১১ ডিসেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উত্তরপ্রদেশে তৈরি হচ্ছে বৃহৎ ডিটেনশন ক্যাম্প, টার্গেটে কি মুসিলমরা?

(File Photo)

পুবের কলম, লখনউ: উত্তরপ্রদেশে বৃহৎ ডিটেনশন ক্যাম্প (আটক কেন্দ্র) তৈরির পরিকল্পনা শুরু করেছে যোগী সরকার। ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি নিয়ে ব্যাপক বিতর্কের শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের বরেলিতে ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি করছে যোগী সরকার। ইতিমধ্যে ক্যাম্প তৈরি জায়গা পরিদর্শন শুরু করেছে প্রশাসন। লখনউতে ইতিমধ্যেই একটি নতুন ক্যাম্প তৈরির মডেল তৈরি করা হয়েছে। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলি বলছে, যে পুরো প্রক্রিয়াটি মুসলিমদের মধ্যে ভয় তৈরি করছে। রাজ্যের সংখ্যালঘু মুসলিম আশঙ্কা করছে, যে প্রকৃত নাগরিকরাও অবৈধ অভিবাসীদের যাচাই করার নামে তাদের হয়রানি করা হতে পারে।

প্রশাসন সূত্রে খবর, লখনউয়ের একটি ডিটেনশন ক্যাম্পের ডিভিশনাল স্তরের ডেমো মডেল সম্পূর্ণ করে রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। লখনউয়ের ডিটেনশন ক্যাম্পটিতে একসঙ্গে পনেরো হাজার মানুষকে আটকে রাখা যাবে। কঠোর সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে দিয়ে থাকবে ক্যাম্পটি। আটক কেন্দ্রে একটি বায়োমেট্রিক এন্ট্রি সিস্টেম, সিসিটিভি ক্যামেরা এবং ভবনে প্রবেশের জন্য তিন স্তরের নিরাপত্তা রাখা হয়েছে। ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরির দায়িত্বে থাকা এক কর্মকর্তা বলেন, “শুধু অফিসারদের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হবে। প্রতিটি পদক্ষেপে ফেস রিকগনিশন, থাম্ব স্ক্যানিং এবং কন্ট্রোল রুম থেকে অনুমোদনের প্রয়োজন হবে।” কর্মকর্তার মতে, ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরিতে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে যে, ক্যাম্পের নিরাপত্তায় ৫০ জন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা যেতে পারে। পুরুষ এবং মহিলারা একই কম্পাউন্ডে থাকবেন। তবে পৃথক বিভাগে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ডিটেনশন সেন্টারের মডেলটি পর্যালোচনা করছে। বরেলির জেলা প্রশাসন বস্তি এবং অস্থায়ী বন্দোবস্তগুলিতে তল্লাশি জোরদার করেছে। শনিবার জেলা শাসক অবিনাশ সিং এবং পুলিশ সুপার অনুরাগ আর্য ইউনিভার্সিটি রোড এলাকায় পরিদর্শন করেছে। সন্দেহজনক বাসিন্দাদের নথি এবং পরিচয়পত্র খতিয়ে দেখেছেন। জেলা শাসক জানিয়েছেন, “অবৈধ রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি। আমাদের তল্লাশি অভিযান জেলা জুড়ে অব্যাহত থাকবে।” অবিনাশ সিংয়ের কথায়, ম্যাজিস্ট্রেট, সিও এবং থানার পুলিশ আধিকারিকদের হোটেল, রাস্তার পাশের রেস্তোরাঁ এবং অন্যান্য জনাকীর্ণ জায়গায় নিয়মিত পরিদর্শন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রশাসনের তল্লাশি অভিযান নিয়ে ভয় ও আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয় মুসলিমরা। এক মুসলিম পরিবার বলছে, তাদের নিজ দেশে সন্দেহভাজনের মতো আচরণ করা হচ্ছে। বরেলির এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা এখানেই জন্মেছি, আমাদের বাবা-মাকে এখানেই দাফন করা হয়েছে। কিন্তু প্রশাসন যেভাবে আমাদের বাড়িতে এসে প্রশ্ন করছে, তল্লাশি চালাচ্ছে তাতে আমাদের নিজ দেশে পরবাসী মনে হচ্ছে।” আরেক বাসিন্দার কথায়, ‘যদি অবৈধ নাগরিকদের খোঁজা হয়, তাহলে স্থানীয় নাগরিকদের কেনো ভয় দেখানো হচ্ছে? মানুষ রাতে ঘুমাতে পারছে না।” যদিও যোগী প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, যে অবৈধভাবে অবস্থানরত বিদেশী নাগরিকদের জন্য এই কেন্দ্রগুলি প্রয়োজন। স্বরাষ্ট্র দফতর বর্তমানে লখনউ মডেলের সুরক্ষা এবং প্রযুক্তিগত দিকগুলি পরীক্ষা করছে। অনুমোদন পেলে উত্তরপ্রদেশের ১৭টি পৌরসভায় এই জাতীয় ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি করা হবে।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট বিবৃতি দাবি করে বরেলির মাওলানা জাভেদ বলেন, “অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কেউ বিপক্ষে নয়। কিন্তু আশঙ্কা হচ্ছে, আমাদের নিজেদের লোকেরা এই জালে আটকা পড়বে। সরকারকে নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে হবে, ভয় দেখানো উচিত নয়।” জাভেদ দাবি করেছেন, “আমরা চাই মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কার বিবৃতি দিন, ভারতীয় মুসলিমরা হয়রানির শিকার হবেন না। সরকার যত এগিয়ে যাচ্ছে, ততই উত্তেজনা বাড়ছে।”

