১৩ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
রেল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ী করছেন নিত্যযাত্রীরা

বর্ধমান স্টেশনে পদপিষ্টে আহত ৭ যাত্রী

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার
  • / 131

সফিকুল ইসলাম (দুলাল) ও সেখ কুতুবউদ্দিন: রবিবার সন্ধ্যায় বর্ধমান স্টেশনে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ৭ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৩ জন মহিলা ও ৪ জন পুরুষ। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রেল পুলিশ ও আরপিএফ সূত্রে জানা গেছে, বিকেল ৫টা ১৫ থেকে ৫টা ২৫ মিনিটের মধ্যে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ছিল হলদিবাড়ি এক্সপ্রেস, আর ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে আসে হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইন ট্রেন। মেন লাইনে ট্রেন ছাড়ার কারণে কিছু যাত্রী দ্রুত ট্রেন ধরতে নিচে নামছিলেন, অন্যদিকে কর্ড লাইন থেকে যাত্রীরা উপরে উঠছিলেন। সিঁড়িতে ভিড় বৃদ্ধির ফলে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর স্টেশনে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। রেল পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন, স্টেশনে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও জন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা না থাকায় বারবার এমন দুর্ঘটনা ঘটছে। এই ঘটনায় বর্ধমানবাসীর মধ্যে উদ্বেগ ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। রেল কর্তৃপক্ষ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং ভবিষ্যতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

বর্ধমান-কাটোয়া ট্রেনযাত্রী অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ও নেতৃত্বরা এই ঘটনার জন্য রেল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, বর্ধমান স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন পাশ্ববর্তী ৮টির বেশি জেলার মানুষ যাতায়াত করেন। এই স্টেশনে বারবার দুর্ঘটনা দুঃখজনক। তাছাড়া রেল লাইনের এপার থেকে ওপারে যাওয়ার জন্য কোনও আলাদা ফুট ব্রিজ নেই। পুরাতন ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার পর থেকেই এই ধরনের ঘটনা বারবার ঘটছে। রেল কর্তৃপক্ষ নজর না দিলে আমরা আন্দোলনে নামবো। বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রব জানান, বর্ধমান স্টেশনে এই ধরণের ঘটনা বারবার ঘটার কারণ, স্টেশনের প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্তরা সচেতন নয়। এই ধরণের ঘটনার হাত থেকে মানুষকে যে ধরণের গুরুদায়িত্ব পালন করা উচিত, এরা তারযোগ্যও নয়। এরা শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ মোতাবেক কাজ করতে গিয়ে সাধারণ মানুষের সুখ স্বাচ্ছ্বন্দ্ বিসর্জন দিচ্ছে।

এই প্রসঙ্গে ইস্টার্ন রেলের চিফ পাবলিকেশন অফিসার দীপ্তিময় দত্ত পুবের কলম প্রতিবেদককে বলেন, পদপিষ্ট হয়ে হয়ে আহত হয়েছে বলে যে প্রচার করা হচ্ছে, সেটা ঠিক নয়। ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন তাঁরা। রেল পুলিশ ও স্টেশন কর্তৃপক্ষ তাঁদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যান। সিপিআরও’র পরামর্শ, অযথা হুড়োহুড়ি করে যাওয়া ঠিক নয়। অভিযোগ, বর্ধমান স্টেশনে একাধিকবার এই ধরণের ঘটনা ঘটছে, এই প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, রেল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নজরে রেখেছে। প্রয়োজনমত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রেল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ী করছেন নিত্যযাত্রীরা

বর্ধমান স্টেশনে পদপিষ্টে আহত ৭ যাত্রী

আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার

সফিকুল ইসলাম (দুলাল) ও সেখ কুতুবউদ্দিন: রবিবার সন্ধ্যায় বর্ধমান স্টেশনে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ৭ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৩ জন মহিলা ও ৪ জন পুরুষ। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রেল পুলিশ ও আরপিএফ সূত্রে জানা গেছে, বিকেল ৫টা ১৫ থেকে ৫টা ২৫ মিনিটের মধ্যে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ছিল হলদিবাড়ি এক্সপ্রেস, আর ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে আসে হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইন ট্রেন। মেন লাইনে ট্রেন ছাড়ার কারণে কিছু যাত্রী দ্রুত ট্রেন ধরতে নিচে নামছিলেন, অন্যদিকে কর্ড লাইন থেকে যাত্রীরা উপরে উঠছিলেন। সিঁড়িতে ভিড় বৃদ্ধির ফলে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর স্টেশনে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। রেল পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন, স্টেশনে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও জন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা না থাকায় বারবার এমন দুর্ঘটনা ঘটছে। এই ঘটনায় বর্ধমানবাসীর মধ্যে উদ্বেগ ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। রেল কর্তৃপক্ষ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং ভবিষ্যতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

বর্ধমান-কাটোয়া ট্রেনযাত্রী অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ও নেতৃত্বরা এই ঘটনার জন্য রেল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, বর্ধমান স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন পাশ্ববর্তী ৮টির বেশি জেলার মানুষ যাতায়াত করেন। এই স্টেশনে বারবার দুর্ঘটনা দুঃখজনক। তাছাড়া রেল লাইনের এপার থেকে ওপারে যাওয়ার জন্য কোনও আলাদা ফুট ব্রিজ নেই। পুরাতন ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার পর থেকেই এই ধরনের ঘটনা বারবার ঘটছে। রেল কর্তৃপক্ষ নজর না দিলে আমরা আন্দোলনে নামবো। বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রব জানান, বর্ধমান স্টেশনে এই ধরণের ঘটনা বারবার ঘটার কারণ, স্টেশনের প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্তরা সচেতন নয়। এই ধরণের ঘটনার হাত থেকে মানুষকে যে ধরণের গুরুদায়িত্ব পালন করা উচিত, এরা তারযোগ্যও নয়। এরা শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ মোতাবেক কাজ করতে গিয়ে সাধারণ মানুষের সুখ স্বাচ্ছ্বন্দ্ বিসর্জন দিচ্ছে।

এই প্রসঙ্গে ইস্টার্ন রেলের চিফ পাবলিকেশন অফিসার দীপ্তিময় দত্ত পুবের কলম প্রতিবেদককে বলেন, পদপিষ্ট হয়ে হয়ে আহত হয়েছে বলে যে প্রচার করা হচ্ছে, সেটা ঠিক নয়। ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন তাঁরা। রেল পুলিশ ও স্টেশন কর্তৃপক্ষ তাঁদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যান। সিপিআরও’র পরামর্শ, অযথা হুড়োহুড়ি করে যাওয়া ঠিক নয়। অভিযোগ, বর্ধমান স্টেশনে একাধিকবার এই ধরণের ঘটনা ঘটছে, এই প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, রেল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নজরে রেখেছে। প্রয়োজনমত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।