যুদ্ধের পর আশুরায় প্রথম জনসমক্ষে খামেনি

- আপডেট : ৬ জুলাই ২০২৫, রবিবার
- / 190
পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ইসরাইলের সঙ্গে ইরানের সাম্প্রতিক সংঘাত শুরুর পর এই প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে এলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। শনিবার তেহরানে ইমাম খোমেইনি মসজিদে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখা গেছে। ৮৫ বছর বয়সী খামেনিকে ইমাম খোমেইনি মসজিদে প্রবেশের সময় উপস্থিত লোকজনকে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিতে দেখা যায়। ভিডিওতে তাকে উপস্থিত জনতার প্রতি হাত নাড়াতে ও সম্মতিসূচক মাথা নাড়তে দেখা যায়।
১৩ জুন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে খামেনি জনসমক্ষে আসেননি। তার সকল ভাষণই এ পর্যন্ত রেকর্ড করা ছিল। শনিবারের ভিডিওটি তার প্রথম সরাসরি উপস্থিতির প্রমাণ। ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় এবং সে সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে জানান যে, আমরা জানি খামেনি কোথায় আছেন, তবে তাকে হত্যা করার কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই। ২৬ জুন খামেনির পূর্বে রেকর্ডকৃত ভাষণে তিনি ট্রাম্পের আত্মসমর্পণের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেন এবং বলেন, আমরা আমেরিকার মুখে চড় মেরেছি কাতারে অবস্থিত একটি মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালানোর মাধ্যমে।
এর জবাবে ট্রাম্প বলেন, আপনি একজন ধর্মপ্রাণ মানুষ, নিজ দেশের মধ্যে খুব সম্মানিত। কিন্তু সত্যটা বলুন। আপনি তো একেবারে মার খেয়ে গেছেন। ইরান স্বীকার করেছে যে, যুদ্ধের সময় তাদের ৯ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে এবং হাজার হাজার আহত হয়েছে। পাল্টা হামলায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলে কমপক্ষে ২৮ জনকে হত্যা করে। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় ২৪ জুন।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, খামেনি মসজিদে আসা ব্যক্তিদের অভ্যর্থনা জানাচ্ছেন। তিনি শীর্ষ ধর্মীয় নেতা মাহমুদ কারিমিকে ইরানি দেশাত্মবোধক গান ‘ও ইরান’ গাইতে উদ্বুদ্ধ করছিলেন। তাঁর অনুসারীরা টেলিভিশনে তাঁকে দেখে আনন্দ প্রকাশ করছেন—এমন দৃশ্যও দেখা গেছে।