০৬ নভেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গো-মাংস সন্দেহে লরিতে অগ্নিসংযোগ, বেধড়ক মারধর চালক-খালাসীকে

সুস্মিতা
  • আপডেট : ৬ জুন ২০২৫, শুক্রবার
  • / 129

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: আলিগড়ের হরদুয়ারগঞ্জের পর ফের গো-মাংস পরিবহনের সন্দেহে লরি চালক এবং খালাসিকে মারধোরের পাশাপাশি ট্রাকে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটলো উত্তরপ্রদেশে।গত মঙ্গলবার রাতে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে গো-মাংস পরিবহনের সন্দেহে মাংস বহনকারী একতি লরির এবং খালাসীকে বেধড়ক মারধোরের অভিযোগ উঠলো হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের একদল সদস্যদের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার জেরে উত্তেজিত জনতা ট্রাকটিতে আগুন ধরিয়ে দিলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকাজুড়ে।

স্থানীয় সংবাদ প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, ভোজপুর-পিলখুয়া রোডের আমরালা গ্রামের কাছে এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় প্রতিবেদন অনুসারে, গত মঙ্গলবার রাত ৯টা নাগাদ ওই ঘটনা ঘটে। একটি ট্রাকে গরুর মাংস বহন করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এমন খবর পেয়েই হিন্দু যুব বাহিনী এবং বজরং দলের নেতা নীরজ শর্মা এবং মধুর নেহরা সংগঠনের কর্মী এবং স্থানীয় স্থানীয় গ্রামবাসীদের নিয়ে মাংস বহনকারী গাড়িটি আটক করে তল্লাশি চালায়।

তল্লাশি চালিয়ে ওই লরিতে প্রচুর পরিমাণে মাংস পাওয়া গিয়েছে এমন দাবি করেই হিন্দু যুব বাহিনী, বজরং দলের কর্মী সহ উত্তেজিত বাসিন্দারা মাংস বহনকারী লরিতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। গাড়িতে অগ্নি সংযোগের পাশাপাশি লরির চালক ইমরান এবং খালাসি ওয়াসিমকে বেধড়ক মারধর করা হয়। চালক এবং খালাসিকে মারধরের পাশাপাশি লরি জ্বালিয়ে দেওয়ার ভিডিও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

ওই ঘটনার ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, জনতা জনতা যখন  ‘দেশ কে গদ্দারোঁ কো, গোলি মারো সালোঁ কো’ (দেশের বিশ্বাসঘাতকদের গুলি করো) এবং পুলিশ প্রশাসন মুর্দাবাদ-এর মতো উত্তেজক স্লোগান দিচ্ছিল তখন পুলিশকে পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে ওই ভিডিয়োতে।

পুলিশের সামনে এমন ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোদিনগর এবং নিওয়াড়ি স্টেশন থেকে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। ওই ঘটনা প্রসঙ্গে সহকারী পুলিশ কমিশনার জ্ঞানপ্রকাশ রাই জানান, মাংস বহনকারী ট্রাক থেকে মাংসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িত কোন পক্ষ থেকে কোনও এফআইআর দায়ের করা হয়নি বলেও জানান সহকারী পুলিস কমিশনার।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

গো-মাংস সন্দেহে লরিতে অগ্নিসংযোগ, বেধড়ক মারধর চালক-খালাসীকে

আপডেট : ৬ জুন ২০২৫, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: আলিগড়ের হরদুয়ারগঞ্জের পর ফের গো-মাংস পরিবহনের সন্দেহে লরি চালক এবং খালাসিকে মারধোরের পাশাপাশি ট্রাকে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটলো উত্তরপ্রদেশে।গত মঙ্গলবার রাতে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে গো-মাংস পরিবহনের সন্দেহে মাংস বহনকারী একতি লরির এবং খালাসীকে বেধড়ক মারধোরের অভিযোগ উঠলো হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের একদল সদস্যদের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার জেরে উত্তেজিত জনতা ট্রাকটিতে আগুন ধরিয়ে দিলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকাজুড়ে।

স্থানীয় সংবাদ প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, ভোজপুর-পিলখুয়া রোডের আমরালা গ্রামের কাছে এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় প্রতিবেদন অনুসারে, গত মঙ্গলবার রাত ৯টা নাগাদ ওই ঘটনা ঘটে। একটি ট্রাকে গরুর মাংস বহন করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এমন খবর পেয়েই হিন্দু যুব বাহিনী এবং বজরং দলের নেতা নীরজ শর্মা এবং মধুর নেহরা সংগঠনের কর্মী এবং স্থানীয় স্থানীয় গ্রামবাসীদের নিয়ে মাংস বহনকারী গাড়িটি আটক করে তল্লাশি চালায়।

তল্লাশি চালিয়ে ওই লরিতে প্রচুর পরিমাণে মাংস পাওয়া গিয়েছে এমন দাবি করেই হিন্দু যুব বাহিনী, বজরং দলের কর্মী সহ উত্তেজিত বাসিন্দারা মাংস বহনকারী লরিতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। গাড়িতে অগ্নি সংযোগের পাশাপাশি লরির চালক ইমরান এবং খালাসি ওয়াসিমকে বেধড়ক মারধর করা হয়। চালক এবং খালাসিকে মারধরের পাশাপাশি লরি জ্বালিয়ে দেওয়ার ভিডিও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

ওই ঘটনার ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, জনতা জনতা যখন  ‘দেশ কে গদ্দারোঁ কো, গোলি মারো সালোঁ কো’ (দেশের বিশ্বাসঘাতকদের গুলি করো) এবং পুলিশ প্রশাসন মুর্দাবাদ-এর মতো উত্তেজক স্লোগান দিচ্ছিল তখন পুলিশকে পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে ওই ভিডিয়োতে।

পুলিশের সামনে এমন ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোদিনগর এবং নিওয়াড়ি স্টেশন থেকে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। ওই ঘটনা প্রসঙ্গে সহকারী পুলিশ কমিশনার জ্ঞানপ্রকাশ রাই জানান, মাংস বহনকারী ট্রাক থেকে মাংসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িত কোন পক্ষ থেকে কোনও এফআইআর দায়ের করা হয়নি বলেও জানান সহকারী পুলিস কমিশনার।