১০ মে ২০২৫, শনিবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাস্তা আটকে নয় প্রতিবাদ, কৃষক আন্দোলন নিয়ে পর্যবেক্ষণ শীর্ষ আদালতের

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২১, বৃহস্পতিবার
  • / 13

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ দিল্লি-পাঞ্জা বের নিকটবর্তী সিঙ্ঘু সীমান্তে কৃষকদের আন্দোলন নিয়ে এবার কড়া বার্তা দিল দেশের শীর্ষ আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানিতে সরকার পক্ষ এবং কৃষকদের আইনজীবীদের মধ্যে চরমে ওঠে বিতন্ডা।

আরও পড়ুন: ঘৃণা ভাষণ ও বিদ্বেষ কড়া হাতে দমন করুন: সুপ্রিম কোর্ট

কৃষক পক্ষের আইনজীবী দুষ্মন্ত দাভে এবং প্রশান্ত ভূষণ দাবি করেন এই আন্দোলনের বিরুদ্ধ জনমত গড়ে তোলার উদ্দেশ্য নিয়েই রাস্তা আটকে রেখেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: ওয়াকফ নিয়ে দায়ের নতুন মামলা, গ্রহণই করল না সুপ্রিম কোর্ট

তাঁদের আরও দাবি কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য ছেড়ে দেওয়া হোক রামলীলা ময়দান এবং যন্তরমন্তর।

আরও পড়ুন: সরকার Pegasus ব্যবহার করলে সমস্যা কোথায়? প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

কৃষকপক্ষের আইনজীবির এই দাবির বিরোধীতা করে সরকার পক্ষের সলিসিটর জেনারেল তথা এই মামলায় হরিয়ানা সরকারের পক্ষের আইনজীবী তুষার মেহেতা উদাহরণ হিসেবে গত জানুয়ারী মাসের লালকেল্লার কথা তুলে ধরেন।

দুই পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর বিচারপতি কলের ডিভিশন বেঞ্চ জানান রাস্তা বন্ধ থাকার কারণে চলাচলের যে অসুবিধা হচ্ছে সে কথা অস্বীকার করার কোন জায়গা নেই।

রাস্তা আটকে  অন্যের চলাচলের সমস্যা করে যে এই ভাবে দিনের পর দিন আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া যায়না তার ওপর বারবার গুরুত্ব দিয়েছেন বিচারপতিরা।

 এই দিনও শীর্ষ আদালতের ওই পর্যবেক্ষণ মনে করিয়ে দিয়ে বিচারপতি কল বলেন, ‘‘এ বিষয়ে আইন তৈরিই আছে। একই ব্যাপারে বার বার আইন তৈরির প্রয়োজন নেই। রাস্তা আটকে রাখা যাবে না। এর সমাধান খুঁজতেই হবে।’’ এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামী সাতই ডিসেম্বর।

কৃষক আন্দোলনের জেরে রাস্তা বন্ধ থাকা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নয়ডার বাসিন্দা মণিকা আগরওয়াল। দায়ের করেছিলেন জনস্বার্থ মামলা। সেই মামলার শুনানি চলাকালীন কৃষকদের সংগঠন সংযুক্ত কিষান মোর্চার কাছে জবাব তলব করেছিল আদালত।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রাস্তা আটকে নয় প্রতিবাদ, কৃষক আন্দোলন নিয়ে পর্যবেক্ষণ শীর্ষ আদালতের

আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২১, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ দিল্লি-পাঞ্জা বের নিকটবর্তী সিঙ্ঘু সীমান্তে কৃষকদের আন্দোলন নিয়ে এবার কড়া বার্তা দিল দেশের শীর্ষ আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানিতে সরকার পক্ষ এবং কৃষকদের আইনজীবীদের মধ্যে চরমে ওঠে বিতন্ডা।

আরও পড়ুন: ঘৃণা ভাষণ ও বিদ্বেষ কড়া হাতে দমন করুন: সুপ্রিম কোর্ট

কৃষক পক্ষের আইনজীবী দুষ্মন্ত দাভে এবং প্রশান্ত ভূষণ দাবি করেন এই আন্দোলনের বিরুদ্ধ জনমত গড়ে তোলার উদ্দেশ্য নিয়েই রাস্তা আটকে রেখেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: ওয়াকফ নিয়ে দায়ের নতুন মামলা, গ্রহণই করল না সুপ্রিম কোর্ট

তাঁদের আরও দাবি কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য ছেড়ে দেওয়া হোক রামলীলা ময়দান এবং যন্তরমন্তর।

আরও পড়ুন: সরকার Pegasus ব্যবহার করলে সমস্যা কোথায়? প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

কৃষকপক্ষের আইনজীবির এই দাবির বিরোধীতা করে সরকার পক্ষের সলিসিটর জেনারেল তথা এই মামলায় হরিয়ানা সরকারের পক্ষের আইনজীবী তুষার মেহেতা উদাহরণ হিসেবে গত জানুয়ারী মাসের লালকেল্লার কথা তুলে ধরেন।

দুই পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর বিচারপতি কলের ডিভিশন বেঞ্চ জানান রাস্তা বন্ধ থাকার কারণে চলাচলের যে অসুবিধা হচ্ছে সে কথা অস্বীকার করার কোন জায়গা নেই।

রাস্তা আটকে  অন্যের চলাচলের সমস্যা করে যে এই ভাবে দিনের পর দিন আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া যায়না তার ওপর বারবার গুরুত্ব দিয়েছেন বিচারপতিরা।

 এই দিনও শীর্ষ আদালতের ওই পর্যবেক্ষণ মনে করিয়ে দিয়ে বিচারপতি কল বলেন, ‘‘এ বিষয়ে আইন তৈরিই আছে। একই ব্যাপারে বার বার আইন তৈরির প্রয়োজন নেই। রাস্তা আটকে রাখা যাবে না। এর সমাধান খুঁজতেই হবে।’’ এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামী সাতই ডিসেম্বর।

কৃষক আন্দোলনের জেরে রাস্তা বন্ধ থাকা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নয়ডার বাসিন্দা মণিকা আগরওয়াল। দায়ের করেছিলেন জনস্বার্থ মামলা। সেই মামলার শুনানি চলাকালীন কৃষকদের সংগঠন সংযুক্ত কিষান মোর্চার কাছে জবাব তলব করেছিল আদালত।