০৬ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাগুইআটিতে জোড়া খুনে গ্রেফতার ৪, মূল অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর চালাল উত্তেজিত মানুষ

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 37

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বাগুইআটিতে দুই ছাত্রকে অপহরণ করে খুনের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। মৃত দুই ছাত্রই ছিল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। কি কারণে এই নৃশংস ঘটনা তাই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে শুধুই মুক্তিপণ, নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বাসন্তীর দুই পৃথক জায়গা ন্যাজাট ও মিনাখাঁ থেকে উদ্ধার করা হয় অপহৃত দুই ছাত্রের মৃতদেহ। মৃতদের নাম অভিষেক নস্কর ও অতনু দে। নয়ানজুলিতে তাদের দেহগুলি পাওয়া যায়।

পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২২ অগস্ট অপহরণ করা হয় অভিষেক নস্কর ও অতনু দে নামে দুই ছাত্রকে। অপহরণের পর  বাড়িতে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে। সেই টাকা না পেতেই খুন। এদিকে এই ঘটনায় স্থানীয় বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় নিহত  ছাত্রের পরিবার। পুলিশ এই ঘটনায়  ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে।

আরও পড়ুন: চাঁদাবাজির অভিযোগ, মণিপুর থেকে গ্রেফতার ৫ নিষিদ্ধ-সংগঠনের সদস্য

অভিযুক্ত অভিজিৎ কে জিজ্ঞাসাবাদ করেই অপরহণকাণ্ডের হদিশ পায় পুলিশ। ইতিমধ্যেই নিহত ছাত্র  অতনু দে-র দেহ শনাক্ত করেছে তার পরিবার। পুলিশের তরফ থেকে বলা হয়েছে, পরিচয়হীন যে দেহগুলি বিভিন্ন জেলার মর্গে রয়েছে, সেগুলি এতটাই ডিম্পোসড হয়ে গিয়েছে যে এখনও চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি৷ সব মিলিয়ে দিশেহারা দুই পরিবার। অভিষেকের পরিবারের তরফে সকালে দাবি করা হয়,  তাঁদের বাড়ির ছেলের  দেহও উদ্ধার করা হয়েছে৷

আরও পড়ুন: প্রতিরক্ষার গোপন তথ্য পাচার, গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার বিশাল যাদব

তবে মূল অভিযুক্ত এখনও ফেরার। জানা গেছে, গত ২২ অগস্ট  বাগুইআটির জগৎপুর খাল পাড়ের বাসিন্দা দুই ছাত্র বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। এরপরই তাদের পরিবারের কাছে এক কোটি টাকার মুক্তিপণ চেয়ে মেসেজ আসে।  পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ করা হয়। পরিবারের অভিযোগ,  পুলিশ কোনওরকম সাহায্য করেনি। প্রথমে নিখোঁজ ডায়েরিও নেওয়া হয়নি। শেষে একটা রেফারেন্সে কেস হয়।

আরও পড়ুন: ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে প্রশ্ন, গ্রেফতার কংগ্রেস নেতা

অন্যদিকে প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, খুন অন্য জায়গায় করা হয়। বাসন্তী হাইওয়ের উপর চলন্ত গাড়ির মধ্যে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় দুই ছাত্রকে। খুনের পর করে দেহ  হাইওয়ে খালের ধারে দেহ ফেলে দেওয়া হয়।

এই অপহরণের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে সত্যেন্দ্র চৌধুরীর বাড়িতে বিক্ষোভ দেখান এলাকার মানুষেরা৷

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বাগুইআটিতে জোড়া খুনে গ্রেফতার ৪, মূল অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর চালাল উত্তেজিত মানুষ

আপডেট : ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বাগুইআটিতে দুই ছাত্রকে অপহরণ করে খুনের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। মৃত দুই ছাত্রই ছিল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। কি কারণে এই নৃশংস ঘটনা তাই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে শুধুই মুক্তিপণ, নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বাসন্তীর দুই পৃথক জায়গা ন্যাজাট ও মিনাখাঁ থেকে উদ্ধার করা হয় অপহৃত দুই ছাত্রের মৃতদেহ। মৃতদের নাম অভিষেক নস্কর ও অতনু দে। নয়ানজুলিতে তাদের দেহগুলি পাওয়া যায়।

পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২২ অগস্ট অপহরণ করা হয় অভিষেক নস্কর ও অতনু দে নামে দুই ছাত্রকে। অপহরণের পর  বাড়িতে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে। সেই টাকা না পেতেই খুন। এদিকে এই ঘটনায় স্থানীয় বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় নিহত  ছাত্রের পরিবার। পুলিশ এই ঘটনায়  ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে।

আরও পড়ুন: চাঁদাবাজির অভিযোগ, মণিপুর থেকে গ্রেফতার ৫ নিষিদ্ধ-সংগঠনের সদস্য

অভিযুক্ত অভিজিৎ কে জিজ্ঞাসাবাদ করেই অপরহণকাণ্ডের হদিশ পায় পুলিশ। ইতিমধ্যেই নিহত ছাত্র  অতনু দে-র দেহ শনাক্ত করেছে তার পরিবার। পুলিশের তরফ থেকে বলা হয়েছে, পরিচয়হীন যে দেহগুলি বিভিন্ন জেলার মর্গে রয়েছে, সেগুলি এতটাই ডিম্পোসড হয়ে গিয়েছে যে এখনও চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি৷ সব মিলিয়ে দিশেহারা দুই পরিবার। অভিষেকের পরিবারের তরফে সকালে দাবি করা হয়,  তাঁদের বাড়ির ছেলের  দেহও উদ্ধার করা হয়েছে৷

আরও পড়ুন: প্রতিরক্ষার গোপন তথ্য পাচার, গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার বিশাল যাদব

তবে মূল অভিযুক্ত এখনও ফেরার। জানা গেছে, গত ২২ অগস্ট  বাগুইআটির জগৎপুর খাল পাড়ের বাসিন্দা দুই ছাত্র বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। এরপরই তাদের পরিবারের কাছে এক কোটি টাকার মুক্তিপণ চেয়ে মেসেজ আসে।  পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ করা হয়। পরিবারের অভিযোগ,  পুলিশ কোনওরকম সাহায্য করেনি। প্রথমে নিখোঁজ ডায়েরিও নেওয়া হয়নি। শেষে একটা রেফারেন্সে কেস হয়।

আরও পড়ুন: ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে প্রশ্ন, গ্রেফতার কংগ্রেস নেতা

অন্যদিকে প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, খুন অন্য জায়গায় করা হয়। বাসন্তী হাইওয়ের উপর চলন্ত গাড়ির মধ্যে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় দুই ছাত্রকে। খুনের পর করে দেহ  হাইওয়ে খালের ধারে দেহ ফেলে দেওয়া হয়।

এই অপহরণের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে সত্যেন্দ্র চৌধুরীর বাড়িতে বিক্ষোভ দেখান এলাকার মানুষেরা৷