০১ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘আল্লাহর কাছে শুকরিয়া’ ৫০ বছর পর হজের স্বপ্ন পূরণ জাহিয়ার

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৯ জুন ২০২৩, শুক্রবার
  • / 180

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ৩৪ বছর বয়সে হজ করার নিয়ত করেছিলেন। কিন্তু অর্থাভাবে তা হয়ে ওঠেনি। অবশেষে ৫০ বছর অপেক্ষার পর আল্লাহর ইচ্ছায় সেই স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে মরক্কোর জাহিয়া বুখতা’র। ৮৪ বছর বয়েসে এই প্রথমবারের মতো হজ করতে মক্কা যাচ্ছেন তিনি। মরক্কোর কাসাব্লাঙ্কা শহরের বিমানবন্দর থেকে স্বামীকে নিয়ে মক্কার বিমান ধরেন জাহিয়া। ৫০ বছর পর স্বপ্নপূরণের আনন্দে উচ্ছ্বসিত জাহিয়া বুখতা বলেন, ‘৩০ বছর আগে হজের নিয়ত করেছিলাম।

এখন আমার বয়স ৮৪ বছর। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া; তিনি আমাকে হজ করার তৌফিক দিয়েছেন।’ মূলত আর্থিক কারণেই এত বছর হজ করতে পারেননি উল্লেখ করে মরক্কোর এই নারী বলেন, ‘আমার সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল অর্থের অভাব। মূলত এই কারণেই এত বছর হজ করতে পারিনি। কিন্তু আল্লাহর রহমতে আমি আমার ছেলেকে পেয়েছি।

সে চাকরি করে আমাকে হজে যাওয়ার খরচ তুলে দিয়েছে।’ হজের যেসব বিধি রয়েছে, সেসব বেশ পরিশ্রমসাধ্য। তবে জাহিয়া নিজের শারীরিক সুস্থতা ও সক্ষমতা সম্পর্কে বেশ আত্মবিশ্বাসী। এই বয়সে হজের বিধিবিধান পালন করতে পারবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি এখনও ২৫ বছর বয়সীদের মতো পরিশ্রম করতে পারি।’ ইসলামের ৫টি মূল স্তম্ভের মধ্যে একটির নাম হজ। ইসলামি বিধান অনুযায়ী, প্রত্যেক সামর্থ্যবান পুরুষ ও নারী মুসলিমের জন্য জীবনে অন্তত একবার হজ করা ফরজ।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘আল্লাহর কাছে শুকরিয়া’ ৫০ বছর পর হজের স্বপ্ন পূরণ জাহিয়ার

আপডেট : ৯ জুন ২০২৩, শুক্রবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ৩৪ বছর বয়সে হজ করার নিয়ত করেছিলেন। কিন্তু অর্থাভাবে তা হয়ে ওঠেনি। অবশেষে ৫০ বছর অপেক্ষার পর আল্লাহর ইচ্ছায় সেই স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে মরক্কোর জাহিয়া বুখতা’র। ৮৪ বছর বয়েসে এই প্রথমবারের মতো হজ করতে মক্কা যাচ্ছেন তিনি। মরক্কোর কাসাব্লাঙ্কা শহরের বিমানবন্দর থেকে স্বামীকে নিয়ে মক্কার বিমান ধরেন জাহিয়া। ৫০ বছর পর স্বপ্নপূরণের আনন্দে উচ্ছ্বসিত জাহিয়া বুখতা বলেন, ‘৩০ বছর আগে হজের নিয়ত করেছিলাম।

এখন আমার বয়স ৮৪ বছর। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া; তিনি আমাকে হজ করার তৌফিক দিয়েছেন।’ মূলত আর্থিক কারণেই এত বছর হজ করতে পারেননি উল্লেখ করে মরক্কোর এই নারী বলেন, ‘আমার সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল অর্থের অভাব। মূলত এই কারণেই এত বছর হজ করতে পারিনি। কিন্তু আল্লাহর রহমতে আমি আমার ছেলেকে পেয়েছি।

সে চাকরি করে আমাকে হজে যাওয়ার খরচ তুলে দিয়েছে।’ হজের যেসব বিধি রয়েছে, সেসব বেশ পরিশ্রমসাধ্য। তবে জাহিয়া নিজের শারীরিক সুস্থতা ও সক্ষমতা সম্পর্কে বেশ আত্মবিশ্বাসী। এই বয়সে হজের বিধিবিধান পালন করতে পারবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি এখনও ২৫ বছর বয়সীদের মতো পরিশ্রম করতে পারি।’ ইসলামের ৫টি মূল স্তম্ভের মধ্যে একটির নাম হজ। ইসলামি বিধান অনুযায়ী, প্রত্যেক সামর্থ্যবান পুরুষ ও নারী মুসলিমের জন্য জীবনে অন্তত একবার হজ করা ফরজ।