১৮ জুন ২০২৫, বুধবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

একশো দিনের কাজে গত চার বছরের বকেয়া টাকা মেটাক কেন্দ্র, দাবি মুখ্যমন্ত্রীর

চামেলি দাস
  • আপডেট : ১৮ জুন ২০২৫, বুধবার
  • / 16

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: চলতি বছরের পয়লা আগস্ট থেকে একশো দিনের কাজের টাকা পশ্চিমবঙ্গকে দিতে হবে। তদন্তের নাম করে কোনও কেন্দ্রীয় প্রকল্প অনন্তকাল ঠান্ডা ঘরে পাঠিয়ে দেওয়া যায় না।  কোনও একটি সংস্থার করা মামলার ভিত্তিতে বুধবার কেন্দ্রকে এই রায় শুনিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম।

তবে এই রায়ে কোনও ‘রেট্রোস্পেকটিভ এফেক্ট’ -এর নিদান দেওয়া ছিল না। কলকাতা হাইকোর্টের এই রায় ঘোষণা কিছুক্ষণের মধ্যেই নবান্ন থেকে সাংবাদিক সম্মেলন একশো দিনের কাজের চার বছরের বকেয়া টাকার দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব¨্যােপাধ্যায়।

বুধবার নবান্নে এরকম তড়িঘড়িই ডাকা হয় সাংবাদিক সম্মেলন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা হাইকোর্টে রিভিউ পিটিশন করব। আপনারা বাংলায় দল পাঠাচ্ছেন। আগে তো টাকা দিন। এটা জনগণের টাকা। গত চার বছর ধরে একশো দিনের খাতে একটা পয়সাও দেয়নি কেন্দ্র। একশো দিনের কাজে ৭০০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে বাংলার।

আরও পড়ুন: ‘আপনার মন্ত্রী তাঁকেও ছাড়লেন না’, কর্নেল কুরেশিকে করা বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে সবর মমতা

আদালত আগস্ট থেকে একশো দিনের কাজ শুরু করতে বলেছে। কিন্তু আমাদের টাকা আমাদের ফেরত দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। যে দিন থেকে কাজ বন্ধ হয়েছে, সে দিন থেকে হিসেব করে টাকা দিতে হবে। আমাদের টাকা কেন অন্য রাজ্যকে দেওয়া হয়েছে? এটা তো অপরাধ।

আরও পড়ুন: ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ পালনে রাজ্যকে চিঠি কেন্দ্রের, ‘আপনারা গণতন্ত্র মানেন?’ নিশানা মুখ্যমন্ত্রীর

একশো দিনের কাজের টাকা আদায়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে যে ধারাবাহিক আন্দোলন করা হয়েছে, তার ঘটনা পরম্পরা এ দিন তাঁর বক্তব্যের মধ্যে তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। একশো দিনের কাজের টাকা আদায়ের দাবিতে তৃণমূলের নেতারা দিল্লিতে গিয়ে ধর্নায় বসার সময়ে যেভাবে তাদের হেনস্থা করা হয়েছে সেসব প্রসঙ্গ তোলেন।

আরও পড়ুন: ডোলোমাইট সাইডিং ঘিরে দূষণের অভিযোগ, রেল মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

নেতাদের দেখা করার সময় দিয়েও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর দেখা না করা, যন্তর মন্তর থেকে অবস্থানে বসা তৃণমূল নেতাদের চ্যাংদোলা করে গ্রেফতার করা, তাদের বিরুদ্ধে এফ আই আর করা, দুস্থ জব কার্ড হোল্ডারদের নিয়ে দিল্লি অভিযানে ট্রেনের বুকিং বাতিল করা এইসব অবিচারের কথা নতুন করে জানান এ দিন। তিন দিন ধরে বাসে করে দিল্লি পৌঁছেছিল একশো দিনের কাজের বঞ্চিতরা। মমতা এ দিন কটাক্ষের সুরে বলেন, সেসব কথা আজ ভুলে গিয়েছে বিজেপি।

বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্র না দিলেও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার জন্য রাজ্য সরকার কর্মশ্রী প্রকল্প বিভিন্ন বিভাগে জব কার্ড হোল্ডারদের কাজ দিয়েছে। রাজ্য সরকার নিজস্ব কোষাগার থেকে একশো দিনের কাজের টাকা মিটিয়ে দিয়েছে। মমতা বলেন, একশো দিনের কাজের টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে দুর্নীতির ইস্যুতে কেন্দ্র ১৫৫ টির মতো টিম পাঠিয়েছে। সবরকমের ‘ক্ল্যারিফিকেশন’ দেওয়া সত্ত্বেও একশো দিনের কাজের টাকা দেয়নি কেন্দ্র। বুধবার হাইকোর্টের রায়ের সূত্র ধরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোরালো দাবি তুললেন আগামী আগস্ট থেকে নয়, চার বছরের বকেয়া টাকা মিটিয়ে দিতে হবে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

