১৭ অক্টোবর ২০২৫, শুক্রবার, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শোকপ্রকাশ মোদি, মমতার

প্রয়াত ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবু সোরেন

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৪ অগাস্ট ২০২৫, সোমবার
  • / 162

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: প্রয়াত ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবু সোরেন। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল  ৮১। দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি। ভর্তি ছিলেন দিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালে। তবে শেষরক্ষা হয়নি। অবশেষে সোমবার সকাল ৮:৫৬ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।

জানা গেছে, বার্ধক্যজনিত রোগের সঙ্গে সঙ্গে  জটিল কিডনি রোগেও আক্রান্ত ছিলেন। দেড় মাস আগে স্ট্রোক হয়েছিল তাঁর। তারপর থেকেই লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। জুন মাসের শেষের দিকে দিল্লিতে ভর্তি করা হয় তাঁকে। বিশেষজ্ঞদের একটি দল তাঁর চিকিৎসায় নিয়োজিত ছিলেন।

আরও পড়ুন: প্রয়াত অভিনেতা জয় ব্যানার্জী

সোমবার সকালে এক্স হ্যান্ডেলে পিতার মৃত্যুর খবর দেন শিবু পুত্র হেমন্ত সোরেন। তিনি লেখেন, ‘শ্রদ্ধেয় দিশোম গুরুজি আজ আমাদের সবাইকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন। আজ আমি শূন্য হয়ে গেলাম…’।

আরও পড়ুন: প্রয়াত দক্ষিণী অভিনেত্রী সরোজা দেবী

রবিবার শিবু সোরেনের শারীরিক অবস্থার অবনতির কথা জানতে পেরেই সস্ত্রীক দিল্লি পৌঁছে যান ঝাড়খণ্ডের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী তথা শিবুপুত্র হেমন্ত সোরেন। জেএমএমের বেশ কয়েক জন শীর্ষ নেতাও উপস্থিত ছিলেন হেমন্তের সঙ্গে।

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবু সোরেনের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ‘শিবু সোরেন তৃণমূল স্তরের নেতা ছিলেন। জনগণের প্রতি তাঁর নিষ্ঠা ছিল অটল। জনজীবনের নানা স্তরে উঠে এসেছিলেন তিনি। বিশেষত, উপজাতি সম্প্রদায়, দরিদ্র ও নিপীড়িতদের ক্ষমতায়নের লক্ষে আজীবন লড়াই করেছেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে আমি শোকাহত। ওঁর পরিবার এবং অনুরাগীদের প্রতি আমার সমবেদনা।

তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও । তিনি লিখেছেন, ‘ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রতিষ্ঠাতা এবং আমার আদিবাসী ভাইবোনদের গুরু দিশোম (মহান নেতা) শিবু সোরেনের মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।

আমার ভাই ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, তাঁর পরিবার এবং সকল শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা রইল। আমি ওনাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনতাম ও খুব শ্রদ্ধা করতাম। তাঁর প্রয়াণে ঝাড়খণ্ড ইতিহাসের একটি অধ্যায় আজ শেষ হলো।’

ঝাড়খণ্ড রাজনীতির অন্যতম স্তম্ভ ছিলেন শিবু সোরেন। আদিবাসী স্বার্থ ও সামাজিক ন্যায়ের প্রতিশ্রুতিতে তিনি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত অবদান রেখে গেছেন। তিনি ৩৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন। এমনকি লোকসভার সাংসদ হিসেবেও ৮ বার নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি। শিবু সোরেনের মৃত্যুর সঙ্গে ভারতীয় রাজনীতিতে একটি যুগের সমাপ্তি ঘটলো। তাঁর নেতৃত্ত্ব JMM-কে শক্তিশালী পার্টিতে পরিণত করেছিল। এছাড়াও আধুনিক ঝাড়খণ্ড রাজ্য গঠনে অবিস্মরণীয় ভূমিকা পালন করেছে। ঝাড়খণ্ড রাজনীতির অন্যতম স্তম্ভ ছিলেন শিবু সোরেন।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

শোকপ্রকাশ মোদি, মমতার

প্রয়াত ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবু সোরেন

আপডেট : ৪ অগাস্ট ২০২৫, সোমবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: প্রয়াত ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবু সোরেন। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল  ৮১। দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি। ভর্তি ছিলেন দিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালে। তবে শেষরক্ষা হয়নি। অবশেষে সোমবার সকাল ৮:৫৬ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।

জানা গেছে, বার্ধক্যজনিত রোগের সঙ্গে সঙ্গে  জটিল কিডনি রোগেও আক্রান্ত ছিলেন। দেড় মাস আগে স্ট্রোক হয়েছিল তাঁর। তারপর থেকেই লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। জুন মাসের শেষের দিকে দিল্লিতে ভর্তি করা হয় তাঁকে। বিশেষজ্ঞদের একটি দল তাঁর চিকিৎসায় নিয়োজিত ছিলেন।

আরও পড়ুন: প্রয়াত অভিনেতা জয় ব্যানার্জী

সোমবার সকালে এক্স হ্যান্ডেলে পিতার মৃত্যুর খবর দেন শিবু পুত্র হেমন্ত সোরেন। তিনি লেখেন, ‘শ্রদ্ধেয় দিশোম গুরুজি আজ আমাদের সবাইকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন। আজ আমি শূন্য হয়ে গেলাম…’।

আরও পড়ুন: প্রয়াত দক্ষিণী অভিনেত্রী সরোজা দেবী

রবিবার শিবু সোরেনের শারীরিক অবস্থার অবনতির কথা জানতে পেরেই সস্ত্রীক দিল্লি পৌঁছে যান ঝাড়খণ্ডের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী তথা শিবুপুত্র হেমন্ত সোরেন। জেএমএমের বেশ কয়েক জন শীর্ষ নেতাও উপস্থিত ছিলেন হেমন্তের সঙ্গে।

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবু সোরেনের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ‘শিবু সোরেন তৃণমূল স্তরের নেতা ছিলেন। জনগণের প্রতি তাঁর নিষ্ঠা ছিল অটল। জনজীবনের নানা স্তরে উঠে এসেছিলেন তিনি। বিশেষত, উপজাতি সম্প্রদায়, দরিদ্র ও নিপীড়িতদের ক্ষমতায়নের লক্ষে আজীবন লড়াই করেছেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে আমি শোকাহত। ওঁর পরিবার এবং অনুরাগীদের প্রতি আমার সমবেদনা।

তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও । তিনি লিখেছেন, ‘ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রতিষ্ঠাতা এবং আমার আদিবাসী ভাইবোনদের গুরু দিশোম (মহান নেতা) শিবু সোরেনের মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।

আমার ভাই ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, তাঁর পরিবার এবং সকল শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা রইল। আমি ওনাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনতাম ও খুব শ্রদ্ধা করতাম। তাঁর প্রয়াণে ঝাড়খণ্ড ইতিহাসের একটি অধ্যায় আজ শেষ হলো।’

ঝাড়খণ্ড রাজনীতির অন্যতম স্তম্ভ ছিলেন শিবু সোরেন। আদিবাসী স্বার্থ ও সামাজিক ন্যায়ের প্রতিশ্রুতিতে তিনি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত অবদান রেখে গেছেন। তিনি ৩৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন। এমনকি লোকসভার সাংসদ হিসেবেও ৮ বার নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি। শিবু সোরেনের মৃত্যুর সঙ্গে ভারতীয় রাজনীতিতে একটি যুগের সমাপ্তি ঘটলো। তাঁর নেতৃত্ত্ব JMM-কে শক্তিশালী পার্টিতে পরিণত করেছিল। এছাড়াও আধুনিক ঝাড়খণ্ড রাজ্য গঠনে অবিস্মরণীয় ভূমিকা পালন করেছে। ঝাড়খণ্ড রাজনীতির অন্যতম স্তম্ভ ছিলেন শিবু সোরেন।