১৩ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দলিত-ওবিসিদের মর্যাদা নেই, বিহারে দল ছাড়লেন বিজেপি বিধায়ক

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ১১ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার
  • / 252

পুবের কলম, পাটনা: বিহারের রাজনীতিতে এখন টানটান উত্তেজনা। একদিকে বিজেপি বিরোধী শিবিরের প্রবল আক্রমণ, অন্যদিকে গেরুয়া দলের অন্দরেই ফাটল। সব মিলিয়ে আসন্ন নির্বাচনের আগে বিহারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বেশ সরগরম।

বিহারের আলীনগর কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক মিশ্রি লাল যাদব দল থেকে পদত্যাগ করেছেন এদিন। তার পদত্যাগের কারণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, দলে দলিত ও অন্যান্য পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায় (ওবিসি) সঠিক মর্যাদা পাচ্ছে না এবং তাদের অবহেলা করা হচ্ছে।

এই অভিযোগ বিহারের রাজনীতিতে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ, যেখানে দলিত এবং ওবিসি ভোটব্যাঙ্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওয়াকিফহাল মহলের ধারণা, টিকিট না পাওয়ার জল্পনাতেও তিনি অসন্তুষ্ট ছিলেন। এই বিধায়ক এবার বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ ব্লকে যোগ দিতে পারেন বলে খবর।

বিজেপি যখন অভ্যন্তরীণ চাপে, ঠিক তখনই রাজ্যের প্রধান বিরোধী নেতা তেজস্বী যাদব এক বড় নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনগণের মধ্যে সাড়া ফেলে দিয়েছেন। তিনি ঘোষণা করেছেন যে, তাদের সরকার ক্ষমতায় এলে ২০ মাসের মধ্যে বিহারের প্রতিটি পরিবারে কমপক্ষে একজনকে সরকারি চাকরি দেওয়া হবে।

এর জন্য সরকার গঠনের ২০ দিনের মধ্যে নতুন আইন তৈরি করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি। এই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মধ্যে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর (পিকে) দাবি করেছেন যে, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তেজস্বী যাদব তার নিজের কেন্দ্র রাঘোপুরেই হেরে যাবেন। তার তুলনা—কংগ্রেস নেতা রাহুল যেভাবে একটা সময় আমেঠিতে পরাজিত হয়েছিলেন, ঠিক সেভাবেই তেজস্বীর হার হবে। পিকে-র এই মন্তব্য বিহারের রাজনীতিতে আরও বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।

সব মিলিয়ে, বিহারের রাজনীতিতে একদিকে সরকারি চাকরির মতো জনমুখী প্রতিশ্রুতি দিয়ে তেজস্বী যাদব নিজের ভিত্তি মজবুত করার চেষ্টা করছেন, অন্যদিকে বিজেপি বিধায়কের পদত্যাগের ফলে বিজেপির বিভেদ প্রকাশ্যে চলে এল। এর সঙ্গে প্রশান্ত কিশোরের ভবিষ্যদ্বাণী রাজনৈতিক পারদ আরও চড়িয়ে দিয়েছে। বিহারের এই রাজনৈতিক ছবি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে এক কঠিন টক্করের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

দলিত-ওবিসিদের মর্যাদা নেই, বিহারে দল ছাড়লেন বিজেপি বিধায়ক

আপডেট : ১১ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার

পুবের কলম, পাটনা: বিহারের রাজনীতিতে এখন টানটান উত্তেজনা। একদিকে বিজেপি বিরোধী শিবিরের প্রবল আক্রমণ, অন্যদিকে গেরুয়া দলের অন্দরেই ফাটল। সব মিলিয়ে আসন্ন নির্বাচনের আগে বিহারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বেশ সরগরম।

বিহারের আলীনগর কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক মিশ্রি লাল যাদব দল থেকে পদত্যাগ করেছেন এদিন। তার পদত্যাগের কারণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, দলে দলিত ও অন্যান্য পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায় (ওবিসি) সঠিক মর্যাদা পাচ্ছে না এবং তাদের অবহেলা করা হচ্ছে।

এই অভিযোগ বিহারের রাজনীতিতে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ, যেখানে দলিত এবং ওবিসি ভোটব্যাঙ্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওয়াকিফহাল মহলের ধারণা, টিকিট না পাওয়ার জল্পনাতেও তিনি অসন্তুষ্ট ছিলেন। এই বিধায়ক এবার বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ ব্লকে যোগ দিতে পারেন বলে খবর।

বিজেপি যখন অভ্যন্তরীণ চাপে, ঠিক তখনই রাজ্যের প্রধান বিরোধী নেতা তেজস্বী যাদব এক বড় নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনগণের মধ্যে সাড়া ফেলে দিয়েছেন। তিনি ঘোষণা করেছেন যে, তাদের সরকার ক্ষমতায় এলে ২০ মাসের মধ্যে বিহারের প্রতিটি পরিবারে কমপক্ষে একজনকে সরকারি চাকরি দেওয়া হবে।

এর জন্য সরকার গঠনের ২০ দিনের মধ্যে নতুন আইন তৈরি করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি। এই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মধ্যে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর (পিকে) দাবি করেছেন যে, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তেজস্বী যাদব তার নিজের কেন্দ্র রাঘোপুরেই হেরে যাবেন। তার তুলনা—কংগ্রেস নেতা রাহুল যেভাবে একটা সময় আমেঠিতে পরাজিত হয়েছিলেন, ঠিক সেভাবেই তেজস্বীর হার হবে। পিকে-র এই মন্তব্য বিহারের রাজনীতিতে আরও বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।

সব মিলিয়ে, বিহারের রাজনীতিতে একদিকে সরকারি চাকরির মতো জনমুখী প্রতিশ্রুতি দিয়ে তেজস্বী যাদব নিজের ভিত্তি মজবুত করার চেষ্টা করছেন, অন্যদিকে বিজেপি বিধায়কের পদত্যাগের ফলে বিজেপির বিভেদ প্রকাশ্যে চলে এল। এর সঙ্গে প্রশান্ত কিশোরের ভবিষ্যদ্বাণী রাজনৈতিক পারদ আরও চড়িয়ে দিয়েছে। বিহারের এই রাজনৈতিক ছবি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে এক কঠিন টক্করের ইঙ্গিত দিচ্ছে।