০১ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কর্নাটক: হালাল মাংস নিষিদ্ধ করতে বিল আনা হবে বিধানসভায়

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২২, সোমবার
  • / 118

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ সোমবার থেকে শুরু হয়েছে কর্নাটক বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন। সেখানে বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে নতুন করে বিবাদ দেখা দিতে পারে। কারণ, রাজ্যের বাসবরাজ বোম্মাই সরকার বিধানসভায় হালাল বিরোধী বিল আনার পরিকল্পনা করছে। রাজ্যে হালাল মাংসকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতেই এই বিল আনা হচ্ছে।

 

আরও পড়ুন: world football: ২০২৬  ফুটবল বিশ্বকাপে ইসরাইলকে নিষিদ্ধের উদ্যোগ ঠেকাবে আমেরিকা  

জানা গিয়েছে বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক এন রবিকুমার এই বিলটি আনতে চলেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, ‘ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অব ইন্ডিয়া’ (এফএসএসএআই) ব্যতীত অন্য কারও স্বীকৃত বা সংশাপত্র প্রদত্ত কোনও খাদ্যকে অনুমোদন করা হবে না।

আরও পড়ুন: কর্ণাটকে সেনার পোশাকে দুঃসাহসী ডাকাতি, ৫৮ কেজি সোনা লুট

 

আরও পড়ুন: J&K Govt’s: ২৫ বিখ্যাত লেখকের বই নিষিদ্ধ কাশ্মীরে, মামলা নিল না Supreme Court

উল্লেখ্য, হালাল ইস্যুটি চলতি বছরের মার্চে রাজ্যে অস্থিরতা তৈরি করেছিল। রাজ্যে উগাদি উৎসবের সময় হালাল মাংস বয়কটের ডাক দিয়েছিল একাধিক ধর্মান্ধ উগ্রবাদী সংগঠন। বিজেপির একাংশও  চায় বিধানসভায় বিল পাস করিয়ে বিষয়টিকে আইনি স্বীকৃতি দিতে।

 

বিজেপির রবিকুমার ‘ব্যক্তিগত বিল’ (প্রাইভেট বিল) হিসেবে বিধানসভায় হালাল বিরোধী বিলটি উপস্থাপন করার পরিকল্পনা করেছিলেন। এজন্য তিনি রাজ্যপাল থাওয়ারচাঁদ গেহলটকে চিঠিও দিয়েছিলেন। প্রথমে তিনি প্রাইভেট বিল হিসেবে এটি বিধানসভায় পেশ করার কথা ভাবলেও এখন যেহেতু দলের একটা বড় অংশ চাইছে হালাল মাংস বিরোধী আইন হোক রাজ্যে, সেজন্য তিনি এখন আর প্রাইভেট হিসেবে নয়, সরকারিভাবে বিলটি বিধানসভায় আনতে চাইছেন।

 

শুধু তাই নয়, ইস্যুটি নিয়ে তিন মুখ্যমন্ত্রী বোম্মাইয়ের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, রাজনৈতিক মহলের আশংকা, বিজেপি যদি সত্যিই এই ধরনের বিল আনে তাহলে তাকে কেন্দ্র করে বিধানসভায় রাজনৈতিক সংঘাত তৈরি হতে পারে। বিজেপি বিধায়ক অরবিন্দ বেলাদের দাবি, শুধু কর্নাটক নয়, দেশের বেশিরভাগ মানুষ হালালে বিশ্বাস করে না। এখন কংগ্রেস কি চায় তা তারা বলচে পারবে। কিন্তু দেশের অধিকাংশ মানুষের হালালে কোনও বিশ্বাস নেই।

 

তাই সমস্ত  পণ্যে এসবের উল্লেখ কেন রাখতে হবে? এফএসএসএআই একটি সরকারি এজেন্সি যারা সংশাপত্র দেয়। কিন্তু এই মুসলিম সংগঠনগুলোকে হালাল পণ্যের সংশাপত্র প্রদান করার অনুমতি কে দিয়েছে? তারা এসব করতে পারে না।’ যদিও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস নেতা বি কে হরিপ্রসাদ জানান, তাঁরা এই বিলের বিরোধিতা করবেন। মুসলিমরা হালাল খাবার পছন্দ করে, এটা তাদের ব্যাপার। কে কি খাবে সেটা তার নিজস্ব  স্বাধীনতা। কিন্তু বিজেপি মানুষের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে। আমরা হালাল বিরোধী বিলের বিরোধিতা করছি।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কর্নাটক: হালাল মাংস নিষিদ্ধ করতে বিল আনা হবে বিধানসভায়

আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২২, সোমবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ সোমবার থেকে শুরু হয়েছে কর্নাটক বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন। সেখানে বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে নতুন করে বিবাদ দেখা দিতে পারে। কারণ, রাজ্যের বাসবরাজ বোম্মাই সরকার বিধানসভায় হালাল বিরোধী বিল আনার পরিকল্পনা করছে। রাজ্যে হালাল মাংসকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতেই এই বিল আনা হচ্ছে।

 

আরও পড়ুন: world football: ২০২৬  ফুটবল বিশ্বকাপে ইসরাইলকে নিষিদ্ধের উদ্যোগ ঠেকাবে আমেরিকা  

জানা গিয়েছে বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক এন রবিকুমার এই বিলটি আনতে চলেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, ‘ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অব ইন্ডিয়া’ (এফএসএসএআই) ব্যতীত অন্য কারও স্বীকৃত বা সংশাপত্র প্রদত্ত কোনও খাদ্যকে অনুমোদন করা হবে না।

আরও পড়ুন: কর্ণাটকে সেনার পোশাকে দুঃসাহসী ডাকাতি, ৫৮ কেজি সোনা লুট

 

আরও পড়ুন: J&K Govt’s: ২৫ বিখ্যাত লেখকের বই নিষিদ্ধ কাশ্মীরে, মামলা নিল না Supreme Court

উল্লেখ্য, হালাল ইস্যুটি চলতি বছরের মার্চে রাজ্যে অস্থিরতা তৈরি করেছিল। রাজ্যে উগাদি উৎসবের সময় হালাল মাংস বয়কটের ডাক দিয়েছিল একাধিক ধর্মান্ধ উগ্রবাদী সংগঠন। বিজেপির একাংশও  চায় বিধানসভায় বিল পাস করিয়ে বিষয়টিকে আইনি স্বীকৃতি দিতে।

 

বিজেপির রবিকুমার ‘ব্যক্তিগত বিল’ (প্রাইভেট বিল) হিসেবে বিধানসভায় হালাল বিরোধী বিলটি উপস্থাপন করার পরিকল্পনা করেছিলেন। এজন্য তিনি রাজ্যপাল থাওয়ারচাঁদ গেহলটকে চিঠিও দিয়েছিলেন। প্রথমে তিনি প্রাইভেট বিল হিসেবে এটি বিধানসভায় পেশ করার কথা ভাবলেও এখন যেহেতু দলের একটা বড় অংশ চাইছে হালাল মাংস বিরোধী আইন হোক রাজ্যে, সেজন্য তিনি এখন আর প্রাইভেট হিসেবে নয়, সরকারিভাবে বিলটি বিধানসভায় আনতে চাইছেন।

 

শুধু তাই নয়, ইস্যুটি নিয়ে তিন মুখ্যমন্ত্রী বোম্মাইয়ের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, রাজনৈতিক মহলের আশংকা, বিজেপি যদি সত্যিই এই ধরনের বিল আনে তাহলে তাকে কেন্দ্র করে বিধানসভায় রাজনৈতিক সংঘাত তৈরি হতে পারে। বিজেপি বিধায়ক অরবিন্দ বেলাদের দাবি, শুধু কর্নাটক নয়, দেশের বেশিরভাগ মানুষ হালালে বিশ্বাস করে না। এখন কংগ্রেস কি চায় তা তারা বলচে পারবে। কিন্তু দেশের অধিকাংশ মানুষের হালালে কোনও বিশ্বাস নেই।

 

তাই সমস্ত  পণ্যে এসবের উল্লেখ কেন রাখতে হবে? এফএসএসএআই একটি সরকারি এজেন্সি যারা সংশাপত্র দেয়। কিন্তু এই মুসলিম সংগঠনগুলোকে হালাল পণ্যের সংশাপত্র প্রদান করার অনুমতি কে দিয়েছে? তারা এসব করতে পারে না।’ যদিও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস নেতা বি কে হরিপ্রসাদ জানান, তাঁরা এই বিলের বিরোধিতা করবেন। মুসলিমরা হালাল খাবার পছন্দ করে, এটা তাদের ব্যাপার। কে কি খাবে সেটা তার নিজস্ব  স্বাধীনতা। কিন্তু বিজেপি মানুষের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে। আমরা হালাল বিরোধী বিলের বিরোধিতা করছি।