২৯ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হিন্দু রীতি মেনে মুসলিম পিতা বিবাহ দিলেন তার পালিত হিন্দু ‘কন্যার’

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ২ অগাস্ট ২০২১, সোমবার
  • / 20

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ দেশে বাড়ছে ধর্মীয় ভেদাভেদ। তারমধ্যেই ফের উজ্জ্বল হয়ে উঠল কর্ণাটকের এক মুসলিমের ‘হিন্দু মেয়ের প্রতি দায়িত্ব পালনের ছবি ।

যখন রাজ্যের বিজেপি সরকার “লাভ জিহাদ” এর বিরুদ্ধে একটি আইন পাস করার কথা ভাবছে, তখন একটি ঘটনা যা প্রত্যককে আলোড়িত করবে। একজন মুসলিম যিনি ১৮ বছর বয়সী এক হিন্দু মেয়ের অভিভাবক শুক্রবার হিন্দু রীতি অনুযায়ী হিন্দু পুরুষের সঙ্গেই তার বিবাহের আয়োজন করলেন।খরচ করে বিয়ে দিলেন।

আরও পড়ুন: ওবিসি সংরক্ষণ কার্যকর হচ্ছে না, বিভিন্ন উপায়ে ওবিসিদের আটকে দেওয়ার অভিযোগ, সমাধান কোনপথে? লিখছেন আইআইটি মুম্বাইয়ের গবেষক

  আর এ জন্যে কর্ণাটকের আলমেল শহরে মেহবুব মাসলির বাড়ি ফুল দিয়ে সাজানো এবং  আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে। কারণ পরিবারটি তাদের মেয়ে পূজা ভাদিগেরির বিয়েতে বেশ ব্যস্ত ছিলেন। । এই মেয়েটি এক দশক আগে এতিম ছিলেন। অসুস্থতার কারণে তার বাবা -মাকে হারানোর সময় যখন তার আত্মীয়রা কেউই পূজাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি, তখন একই এলাকায় বসবাসরত মেহবুব এবং তার পরিবার তাকে লালন পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়। তিনি এই হিন্দু মেয়েকে তার বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছিলেন, যদিও তার নিজের দুটি ছেলে এবং দুই মেয়ে রয়েছে। তিনি মেয়েটির বিয়ে দেওয়ার জন্য যথাযথ আয়োজন করেন। তারপর ২১ বছর বয়সী শঙ্করের সঙ্গে পূজার বিবাহ হিন্দু রীতি অনুসারে দিলেন। একটি পোস্ট সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ভাইরাল হয় এবং মেহবুব এবং তার পরিবার টক অব দ্য টাউনে পরিণত হন। মেহবুব মাসলী নামে এই ঠিকাদার সাংবাদিকদের বলেন, “মেয়েটির অভিভাবক হওয়ায় সে যে সম্প্রদায়ের  তার সঙ্গে বিয়ে দেওয়া আমারই দায়িত্ব। যদিও পূজা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে আমাদের বাড়িতে বেড়ে ওঠে, আমি তাকে কখনও আমার ধর্ম পালনে বা আমাদের ধর্মের ছেলেকে  বিয়ে করতে বাধ্য করিনি। এটা আমাদের ধর্মের নীতির পরিপন্থী। সেও আমার মেয়ে। আমি বাসভানা বাগেওয়াড়ি তালুকের একটি গ্রাম থেকে তার জন্য পাত্র খুঁজে পেলাম। শঙ্কর এবং তার বাবা -মা যৌতুকের দাবি না করে মেয়েটিকে তাদের পরিবারে স্বাগত জানাতে পেরে খুশি হয়েছে। আমি সমাজকেও একটি বার্তা দিতে চাই যে প্রত্যেকেরই সম্প্রীতিতে বসবাস করা উচিত। ”  মেহবুবের পালিত কন্যা পূজা বলেন, “এরকম অভিভাবক পেয়ে আমি ধন্য। তারা আমাকে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বড় করেছে এবং আমাকে আমার ধর্ম অনুসরণ করার অনুমতি দিয়েছে। বিয়ে আমার জীবনের অন্যতম সেরা মুহূর্ত। তারা আমার প্রতি যে ভালোবাসা ও স্নেহ দিয়েছে তা বর্ণনা করতে পারব না। ”

আরও পড়ুন: টেক্সাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১০, আহত ২০

আরও পড়ুন: হিজরি নববর্ষের আগাম শুভেচ্ছা জানাল আরব আমিরাত

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

হিন্দু রীতি মেনে মুসলিম পিতা বিবাহ দিলেন তার পালিত হিন্দু ‘কন্যার’

