০২ ডিসেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিক্ষায় তামিলনাড়ুর ফান্ড আটকে রাখা চলবে না, কেন্দ্রকে নির্দেশ হাইকোর্টের

চামেলি দাস
  • আপডেট : ১২ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 231

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। একশো দিনের কাজ থেকে শুরু করে আবাস যোজনা সহ একাধিক স্কিমের টাকা আটকে রেখে কেন্দ্র বাংলার প্রতি লাগাতার বঞ্চনা করে চলেছে বলে তাঁর অভিযোগ।

একই অভিযোগ আর এক অবিজেপি শাসিত রাজ্য তামিলনাড়ু সরকারেরও। আর এবার হাইকোর্ট জানিয়ে দিল, টাকা আটকে রাখতে পারবে না কেন্দ্র। যা তামিলনাড়ুর ডিএমকে সরকারের পক্ষে একটি বড় স্বস্তি বলে মনে করছে আইনজ্ঞ মহল।

আরও পড়ুন: লক্ষ লক্ষ ভোটারের নাম কাটার ষড়যন্ত্র করছে কমিশন: এসআইআর নিয়ে নিশানা স্ট্যালিনের

দক্ষিণের এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনেরও দাবি বিভিন্ন স্কিমের টাকা আটকে রেখে বঞ্চনা করছে কেন্দ্র। আর এ নিয়ে তাঁরা হাইকোর্টে মামলাও করেছেন। সেই মামলায় বুধবার মাদ্রাজ হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে, অবিলম্বে শিক্ষা খাতে তামিলনাড়ুর পাওনা টাকা মিটিয়ে দিক কেন্দ্র।

আরও পড়ুন: বিহারের পর এবার তামিলনাড়ু, এক সপ্তাহের মধ্যে শুরু হচ্ছে এসআইআর জানাল কমিশন

হাইকোর্ট স্পষ্ট করে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে, শিক্ষার অধিকার আইনের অধীনে আর্থিক তহবিল মুক্তিকে (ফান্ড রিলিজ) জাতীয় শিক্ষা নীতির সঙ্গে সংযুক্ত না করতে বরং ‘সমগ্র শিক্ষা প্রকল্প’র অধীনে আলাদা আলাদাভাবে তহবিল মুক্তি সুনিশ্চিত করতে। একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে এই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

আরও পড়ুন: ঋতুমতী হওয়ার অপরাধ! প্রিন্সিপালের নির্দেশে ক্লাসের বাইরে বসে পরীক্ষা দলিত ছাত্রীর

পিটিশনে উল্লেখ করা হয়েছিল, কেন্দ্র ফান্ড রিলিজ না করে তা আটকে রেখেছে আর এভাবে তহবিল আটকে রাখার কারণে শিক্ষা অধিকার আইনের অধীনে বেসরকারি স্কুলে ভর্তি প্রক্রিয়া চলতি বছরে শুরুই করা যায়নি। তাই কেন্দ্র অবিলম্বে শিক্ষা ক্ষেত্রে তহবিল মুক্ত করুক।

বিচারপতি জি আর স্বামীনাথন এবং বিচারপতি ভি লক্ষ্মীর ডিভিশন বেঞ্চ এ দিন শুনানির সময় উল্লেখ করে যে, তামিলনাড়ু ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের জন্য ১৮৮ কোটি টাকার আর্থিক বোঝা বহন করছে, যদিও কেন্দ্র এখনও এই টাকা পরিশোধ করেনি। যদিও জবাবে কেন্দ্র আদালতকে বলেছে, তহবিলগুলি বৃহত্তর ভিত্তিতে সমগ্র শিক্ষা প্রকল্পের অংশ।

বরাদ্দকৃত ২,১৫১ কোটি টাকার মধ্যে ২০০ কোটি টাকা শিক্ষা অধিকার আইনের অধীনে বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু,তামিলনাড়ু জাতীয় শিক্ষা নীতি গ্রহণ না করায় তহবিলগুলি আটকে রাখা হয়েছে। বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, বিষয়টি এখনও সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন, তবুও তাঁরা শিক্ষা অধিকার আইনের তহবিলকে জাতীয় শিক্ষা নীতি বাস্তবায়নের সঙ্গে যুক্ত করার কোনও যুক্তি খুঁজে পাননি। আদালত তামিলনাড়ু সরকারকে আইন অনুসারে বেসরকারি স্কুলগুলিতে তহবিল বিতরণের নির্দেশও দিয়েছে।

এদিকে, হাইকোর্টের এ দিনের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রাজ্যের শাসক দল তথা ডিএমকে মুখপাত্র এ সারাভানান বিজেপিকে নিশানা করে বলেছেন, বিজেপি আমাদের উপর হিন্দি চাপিয়ে দিতে পারবে না। বিজেপি পক্ষপাতদুষ্ট। তারা তামিলনাড়ুর জনগণকে শাস্তি দিতে চায়। তারা তামিলদের উন্নতি চায় না।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

