রাজভবনে ‘ভারত মাতা’র ছবি কেন? কর্মসূচি অন্যত্র সরাল কেরল সরকার

- আপডেট : ৬ জুন ২০২৫, শুক্রবার
- / 64
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ঠিক ছিল রাজভবনে হবে পরিবেশ দিবসের অনুষ্ঠান। কিন্তু, নজরে আসে যেখানে এই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা সেখানেই রয়েছে ‘ভারত মাত’র ছবি। বিষয়টি নজরে আসতেই শোরগোল শুরু হয়ে যায় কেরলের বাম সরকারের অ¨রে। সিদ্ধান্ত হয়, রাজভবনে অনুষ্ঠান করবে না তারা। রাজ্যের পিনরাই বিজয়ন সরকারের মতে, রাজভবন একটি নিরপেক্ষ জায়গা। কিন্তু, সেখানে ‘ভারত মাতা’র ছবি রাখা যা আরএসএস-এর ভাবধারার সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাই ওই স্থানে আন্তর্জাতিক পরিবেশ দিবসের অনুষ্ঠান হবে না। এরপরই সরকারের পক্ষ থেকে অন্যত্র অনুষ্ঠান করার সিদ্ধান্ত হয়।
কেরল সরকার ও রাজ্যপালের মধ্যে নতুন করে সংঘাত। কৃষি বিভাগ রাজ্যপালের সরকারি বাসভবন থেকে পরিবেশ দিবসের অনুষ্ঠান স্থানান্তরিত করে রাজ্যের সচিবালয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ‘ভারত মাতা’র ছবি ব্যবহার নিয়ে মতবিরোধের জেরে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কৃষিমন্ত্রী পি প্রসাদের দাবি, ‘ভারত মাতা’র ছবি ব্যবহার আরএসএসের ভাবধারার সঙ্গে সম্পর্কিত।
বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে রাজ্য সরকার আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটি মূলত রাজভবনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে, রাজভবন থেকে শেষ মুহূর্তে নির্দেশ আসে অনুষ্ঠানে ‘ভারত মাতা’র ছবি ব্যবহার করতে হবে। রাজভবনের এই নির্দেশ নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক। মন্ত্রীর দাবি, সরকারি অনুষ্ঠানে ‘ভারত মাতা’র যে ছবি ব্যবহৃত হয়ে আসে এটি সেই ধরনের কোনও ছবি এখানে ‘ভারত মাতা’র যে ছবিটি রয়েছে তা প্রতীকীভাবে আরএসএসের সাথে সম্পৃক্ত।
মন্ত্রীর কথায়, ‘‘আমরা আমাদের শিশুদেরও ‘ভারত মাতা’র পোশাক পরিয়ে থাকি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে। এছাড়াও, এই ধরনের অনুষ্ঠানের জন্য সাধারণভাবে গৃহীত ছবি ব্যবহার করি। কিন্তু রাজ্যপালের কার্যালয় আমাদের এমন একটি ছবি পাঠিয়েছে যা কেবল আরএসএস ব্যবহার করে। রাজভবনের মতো সাংবিধানিক অফিসের অধীনে কোনও সরকারি অনুষ্ঠানে এই ধরনের রাজনৈতিকভাবে অভিযুক্ত প্রতীক প্রদর্শন করা অসাংবিধানিক।’’ এরপরই মন্ত্রী জানিয়ে দেন, সরকার ব্যক্তিগত রাজনৈতিক বিশ্বাসকে সম্মান করে এটা ঠিক।
তাই বলে রাজভবনের একটি সরকারি অনুষ্ঠানে কোনও নির্দিষ্ট সংগঠনের সাথে সম্পর্কিত প্রতীকী ছবি অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। রাজ্য সরকার রাজভবনের শর্তে একমত হতে না পারায় কর্মসূচিটি সচিবালয়ে স্থানান্তরিত করেছে। কোচির বিরোধী দলনেতা ভি ডি সতীশণ রাজভবনের অবস্থানের সমালোচনা করেছেন।
বিগতদিনের ঘটনাগুলি তুলে ধরে তিনি বলেন, আরএসএস নেতাদের রাজ্যপালের বাসভবনে বত্তৃতা দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। রাজ্যপাল গেরুয়াপন্থী মানসিকতায় চলছেন। তিনি আরও বলেন, রাজভবন আরএসএস কার্যকলাপের কেন্দ্রস্থলে পরিণত হওয়া উচিত নয়। রাজ্যপাল একটি সাংবিধানিক পদ। সেখান থেকে এই ধরনের শর্ত আসা অগ্রহণযোগ্য।