আপডেট : ২ অগাস্ট ২০২১, সোমবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ দেশে বাড়ছে ধর্মীয় ভেদাভেদ। তারমধ্যেই ফের উজ্জ্বল হয়ে উঠল কর্ণাটকের এক মুসলিমের ‘হিন্দু মেয়ের প্রতি দায়িত্ব পালনের ছবি ।

যখন রাজ্যের বিজেপি সরকার “লাভ জিহাদ” এর বিরুদ্ধে একটি আইন পাস করার কথা ভাবছে, তখন একটি ঘটনা যা প্রত্যককে আলোড়িত করবে। একজন মুসলিম যিনি ১৮ বছর বয়সী এক হিন্দু মেয়ের অভিভাবক শুক্রবার হিন্দু রীতি অনুযায়ী হিন্দু পুরুষের সঙ্গেই তার বিবাহের আয়োজন করলেন।খরচ করে বিয়ে দিলেন।

আরও পড়ুন: ওবিসি সংরক্ষণ কার্যকর হচ্ছে না, বিভিন্ন উপায়ে ওবিসিদের আটকে দেওয়ার অভিযোগ, সমাধান কোনপথে? লিখছেন আইআইটি মুম্বাইয়ের গবেষক

  আর এ জন্যে কর্ণাটকের আলমেল শহরে মেহবুব মাসলির বাড়ি ফুল দিয়ে সাজানো এবং  আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে। কারণ পরিবারটি তাদের মেয়ে পূজা ভাদিগেরির বিয়েতে বেশ ব্যস্ত ছিলেন। । এই মেয়েটি এক দশক আগে এতিম ছিলেন। অসুস্থতার কারণে তার বাবা -মাকে হারানোর সময় যখন তার আত্মীয়রা কেউই পূজাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি, তখন একই এলাকায় বসবাসরত মেহবুব এবং তার পরিবার তাকে লালন পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়। তিনি এই হিন্দু মেয়েকে তার বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছিলেন, যদিও তার নিজের দুটি ছেলে এবং দুই মেয়ে রয়েছে। তিনি মেয়েটির বিয়ে দেওয়ার জন্য যথাযথ আয়োজন করেন। তারপর ২১ বছর বয়সী শঙ্করের সঙ্গে পূজার বিবাহ হিন্দু রীতি অনুসারে দিলেন। একটি পোস্ট সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ভাইরাল হয় এবং মেহবুব এবং তার পরিবার টক অব দ্য টাউনে পরিণত হন। মেহবুব মাসলী নামে এই ঠিকাদার সাংবাদিকদের বলেন, “মেয়েটির অভিভাবক হওয়ায় সে যে সম্প্রদায়ের  তার সঙ্গে বিয়ে দেওয়া আমারই দায়িত্ব। যদিও পূজা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে আমাদের বাড়িতে বেড়ে ওঠে, আমি তাকে কখনও আমার ধর্ম পালনে বা আমাদের ধর্মের ছেলেকে  বিয়ে করতে বাধ্য করিনি। এটা আমাদের ধর্মের নীতির পরিপন্থী। সেও আমার মেয়ে। আমি বাসভানা বাগেওয়াড়ি তালুকের একটি গ্রাম থেকে তার জন্য পাত্র খুঁজে পেলাম। শঙ্কর এবং তার বাবা -মা যৌতুকের দাবি না করে মেয়েটিকে তাদের পরিবারে স্বাগত জানাতে পেরে খুশি হয়েছে। আমি সমাজকেও একটি বার্তা দিতে চাই যে প্রত্যেকেরই সম্প্রীতিতে বসবাস করা উচিত। ”  মেহবুবের পালিত কন্যা পূজা বলেন, “এরকম অভিভাবক পেয়ে আমি ধন্য। তারা আমাকে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বড় করেছে এবং আমাকে আমার ধর্ম অনুসরণ করার অনুমতি দিয়েছে। বিয়ে আমার জীবনের অন্যতম সেরা মুহূর্ত। তারা আমার প্রতি যে ভালোবাসা ও স্নেহ দিয়েছে তা বর্ণনা করতে পারব না। ”

আরও পড়ুন: টেক্সাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১০, আহত ২০

আরও পড়ুন: হিজরি নববর্ষের আগাম শুভেচ্ছা জানাল আরব আমিরাত