যোগী সরকারের ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরির উদ্যোগ নিয়ে উদ্বিগ্ন মানবাধিকার সংগঠনগুলি। তারা বলছে, পুরো পরিকল্পনাটি উদ্বেগজনক প্রশ্ন তুলেছে। এই জাতীয় আটক কেন্দ্রগুলি মুসলমানদের লক্ষ্যবস্তু বানাতে তৈরি করা হচ্ছে। লখনউয়ের অধিকার কর্মী রেহানা সিদ্দিকি বলেন, ‘আমরা আশঙ্কা করছি, এটা শুধু অবৈধ অভিবাসীদের জন্য তৈরি করা হচ্ছে না। মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে, তাদের সন্দেহের চোখে দেখা হচ্ছে এবং সমাজ থেকে তাদের আলাদা করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।” অধিকার কর্মীর কথায়, “মানুষ আতঙ্কিত। আমরা দেখেছি অন্যান্য রাজ্যেও একই পদক্ষেপের পরে কী হয়েছে। জনসমক্ষে আলোচনা না করে সরকার এত দ্রুত এগোচ্ছে কেন?”

মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, যে গণঅভিযান এবং ডিটেনশন ক্যাম্প পরিকল্পনার গতির সংমিশ্রণ অনেক মুসলমানকে বিশ্বাস করতে বাধ্য করেছে, যে আরও বড় কিছু প্রস্তুত করা হচ্ছে। মানবাধিকার আইনজীবী আরশাদ ওয়ারসি বলছেন, “আমার প্রশ্নটা খুব সহজ, রাজ্য শেষ পর্যন্ত কাদের এই আটক কেন্দ্রগুলিতে রাখবে?” তিনি বলেন, ভারতীয় মুসলিমরা মনে করে যে তাদের একটি কোণে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। সরকারের যদি লুকানোর কিছু না থাকে, তাহলে এত নীরবে সবকিছু কেন করা হচ্ছে? সরকারের উচিত সন্দেহের পরিবেশ তৈরি না করে তাদের তালিকা ও মানদণ্ড জনসমক্ষে প্রকাশ করা।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.
সর্বধিক পাঠিত

ছ’বছরে এনকাউন্টারে খতম ২৯ শীর্ষস্তরের মাওবাদী নেতা: সংসদে জানাল শাহের মন্ত্রক

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

উত্তরপ্রদেশে তৈরি হচ্ছে বৃহৎ ডিটেনশন ক্যাম্প, টার্গেটে কি মুসিলমরা?

