২৫ জুন ২০২৫, বুধবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সম্পর্ক মেরামতে ইরাকে ইরান-সউদির ৫ম বৈঠক

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০২২, রবিবার
  • / 9

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : কয়ের মাসের বিরতির পর ইরাকের রাজধানী বাগদাদে ইরান ও সউদি আরবের মধ্যে ৫ম দফা আলোচনা অনুষ্ঠিত হল। ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধিরা এবং সউদি আরবের গোয়েন্দা প্রধান খালিদ বিন আলি আল হুমাইদান এই আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন। তবে আলোচনা ঠিক কবে অনুষ্ঠিত হয়েছে তা জানা যায়নি। মূলত দুই দেশের সম্পর্ক পুনরায় স্থাপনের জন্য ইতিবাচক পরিবেশে প্রধান চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে যা ভবিষ্যতে দ্বি-পক্ষীয় সম্পর্কে ইতিবাচক ফল নিয়ে আসতে পারে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরনের আলোচনা দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠকের পথ সুগম করতে পারে। উল্লেখ্য, আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য ইরান ও সউদি আরব দুই দেশই ইরাকের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। ইরাকের সঙ্গে প্রতিবেশী এ দুই দেশেরই আছে বিশাল সীমান্ত। ইরান হচ্ছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ শিয়া মুসলিম অধ্যুষিত দেশ। অন্যদিকে সউদি আরব হচ্ছে সুন্নি অনুসারী মুসলিম দেশ। ২০১৬ সালে সউদি আরব শিয়া ধর্মগুরু নিমর আল-নিমরকে ফাঁসি দিলে ইরানের সঙ্গে সম্পর্কে ফাটল ধরে। এর প্রতিবাদে ইরানে অবস্থিত সউদি দূতাবাসে হামলা চালায় ইরানের বিক্ষুব্ধ জনগণ। সম্প্রতি বিবদমান দুই মুসলিম দেশের মধ্যে আলোচনার ব্যবস্থা করে দেয় ইরাক। কিন্তু গত মার্চে সউদি আরব একদিনে ৮১ জনের ফাঁসি কার্যকর করে। এদের বেশিরভাগই শিয়া মুসলিম। এ কারণে ফের বন্ধ হয় আলোচনা। সম্প্রতি আবারও ইরান ও সউদির মধ্যে আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছে ইরাক।

আরও পড়ুন: ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে সতর্ক করলেন খামেইনি

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সম্পর্ক মেরামতে ইরাকে ইরান-সউদির ৫ম বৈঠক

আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০২২, রবিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : কয়ের মাসের বিরতির পর ইরাকের রাজধানী বাগদাদে ইরান ও সউদি আরবের মধ্যে ৫ম দফা আলোচনা অনুষ্ঠিত হল। ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধিরা এবং সউদি আরবের গোয়েন্দা প্রধান খালিদ বিন আলি আল হুমাইদান এই আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন। তবে আলোচনা ঠিক কবে অনুষ্ঠিত হয়েছে তা জানা যায়নি। মূলত দুই দেশের সম্পর্ক পুনরায় স্থাপনের জন্য ইতিবাচক পরিবেশে প্রধান চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে যা ভবিষ্যতে দ্বি-পক্ষীয় সম্পর্কে ইতিবাচক ফল নিয়ে আসতে পারে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরনের আলোচনা দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠকের পথ সুগম করতে পারে। উল্লেখ্য, আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য ইরান ও সউদি আরব দুই দেশই ইরাকের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। ইরাকের সঙ্গে প্রতিবেশী এ দুই দেশেরই আছে বিশাল সীমান্ত। ইরান হচ্ছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ শিয়া মুসলিম অধ্যুষিত দেশ। অন্যদিকে সউদি আরব হচ্ছে সুন্নি অনুসারী মুসলিম দেশ। ২০১৬ সালে সউদি আরব শিয়া ধর্মগুরু নিমর আল-নিমরকে ফাঁসি দিলে ইরানের সঙ্গে সম্পর্কে ফাটল ধরে। এর প্রতিবাদে ইরানে অবস্থিত সউদি দূতাবাসে হামলা চালায় ইরানের বিক্ষুব্ধ জনগণ। সম্প্রতি বিবদমান দুই মুসলিম দেশের মধ্যে আলোচনার ব্যবস্থা করে দেয় ইরাক। কিন্তু গত মার্চে সউদি আরব একদিনে ৮১ জনের ফাঁসি কার্যকর করে। এদের বেশিরভাগই শিয়া মুসলিম। এ কারণে ফের বন্ধ হয় আলোচনা। সম্প্রতি আবারও ইরান ও সউদির মধ্যে আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছে ইরাক।

আরও পড়ুন: ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে সতর্ক করলেন খামেইনি