২১ মে ২০২৫, বুধবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রাথমিকে চাকরি বাতিল মামলায় দুর্নীতির প্রমাণ কোথায়? জোরালো সওয়াল পর্ষদের

আবুল খায়ের
  • আপডেট : ২০ মে ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 61

মোল্লা জসিমউদ্দিন: মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে  প্রাথমিকে ৩২ হাজার চাকরি বাতিল মামলার  শুনানি চলে । এদিন সওয়াল-জবাব পর্বে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের  তরফে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, নিয়ম না মানলেই সেটা দুর্নীতি হয়ে যায় না। অবৈধ আর্থিক লেনদেন হয়েছে তা প্রমাণ করতে হবে। পর্ষদের দাবি, এখানে কোনও আধিকারিক টাকা নিয়ে চাকরি দিয়েছেন এই ধরনের প্রমাণ নেই। আবার কোনও আধিকারিক আর্থিক লেনদেন করছেন, সে রকম প্রমাণও মেলেনি এখনও। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত সওয়াল করেন, মামলাকারীরা কী চেয়েছেন সেটাই স্পষ্ট নয়। আদালতের কাছে চাকরি বাতিলের আবেদন করাই হয়নি। শুরুতে আবেদন ছিল, প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। মামলাকারীদেরও সুযোগ দেওয়া হয়। তাই এক্ষেত্রে দুর্নীতি শব্দটি ব্যবহার করা ঠিক নয়’।

এজির যুক্তি, এই নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি শব্দটি যায় না। কারণ তার জন্য প্রমাণ লাগে।পর্ষদের তরফে এও বলা হয়েছে, ৪২ হাজার ৯০০ শূন্যপদের জন্য এই নিয়োগের ক্ষেত্রে ১ লক্ষ ২০ হাজার জন অংশগ্রহণ  করেছিলেন। অভিযোগ উঠেছিল বেশি নম্বর দেওয়া হয়েছে। সেটাই হলে তার ভিত্তিতে নিয়োগ বাতিল করা যায় না। এমনই মত পর্ষদের। পর্ষদ  আদালতে এও জানায়,  যে সমস্ত আধিকারিকরা ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন তাদের কেউ অনিয়ম করেছে সে রকম কোনও অভিযোগ নেই। তাছাড়া ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার রুল মেনে ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছিল। অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়নি। সে ক্ষেত্রে কয়েক জনের বক্তব্যের ভিত্তিতে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে সন্দেহ করা হয়েছে যা উচিত নয়।প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ গোটা বিষয়টিকে দুর্নীতি বলতেই রাজি নয়।

তাঁদের স্পষ্ট যুক্তি, ২০১৬ সালের নিয়োগ নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই। মামলায় সমস্ত অভিযোগ করা হয়েছে ২০১৪ সালের টেট নিয়ে। আর যে প্রার্থীরা অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন তাদের দায়িত্ব অনিয়ম প্রমাণ করার। আদালত তাদের হয়ে সেই দায়িত্ব কীভাবে নিচ্ছে, সেই প্রশ্নও তোলা হয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে পর্ষদের সওয়াল, এটা কোনও জনস্বার্থ মামলাই নয় তাই আদালতের এই মামলাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত নয়। প্রাথমিকে ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগে মামলার শুনানিতে জোরালো সওয়াল করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে তা মানতে নারজ পর্ষদ। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চে পর্ষদের সওয়াল নিয়ম না মানলেই সেটা ‘দুর্নীতি’ নয়। পাশাপাশি পর্ষদের আইনজীবীর দাবি করেন, তথাকথিত দুর্নীতির প্রমাণ কোথায়? জানা গেছে, গ্রীষ্মকালীন ছুটির পর এই মামলার শুনানি রয়েছে।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

প্রাথমিকে চাকরি বাতিল মামলায় দুর্নীতির প্রমাণ কোথায়? জোরালো সওয়াল পর্ষদের

আপডেট : ২০ মে ২০২৫, মঙ্গলবার

মোল্লা জসিমউদ্দিন: মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে  প্রাথমিকে ৩২ হাজার চাকরি বাতিল মামলার  শুনানি চলে । এদিন সওয়াল-জবাব পর্বে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের  তরফে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, নিয়ম না মানলেই সেটা দুর্নীতি হয়ে যায় না। অবৈধ আর্থিক লেনদেন হয়েছে তা প্রমাণ করতে হবে। পর্ষদের দাবি, এখানে কোনও আধিকারিক টাকা নিয়ে চাকরি দিয়েছেন এই ধরনের প্রমাণ নেই। আবার কোনও আধিকারিক আর্থিক লেনদেন করছেন, সে রকম প্রমাণও মেলেনি এখনও। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত সওয়াল করেন, মামলাকারীরা কী চেয়েছেন সেটাই স্পষ্ট নয়। আদালতের কাছে চাকরি বাতিলের আবেদন করাই হয়নি। শুরুতে আবেদন ছিল, প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। মামলাকারীদেরও সুযোগ দেওয়া হয়। তাই এক্ষেত্রে দুর্নীতি শব্দটি ব্যবহার করা ঠিক নয়’।

এজির যুক্তি, এই নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি শব্দটি যায় না। কারণ তার জন্য প্রমাণ লাগে।পর্ষদের তরফে এও বলা হয়েছে, ৪২ হাজার ৯০০ শূন্যপদের জন্য এই নিয়োগের ক্ষেত্রে ১ লক্ষ ২০ হাজার জন অংশগ্রহণ  করেছিলেন। অভিযোগ উঠেছিল বেশি নম্বর দেওয়া হয়েছে। সেটাই হলে তার ভিত্তিতে নিয়োগ বাতিল করা যায় না। এমনই মত পর্ষদের। পর্ষদ  আদালতে এও জানায়,  যে সমস্ত আধিকারিকরা ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন তাদের কেউ অনিয়ম করেছে সে রকম কোনও অভিযোগ নেই। তাছাড়া ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার রুল মেনে ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছিল। অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়নি। সে ক্ষেত্রে কয়েক জনের বক্তব্যের ভিত্তিতে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে সন্দেহ করা হয়েছে যা উচিত নয়।প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ গোটা বিষয়টিকে দুর্নীতি বলতেই রাজি নয়।

তাঁদের স্পষ্ট যুক্তি, ২০১৬ সালের নিয়োগ নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই। মামলায় সমস্ত অভিযোগ করা হয়েছে ২০১৪ সালের টেট নিয়ে। আর যে প্রার্থীরা অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন তাদের দায়িত্ব অনিয়ম প্রমাণ করার। আদালত তাদের হয়ে সেই দায়িত্ব কীভাবে নিচ্ছে, সেই প্রশ্নও তোলা হয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে পর্ষদের সওয়াল, এটা কোনও জনস্বার্থ মামলাই নয় তাই আদালতের এই মামলাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত নয়। প্রাথমিকে ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগে মামলার শুনানিতে জোরালো সওয়াল করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে তা মানতে নারজ পর্ষদ। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চে পর্ষদের সওয়াল নিয়ম না মানলেই সেটা ‘দুর্নীতি’ নয়। পাশাপাশি পর্ষদের আইনজীবীর দাবি করেন, তথাকথিত দুর্নীতির প্রমাণ কোথায়? জানা গেছে, গ্রীষ্মকালীন ছুটির পর এই মামলার শুনানি রয়েছে।