২১ মে ২০২৫, বুধবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হরিয়ানায় দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় ১৮টি স্কুলের সব পরীক্ষার্থীই অকৃতকার্য

সুস্মিতা
  • আপডেট : ২০ মে ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 59

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপি শাসিত হরিয়ানায় শিক্ষার মান নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছে রাজ্যের বিরোধীরা। বিরোধীদের শঙ্কা যে অনর্থক নয় তা প্রমাণ হল হরিয়ানার দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ফলাফলে। হরিয়ানা বোর্ড (এইচবিএসই)-এর দ্বাদশ শ্রেণির ফলাফলে অদ্ভুত বৈপরীত্য দেখা গেল। দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় ৮৫.৬৬ শতাংশ পড়ুয়া উত্তীর্ণ হয়েছে। কিন্তু ঠিক তার উলটো দিকে দেখা গেছে এমন ১৮ টি স্কুল রয়েছে যাদের পাশের হার ০ শতাংশ। অর্থাৎ ১৮টি স্কুলে একটিও পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হতে পারেনি, যা রাজ্য শিক্ষা বিভাগে গুরুতর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।

গত ১৩ মে হরিয়ানা বোর্ডের দ্বাদশ শ্রেণির ফলাফল প্রকাশিত হয়েছিল। ফলাফল প্রকাশের কয়েক দিন পর চমকপ্রদ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। সেই তথ্যে জানা যাচ্ছে, এই বছর হরিয়ানায় ১৮টি স্কুলের পাশের হার শূণ্য শতাংশ। স্কুল শিক্ষা দফতর খারাপ পারফরমেন্স করেছে এমন ১০০টি স্কুলের তালিকা তৈরি করেছে। এর মধ্যে সরকারি এবং বেসরকারি উভয় স্কুলই রয়েছে। এই তালিকাটি তাৎক্ষণিক পর্যালোচনা এবং সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শিক্ষা অধিদফতরে পাঠানো হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে অনুসন্ধানে যে তথ্য উঠে এসেছে তাতে হরিয়ানা শিক্ষা বিভাগের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

হরিয়ানায় যে ১৮টি স্কুলের সব পরীক্ষার্থীই ফেল করেছে, তাদের মধ্যে ৬টি স্কুলই নূহতে। এ ছাড়াও ৪টি ফরিদাবাদ, একটি করে গুরুগ্রাম, হিসার, ঝাজ্জার, কার্নেল, পাওয়াল, রোহতাক, সোনিপথ ও যমুনা নগরের স্কুল রয়েছে। অথচ হরিয়ানার দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় ৮৫.২৭ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাশ করেছে। কিন্তু হরিয়ানার ৮২টি সরকারি স্কুলে পাশের হার ৩৫ শতাংশেরও কম।

হরিয়ানা বোর্ডের দ্বাদশ শ্রেণির ফলাফলের জেলা-ভিত্তিক বিশদ বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে রাজ্যের অনেক স্কুল ন্যূনতম পাশের হার ৩৫ শতাংশও অর্জন করতে পারেনি। কিছু প্রতিষ্ঠানের রিপোর্টে অবাক করার মতো কম পরীক্ষার্থীর ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এইচবিএসই চেয়ারম্যান ড. পবন কুমার বলেন, ‘একটি স্কুলে ১৩ জন শিক্ষার্থী দ্বাদশ বোর্ড পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল, কিন্তু তাদের কেউই পাশ করেনি। জিরো পারফরমেন্স করেছে যে স্কুলগুলি, সেই স্কুলগুলির বেশিরভাগেরই পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ থেকে ২ জনের মধ্যে এবং ফলাফলও হতাশাজনক।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

হরিয়ানায় দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় ১৮টি স্কুলের সব পরীক্ষার্থীই অকৃতকার্য

আপডেট : ২০ মে ২০২৫, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপি শাসিত হরিয়ানায় শিক্ষার মান নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছে রাজ্যের বিরোধীরা। বিরোধীদের শঙ্কা যে অনর্থক নয় তা প্রমাণ হল হরিয়ানার দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ফলাফলে। হরিয়ানা বোর্ড (এইচবিএসই)-এর দ্বাদশ শ্রেণির ফলাফলে অদ্ভুত বৈপরীত্য দেখা গেল। দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় ৮৫.৬৬ শতাংশ পড়ুয়া উত্তীর্ণ হয়েছে। কিন্তু ঠিক তার উলটো দিকে দেখা গেছে এমন ১৮ টি স্কুল রয়েছে যাদের পাশের হার ০ শতাংশ। অর্থাৎ ১৮টি স্কুলে একটিও পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হতে পারেনি, যা রাজ্য শিক্ষা বিভাগে গুরুতর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।

গত ১৩ মে হরিয়ানা বোর্ডের দ্বাদশ শ্রেণির ফলাফল প্রকাশিত হয়েছিল। ফলাফল প্রকাশের কয়েক দিন পর চমকপ্রদ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। সেই তথ্যে জানা যাচ্ছে, এই বছর হরিয়ানায় ১৮টি স্কুলের পাশের হার শূণ্য শতাংশ। স্কুল শিক্ষা দফতর খারাপ পারফরমেন্স করেছে এমন ১০০টি স্কুলের তালিকা তৈরি করেছে। এর মধ্যে সরকারি এবং বেসরকারি উভয় স্কুলই রয়েছে। এই তালিকাটি তাৎক্ষণিক পর্যালোচনা এবং সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শিক্ষা অধিদফতরে পাঠানো হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে অনুসন্ধানে যে তথ্য উঠে এসেছে তাতে হরিয়ানা শিক্ষা বিভাগের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

হরিয়ানায় যে ১৮টি স্কুলের সব পরীক্ষার্থীই ফেল করেছে, তাদের মধ্যে ৬টি স্কুলই নূহতে। এ ছাড়াও ৪টি ফরিদাবাদ, একটি করে গুরুগ্রাম, হিসার, ঝাজ্জার, কার্নেল, পাওয়াল, রোহতাক, সোনিপথ ও যমুনা নগরের স্কুল রয়েছে। অথচ হরিয়ানার দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় ৮৫.২৭ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাশ করেছে। কিন্তু হরিয়ানার ৮২টি সরকারি স্কুলে পাশের হার ৩৫ শতাংশেরও কম।

হরিয়ানা বোর্ডের দ্বাদশ শ্রেণির ফলাফলের জেলা-ভিত্তিক বিশদ বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে রাজ্যের অনেক স্কুল ন্যূনতম পাশের হার ৩৫ শতাংশও অর্জন করতে পারেনি। কিছু প্রতিষ্ঠানের রিপোর্টে অবাক করার মতো কম পরীক্ষার্থীর ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এইচবিএসই চেয়ারম্যান ড. পবন কুমার বলেন, ‘একটি স্কুলে ১৩ জন শিক্ষার্থী দ্বাদশ বোর্ড পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল, কিন্তু তাদের কেউই পাশ করেনি। জিরো পারফরমেন্স করেছে যে স্কুলগুলি, সেই স্কুলগুলির বেশিরভাগেরই পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ থেকে ২ জনের মধ্যে এবং ফলাফলও হতাশাজনক।