আপডেট : ৭ ডিসেম্বর ২০২৫, রবিবার

পুবের কলম, লখনউ: উত্তরপ্রদেশে বৃহৎ ডিটেনশন ক্যাম্প (আটক কেন্দ্র) তৈরির পরিকল্পনা শুরু করেছে যোগী সরকার। ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি নিয়ে ব্যাপক বিতর্কের শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের বরেলিতে ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি করছে যোগী সরকার। ইতিমধ্যে ক্যাম্প তৈরি জায়গা পরিদর্শন শুরু করেছে প্রশাসন। লখনউতে ইতিমধ্যেই একটি নতুন ক্যাম্প তৈরির মডেল তৈরি করা হয়েছে। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলি বলছে, যে পুরো প্রক্রিয়াটি মুসলিমদের মধ্যে ভয় তৈরি করছে। রাজ্যের সংখ্যালঘু মুসলিম আশঙ্কা করছে, যে প্রকৃত নাগরিকরাও অবৈধ অভিবাসীদের যাচাই করার নামে তাদের হয়রানি করা হতে পারে।

প্রশাসন সূত্রে খবর, লখনউয়ের একটি ডিটেনশন ক্যাম্পের ডিভিশনাল স্তরের ডেমো মডেল সম্পূর্ণ করে রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। লখনউয়ের ডিটেনশন ক্যাম্পটিতে একসঙ্গে পনেরো হাজার মানুষকে আটকে রাখা যাবে। কঠোর সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে দিয়ে থাকবে ক্যাম্পটি। আটক কেন্দ্রে একটি বায়োমেট্রিক এন্ট্রি সিস্টেম, সিসিটিভি ক্যামেরা এবং ভবনে প্রবেশের জন্য তিন স্তরের নিরাপত্তা রাখা হয়েছে। ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরির দায়িত্বে থাকা এক কর্মকর্তা বলেন, “শুধু অফিসারদের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হবে। প্রতিটি পদক্ষেপে ফেস রিকগনিশন, থাম্ব স্ক্যানিং এবং কন্ট্রোল রুম থেকে অনুমোদনের প্রয়োজন হবে।” কর্মকর্তার মতে, ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরিতে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে যে, ক্যাম্পের নিরাপত্তায় ৫০ জন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা যেতে পারে। পুরুষ এবং মহিলারা একই কম্পাউন্ডে থাকবেন। তবে পৃথক বিভাগে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ডিটেনশন সেন্টারের মডেলটি পর্যালোচনা করছে। বরেলির জেলা প্রশাসন বস্তি এবং অস্থায়ী বন্দোবস্তগুলিতে তল্লাশি জোরদার করেছে। শনিবার জেলা শাসক অবিনাশ সিং এবং পুলিশ সুপার অনুরাগ আর্য ইউনিভার্সিটি রোড এলাকায় পরিদর্শন করেছে। সন্দেহজনক বাসিন্দাদের নথি এবং পরিচয়পত্র খতিয়ে দেখেছেন। জেলা শাসক জানিয়েছেন, “অবৈধ রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি। আমাদের তল্লাশি অভিযান জেলা জুড়ে অব্যাহত থাকবে।” অবিনাশ সিংয়ের কথায়, ম্যাজিস্ট্রেট, সিও এবং থানার পুলিশ আধিকারিকদের হোটেল, রাস্তার পাশের রেস্তোরাঁ এবং অন্যান্য জনাকীর্ণ জায়গায় নিয়মিত পরিদর্শন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রশাসনের তল্লাশি অভিযান নিয়ে ভয় ও আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয় মুসলিমরা। এক মুসলিম পরিবার বলছে, তাদের নিজ দেশে সন্দেহভাজনের মতো আচরণ করা হচ্ছে। বরেলির এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা এখানেই জন্মেছি, আমাদের বাবা-মাকে এখানেই দাফন করা হয়েছে। কিন্তু প্রশাসন যেভাবে আমাদের বাড়িতে এসে প্রশ্ন করছে, তল্লাশি চালাচ্ছে তাতে আমাদের নিজ দেশে পরবাসী মনে হচ্ছে।” আরেক বাসিন্দার কথায়, ‘যদি অবৈধ নাগরিকদের খোঁজা হয়, তাহলে স্থানীয় নাগরিকদের কেনো ভয় দেখানো হচ্ছে? মানুষ রাতে ঘুমাতে পারছে না।” যদিও যোগী প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, যে অবৈধভাবে অবস্থানরত বিদেশী নাগরিকদের জন্য এই কেন্দ্রগুলি প্রয়োজন। স্বরাষ্ট্র দফতর বর্তমানে লখনউ মডেলের সুরক্ষা এবং প্রযুক্তিগত দিকগুলি পরীক্ষা করছে। অনুমোদন পেলে উত্তরপ্রদেশের ১৭টি পৌরসভায় এই জাতীয় ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি করা হবে।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট বিবৃতি দাবি করে বরেলির মাওলানা জাভেদ বলেন, “অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কেউ বিপক্ষে নয়। কিন্তু আশঙ্কা হচ্ছে, আমাদের নিজেদের লোকেরা এই জালে আটকা পড়বে। সরকারকে নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে হবে, ভয় দেখানো উচিত নয়।” জাভেদ দাবি করেছেন, “আমরা চাই মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কার বিবৃতি দিন, ভারতীয় মুসলিমরা হয়রানির শিকার হবেন না। সরকার যত এগিয়ে যাচ্ছে, ততই উত্তেজনা বাড়ছে।”