একশো দিনের কাজে গত চার বছরের বকেয়া টাকা মেটাক কেন্দ্র, দাবি মুখ্যমন্ত্রীর

আপডেট : ১৮ জুন ২০২৫, বুধবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: চলতি বছরের পয়লা আগস্ট থেকে একশো দিনের কাজের টাকা পশ্চিমবঙ্গকে দিতে হবে। তদন্তের নাম করে কোনও কেন্দ্রীয় প্রকল্প অনন্তকাল ঠান্ডা ঘরে পাঠিয়ে দেওয়া যায় না।  কোনও একটি সংস্থার করা মামলার ভিত্তিতে বুধবার কেন্দ্রকে এই রায় শুনিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম।

তবে এই রায়ে কোনও ‘রেট্রোস্পেকটিভ এফেক্ট’ -এর নিদান দেওয়া ছিল না। কলকাতা হাইকোর্টের এই রায় ঘোষণা কিছুক্ষণের মধ্যেই নবান্ন থেকে সাংবাদিক সম্মেলন একশো দিনের কাজের চার বছরের বকেয়া টাকার দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব¨্যােপাধ্যায়।

বুধবার নবান্নে এরকম তড়িঘড়িই ডাকা হয় সাংবাদিক সম্মেলন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা হাইকোর্টে রিভিউ পিটিশন করব। আপনারা বাংলায় দল পাঠাচ্ছেন। আগে তো টাকা দিন। এটা জনগণের টাকা। গত চার বছর ধরে একশো দিনের খাতে একটা পয়সাও দেয়নি কেন্দ্র। একশো দিনের কাজে ৭০০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে বাংলার।

আরও পড়ুন: ‘আপনার মন্ত্রী তাঁকেও ছাড়লেন না’, কর্নেল কুরেশিকে করা বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে সবর মমতা

আদালত আগস্ট থেকে একশো দিনের কাজ শুরু করতে বলেছে। কিন্তু আমাদের টাকা আমাদের ফেরত দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। যে দিন থেকে কাজ বন্ধ হয়েছে, সে দিন থেকে হিসেব করে টাকা দিতে হবে। আমাদের টাকা কেন অন্য রাজ্যকে দেওয়া হয়েছে? এটা তো অপরাধ।

আরও পড়ুন: ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ পালনে রাজ্যকে চিঠি কেন্দ্রের, ‘আপনারা গণতন্ত্র মানেন?’ নিশানা মুখ্যমন্ত্রীর

একশো দিনের কাজের টাকা আদায়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে যে ধারাবাহিক আন্দোলন করা হয়েছে, তার ঘটনা পরম্পরা এ দিন তাঁর বক্তব্যের মধ্যে তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। একশো দিনের কাজের টাকা আদায়ের দাবিতে তৃণমূলের নেতারা দিল্লিতে গিয়ে ধর্নায় বসার সময়ে যেভাবে তাদের হেনস্থা করা হয়েছে সেসব প্রসঙ্গ তোলেন।

আরও পড়ুন: ডোলোমাইট সাইডিং ঘিরে দূষণের অভিযোগ, রেল মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

নেতাদের দেখা করার সময় দিয়েও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর দেখা না করা, যন্তর মন্তর থেকে অবস্থানে বসা তৃণমূল নেতাদের চ্যাংদোলা করে গ্রেফতার করা, তাদের বিরুদ্ধে এফ আই আর করা, দুস্থ জব কার্ড হোল্ডারদের নিয়ে দিল্লি অভিযানে ট্রেনের বুকিং বাতিল করা এইসব অবিচারের কথা নতুন করে জানান এ দিন। তিন দিন ধরে বাসে করে দিল্লি পৌঁছেছিল একশো দিনের কাজের বঞ্চিতরা। মমতা এ দিন কটাক্ষের সুরে বলেন, সেসব কথা আজ ভুলে গিয়েছে বিজেপি।

বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্র না দিলেও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার জন্য রাজ্য সরকার কর্মশ্রী প্রকল্প বিভিন্ন বিভাগে জব কার্ড হোল্ডারদের কাজ দিয়েছে। রাজ্য সরকার নিজস্ব কোষাগার থেকে একশো দিনের কাজের টাকা মিটিয়ে দিয়েছে। মমতা বলেন, একশো দিনের কাজের টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে দুর্নীতির ইস্যুতে কেন্দ্র ১৫৫ টির মতো টিম পাঠিয়েছে। সবরকমের ‘ক্ল্যারিফিকেশন’ দেওয়া সত্ত্বেও একশো দিনের কাজের টাকা দেয়নি কেন্দ্র। বুধবার হাইকোর্টের রায়ের সূত্র ধরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোরালো দাবি তুললেন আগামী আগস্ট থেকে নয়, চার বছরের বকেয়া টাকা মিটিয়ে দিতে হবে।