শিক্ষায় তামিলনাড়ুর ফান্ড আটকে রাখা চলবে না, কেন্দ্রকে নির্দেশ হাইকোর্টের

আপডেট : ১২ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। একশো দিনের কাজ থেকে শুরু করে আবাস যোজনা সহ একাধিক স্কিমের টাকা আটকে রেখে কেন্দ্র বাংলার প্রতি লাগাতার বঞ্চনা করে চলেছে বলে তাঁর অভিযোগ।

একই অভিযোগ আর এক অবিজেপি শাসিত রাজ্য তামিলনাড়ু সরকারেরও। আর এবার হাইকোর্ট জানিয়ে দিল, টাকা আটকে রাখতে পারবে না কেন্দ্র। যা তামিলনাড়ুর ডিএমকে সরকারের পক্ষে একটি বড় স্বস্তি বলে মনে করছে আইনজ্ঞ মহল।

আরও পড়ুন: লক্ষ লক্ষ ভোটারের নাম কাটার ষড়যন্ত্র করছে কমিশন: এসআইআর নিয়ে নিশানা স্ট্যালিনের

দক্ষিণের এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনেরও দাবি বিভিন্ন স্কিমের টাকা আটকে রেখে বঞ্চনা করছে কেন্দ্র। আর এ নিয়ে তাঁরা হাইকোর্টে মামলাও করেছেন। সেই মামলায় বুধবার মাদ্রাজ হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে, অবিলম্বে শিক্ষা খাতে তামিলনাড়ুর পাওনা টাকা মিটিয়ে দিক কেন্দ্র।

আরও পড়ুন: বিহারের পর এবার তামিলনাড়ু, এক সপ্তাহের মধ্যে শুরু হচ্ছে এসআইআর জানাল কমিশন

হাইকোর্ট স্পষ্ট করে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে, শিক্ষার অধিকার আইনের অধীনে আর্থিক তহবিল মুক্তিকে (ফান্ড রিলিজ) জাতীয় শিক্ষা নীতির সঙ্গে সংযুক্ত না করতে বরং ‘সমগ্র শিক্ষা প্রকল্প’র অধীনে আলাদা আলাদাভাবে তহবিল মুক্তি সুনিশ্চিত করতে। একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে এই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

আরও পড়ুন: ঋতুমতী হওয়ার অপরাধ! প্রিন্সিপালের নির্দেশে ক্লাসের বাইরে বসে পরীক্ষা দলিত ছাত্রীর

পিটিশনে উল্লেখ করা হয়েছিল, কেন্দ্র ফান্ড রিলিজ না করে তা আটকে রেখেছে আর এভাবে তহবিল আটকে রাখার কারণে শিক্ষা অধিকার আইনের অধীনে বেসরকারি স্কুলে ভর্তি প্রক্রিয়া চলতি বছরে শুরুই করা যায়নি। তাই কেন্দ্র অবিলম্বে শিক্ষা ক্ষেত্রে তহবিল মুক্ত করুক।

বিচারপতি জি আর স্বামীনাথন এবং বিচারপতি ভি লক্ষ্মীর ডিভিশন বেঞ্চ এ দিন শুনানির সময় উল্লেখ করে যে, তামিলনাড়ু ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের জন্য ১৮৮ কোটি টাকার আর্থিক বোঝা বহন করছে, যদিও কেন্দ্র এখনও এই টাকা পরিশোধ করেনি। যদিও জবাবে কেন্দ্র আদালতকে বলেছে, তহবিলগুলি বৃহত্তর ভিত্তিতে সমগ্র শিক্ষা প্রকল্পের অংশ।

বরাদ্দকৃত ২,১৫১ কোটি টাকার মধ্যে ২০০ কোটি টাকা শিক্ষা অধিকার আইনের অধীনে বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু,তামিলনাড়ু জাতীয় শিক্ষা নীতি গ্রহণ না করায় তহবিলগুলি আটকে রাখা হয়েছে। বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, বিষয়টি এখনও সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন, তবুও তাঁরা শিক্ষা অধিকার আইনের তহবিলকে জাতীয় শিক্ষা নীতি বাস্তবায়নের সঙ্গে যুক্ত করার কোনও যুক্তি খুঁজে পাননি। আদালত তামিলনাড়ু সরকারকে আইন অনুসারে বেসরকারি স্কুলগুলিতে তহবিল বিতরণের নির্দেশও দিয়েছে।

এদিকে, হাইকোর্টের এ দিনের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রাজ্যের শাসক দল তথা ডিএমকে মুখপাত্র এ সারাভানান বিজেপিকে নিশানা করে বলেছেন, বিজেপি আমাদের উপর হিন্দি চাপিয়ে দিতে পারবে না। বিজেপি পক্ষপাতদুষ্ট। তারা তামিলনাড়ুর জনগণকে শাস্তি দিতে চায়। তারা তামিলদের উন্নতি চায় না।