয়ে যেতে আগ্রহী। তিনি জানান, যুদ্ধ বন্ধের উপায় নিয়ে আলোচনা করতে আজ রোববার ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
এর মধ্যেই টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে দেওয়া এক বিবৃতিতে রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানায়, শনিবার রাশিয়ার শীর্ষ সামরিক কমান্ডাররা পুতিনকে অবহিত করেছেন যে, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ডোনেটস্ক অঞ্চলের মিরনোহরাড, রডিনস্কে ও আর্টেমিভকা শহর এবং জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের হুলিয়াইপোল ও স্টেপনোহিরস্ক রুশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
তবে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী এসব দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। হুলিয়াইপোল ও মিরনোহরাড দখলের কথা ‘মিথ্যা বিবৃতি’ বলে আখ্যা দিয়েছে কিয়েভ। ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উভয় এলাকায় পরিস্থিতি কঠিন হলেও ইউক্রেনীয় সেনারা এখনও প্রতিরক্ষামূলক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
কিয়েভের সশস্ত্র বাহিনীর দক্ষিণ কমান্ড জানিয়েছে, হুলিয়াইপোলে ভয়ানক লড়াই অব্যাহত রয়েছে। তবে শহরটির একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এখনো ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বাহিনীর দখলে রয়েছে।
যুদ্ধক্ষেত্রের এসব দাবি স্বাধীনভাবে যাচাই করা কঠিন। কারণ, উভয় পক্ষই যুদ্ধ এলাকায় প্রবেশাধিকার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে এবং ফ্রন্টলাইনের পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে।

ট্যাগ :
সর্বধিক পাঠিত

মাঝরাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ট্রেনে, অন্ধ্রপ্রদেশে পুড়ে ছাই ১৫৮ যাত্রীবোঝাই দুই কামরা

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ইউক্রেন শান্তি না চাইলে বলপ্রয়োগে লক্ষ্য পূরণ করবে রাশিয়া: পুতিন

আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, সোমবার

 

ইউক্রেন যদি শান্তির পথে না আসে এবং সংঘাত শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানে আগ্রহ না দেখায়, তবে রাশিয়া শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমেই নিজের সব লক্ষ্য অর্জন করবে—এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা টিএএসএস সম্প্রচারিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, সামরিক পোশাকে ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে এ মন্তব্য করেন তিনি।
পুতিন বলেন, ইউক্রেন শান্তির জন্য প্রস্তুত নয়। ফলে পরিস্থিতি যেমন আছে, তাতে রাশিয়াকে সামরিক পথেই এগোতে হবে। তার এই বক্তব্য এমন এক সময়ে এলো, যখন যুদ্ধক্ষেত্রে নতুন করে তীব্রতা বাড়ছে।
এদিকে, রাশিয়ার ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পাল্টা অভিযোগ করে বলেছেন, কিয়েভ শান্তি চায়, কিন্তু রাশিয়াই যুদ্ধ চালিয়ে যেতে আগ্রহী। তিনি জানান, যুদ্ধ বন্ধের উপায় নিয়ে আলোচনা করতে আজ রোববার ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
এর মধ্যেই টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে দেওয়া এক বিবৃতিতে রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানায়, শনিবার রাশিয়ার শীর্ষ সামরিক কমান্ডাররা পুতিনকে অবহিত করেছেন যে, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ডোনেটস্ক অঞ্চলের মিরনোহরাড, রডিনস্কে ও আর্টেমিভকা শহর এবং জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের হুলিয়াইপোল ও স্টেপনোহিরস্ক রুশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
তবে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী এসব দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। হুলিয়াইপোল ও মিরনোহরাড দখলের কথা ‘মিথ্যা বিবৃতি’ বলে আখ্যা দিয়েছে কিয়েভ। ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উভয় এলাকায় পরিস্থিতি কঠিন হলেও ইউক্রেনীয় সেনারা এখনও প্রতিরক্ষামূলক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
কিয়েভের সশস্ত্র বাহিনীর দক্ষিণ কমান্ড জানিয়েছে, হুলিয়াইপোলে ভয়ানক লড়াই অব্যাহত রয়েছে। তবে শহরটির একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এখনো ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বাহিনীর দখলে রয়েছে।
যুদ্ধক্ষেত্রের এসব দাবি স্বাধীনভাবে যাচাই করা কঠিন। কারণ, উভয় পক্ষই যুদ্ধ এলাকায় প্রবেশাধিকার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে এবং ফ্রন্টলাইনের পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে।