২০ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২৮ পাতার সুইসাইড নোট লিখে ‘আত্মঘাতী’ বেঙ্গালুরুর এক ইঞ্জিনিয়ার

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার
  • / 95

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ২৮ পাতার সুইসাইড নোট লিখে ‘আত্মঘাতী’ বেঙ্গালুরুর এক ইঞ্জিনিয়ার। তিনি ‘ওলা’য় কর্মরত ছিলেন। সুইসাইড নোটে তিনি সংস্থার মালিক ভাবীশ আগরওয়াল এবং একাধিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ এনেছেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই সমাজমাধ্যমে হইচই পড়ে গিয়েছে।

তবে ইতিমধ্যেই ভাবীশের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে খবর। সেই চিঠিতে ছত্রে ছত্রে অফিসের একাধিক উচ্চপদস্থ কর্তাদের বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ লিখে রেখে গিয়েছেন তিনি। কাজের জায়গায় তাঁর উপর হওয়া সেই নির্যাতনের জন্যই আত্মঘাতী হচ্ছেন বলেও দাবি করেছেন কে অরবিন্দ (৩৮) নামের ওই কর্মী।

পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে বেঙ্গালুরু পুলিশ এফআইআর দায়ের করে। সেখানে ভবেশ আগরওয়ালের নাম রয়েছে। ওলার অন্যতম উচ্চপদস্থ কর্মী সুব্রত কুমার দাসের নাম রয়েছে এফআইআর-এ। রয়েছে আরও কয়েকজনের নাম। নিহত ব্যক্তির ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৮ নম্বর ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।

ওলা ইলেকট্রিকের হোমোলোগেশন ইঞ্জিনিয়ার কে অরবিন্দ গত ২৮ সেপ্টেম্বর বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন বলে অভিযোগ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করেছিল। তবে অরবিন্দের মৃত্যুর দু’দিন পর তাঁর অ্যাকাউন্টে ১৭.৪৬ লক্ষ টাকা স্থানান্তরিত হওয়ায় তদন্তকারীদের সন্দেহ বাড়ে।

এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় ওলা ইলেকট্রিকের মুখপাত্র গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং অরবিন্দের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। কোম্পানির দাবি, অরবিন্দ সাড়ে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে ওলা ইলেকট্রিকের সদর দপ্তরে কর্মরত ছিলেন, কিন্তু কখনও কোনও অভিযোগ করেননি।

কোম্পানির তরফে দ্রুত মৃতের পরিবারকে সাহায্য করার জন্য তাঁর প্রাপ্য সম্পূর্ণ টাকা তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা দিয়েছে। ওলা ইলেকট্রিক জানিয়েছে যে, তারা কর্ণাটক হাইকোর্টে এই এফআইআর রুজু হওয়ার বিরুদ্ধে আবেদন জানিয়েছে এবং কোম্পানি ও তার কর্মকর্তাদের পক্ষে আদালত সুরক্ষামূলক আদেশ জারি করেছে।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

২৮ পাতার সুইসাইড নোট লিখে ‘আত্মঘাতী’ বেঙ্গালুরুর এক ইঞ্জিনিয়ার

আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ২৮ পাতার সুইসাইড নোট লিখে ‘আত্মঘাতী’ বেঙ্গালুরুর এক ইঞ্জিনিয়ার। তিনি ‘ওলা’য় কর্মরত ছিলেন। সুইসাইড নোটে তিনি সংস্থার মালিক ভাবীশ আগরওয়াল এবং একাধিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ এনেছেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই সমাজমাধ্যমে হইচই পড়ে গিয়েছে।

তবে ইতিমধ্যেই ভাবীশের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে খবর। সেই চিঠিতে ছত্রে ছত্রে অফিসের একাধিক উচ্চপদস্থ কর্তাদের বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ লিখে রেখে গিয়েছেন তিনি। কাজের জায়গায় তাঁর উপর হওয়া সেই নির্যাতনের জন্যই আত্মঘাতী হচ্ছেন বলেও দাবি করেছেন কে অরবিন্দ (৩৮) নামের ওই কর্মী।

পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে বেঙ্গালুরু পুলিশ এফআইআর দায়ের করে। সেখানে ভবেশ আগরওয়ালের নাম রয়েছে। ওলার অন্যতম উচ্চপদস্থ কর্মী সুব্রত কুমার দাসের নাম রয়েছে এফআইআর-এ। রয়েছে আরও কয়েকজনের নাম। নিহত ব্যক্তির ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৮ নম্বর ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।

ওলা ইলেকট্রিকের হোমোলোগেশন ইঞ্জিনিয়ার কে অরবিন্দ গত ২৮ সেপ্টেম্বর বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন বলে অভিযোগ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করেছিল। তবে অরবিন্দের মৃত্যুর দু’দিন পর তাঁর অ্যাকাউন্টে ১৭.৪৬ লক্ষ টাকা স্থানান্তরিত হওয়ায় তদন্তকারীদের সন্দেহ বাড়ে।

এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় ওলা ইলেকট্রিকের মুখপাত্র গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং অরবিন্দের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। কোম্পানির দাবি, অরবিন্দ সাড়ে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে ওলা ইলেকট্রিকের সদর দপ্তরে কর্মরত ছিলেন, কিন্তু কখনও কোনও অভিযোগ করেননি।

কোম্পানির তরফে দ্রুত মৃতের পরিবারকে সাহায্য করার জন্য তাঁর প্রাপ্য সম্পূর্ণ টাকা তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা দিয়েছে। ওলা ইলেকট্রিক জানিয়েছে যে, তারা কর্ণাটক হাইকোর্টে এই এফআইআর রুজু হওয়ার বিরুদ্ধে আবেদন জানিয়েছে এবং কোম্পানি ও তার কর্মকর্তাদের পক্ষে আদালত সুরক্ষামূলক আদেশ জারি করেছে।