যোগী সরকারের ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরির উদ্যোগ নিয়ে উদ্বিগ্ন মানবাধিকার সংগঠনগুলি। তারা বলছে, পুরো পরিকল্পনাটি উদ্বেগজনক প্রশ্ন তুলেছে। এই জাতীয় আটক কেন্দ্রগুলি মুসলমানদের লক্ষ্যবস্তু বানাতে তৈরি করা হচ্ছে। লখনউয়ের অধিকার কর্মী রেহানা সিদ্দিকি বলেন, ‘আমরা আশঙ্কা করছি, এটা শুধু অবৈধ অভিবাসীদের জন্য তৈরি করা হচ্ছে না। মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে, তাদের সন্দেহের চোখে দেখা হচ্ছে এবং সমাজ থেকে তাদের আলাদা করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।” অধিকার কর্মীর কথায়, “মানুষ আতঙ্কিত। আমরা দেখেছি অন্যান্য রাজ্যেও একই পদক্ষেপের পরে কী হয়েছে। জনসমক্ষে আলোচনা না করে সরকার এত দ্রুত এগোচ্ছে কেন?”

মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, যে গণঅভিযান এবং ডিটেনশন ক্যাম্প পরিকল্পনার গতির সংমিশ্রণ অনেক মুসলমানকে বিশ্বাস করতে বাধ্য করেছে, যে আরও বড় কিছু প্রস্তুত করা হচ্ছে। মানবাধিকার আইনজীবী আরশাদ ওয়ারসি বলছেন, “আমার প্রশ্নটা খুব সহজ, রাজ্য শেষ পর্যন্ত কাদের এই আটক কেন্দ্রগুলিতে রাখবে?” তিনি বলেন, ভারতীয় মুসলিমরা মনে করে যে তাদের একটি কোণে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। সরকারের যদি লুকানোর কিছু না থাকে, তাহলে এত নীরবে সবকিছু কেন করা হচ্ছে? সরকারের উচিত সন্দেহের পরিবেশ তৈরি না করে তাদের তালিকা ও মানদণ্ড জনসমক্ষে প্রকাশ করা।