Wage dispute: পাওনা টাকা ফেরত চাইতেই মুম্বইয়ে কান কেটে দেওয়া হল বাংলার শ্রমিকের
- আপডেট : ১৪ অগাস্ট ২০২৫, বৃহস্পতিবার
- / 277
পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: এবার মুম্বইয়ে আক্রান্ত বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিক (Bengali-speaking migrant worker )। পাওনা টাকা (Wage dispute) ফেরত চাওয়ায় বীরভূমের নলহাটির ওই শ্রমিকের ২টি কানই কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল ঠিকাদারের বিরুদ্ধে।দিনের পর দিন মজুরি না পেয়ে থানায় অভিযোগ জানানোয় মুম্বইয়ে বাংলাভাষী এক পরিযায়ী শ্রমিকের কান কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতে বাংলা-ভাষীদের ওপর আক্রমণ, নির্যাতন অব্যাহত। চলছে দিকে দিকে ‘বঙ্গাল খেদা’ অভিযান। দেশজুড়ে আক্রান্ত বাঙালি ও বাংলা ভাষা । শুধু অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই না, ‘বাংলাদেশি’ তকমা দিয়ে পরিযায়ী পশ্চিমবঙ্গবাসী শ্রমিক খেদানোর বিষয়টিও এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। অতীতে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে বাংলা-ভাগের চক্রান্ত করেছিল ব্রিটিশরা।
পরিস্থিতি বুঝতে পেরে পথে নেমেছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। রাখি পরিয়ে বাঙালির সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলেছিলেন তিনি। এখন আবার সেই বিদ্বেষের বিষ ছড়িয়ে দিতে সক্রিয় হয়েছে বিজেপি। বিশেষ করে আর বিজেপি বংশবদ পুলিশের দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে তারা। ফি-দিন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নিত্যনতুন ঘটনা সামনে আসছে।
উল্লেখ্য, আক্রান্ত ওই যুবকের নাম রাহুল সিং। বীরভূমের নলহাটির বাসিন্দা। মাসছয়েক আগে মুম্বইয়ের মালাড এলাকায় একটি ঠিকাদার সংস্থায় শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিলেন রাহুল। প্রথম দিকে, সময়মতো মজুরি মিললেও গত দু’মাস কাজ করিয়েও কোনও টাকা দেওয়া হয়নি। বারবার বলেও কোনও লাভ হয়নি। উল্টে হুমকি-ধামকি দিয়ে চুপ করিয়ে দিতেন।
এদিন বাড়ি ফিরতে চেয়ে ঠিকাদারের কাছে ফের পাওনা ২০ হাজার টাকা চেয়েছিলেন তিনি। না মেলায় স্থানীয় থানায় ঠিকাদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। খবর পেতেই তাঁকে শায়েস্তা করতে বাহিনী পাঠান ‘শেঠ’। সেখানেই এক পর্যায়ে কেটে নেওয়া হয়েছে ওই যুবকের দু’টি কানই। মুম্বইয়ে যে ঠিকাদারের অধীনে তিনি কাজ করেন, তাঁর দলবলই হামলা চালিয়েছে বলে রাহুল সিংহ নামে ওই পরিযায়ী শ্রমিকের অভিযোগ। সেখান থেকে কোনওভাবে পালিয়ে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি হন রাহুল। তবে কোনওভাবে আর তার কান জোড়া লাগানো যায়নি। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতেই প্রাণ বাঁচিয়ে বাড়ি ফেরেন রাহুল। এসে সবাইকে সবটা জানান। রাহুল আরও বলেন, আধার কার্ড-ভোটার কার্ড সব কিছু ফেলে পালিয়ে এসেছি। মোবাইল তো ওরা আগেই কেড়ে রেখেছিল।’
ঘটনাপ্রসঙ্গে রাহুলের বাবা সংবাদ মাধ্যমে জানান, আমরা আর্থিক দিক থেকে স্বচ্ছল না। অনেক কষ্ট করে ছেলেকে কাজে পাঠিয়েছিলাম। একবুক আশা নিয়ে ছেলেও উন্নত ভবিষ্যতের কথা ভেবে ভিনরাজ্যে পাড়ি দেয়। কে জানত এই রকম কালরাত্রী নামবে। আমাদের কল্পনাতেও এহেন ঘটনা কখনও আসেনি। আমরা চাই স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করুক।
এদিকে খবর পেয়েই বুধবার ওই পরিযায়ীর বাড়িতে যান নলহাটির তৃণমূলের বিধায়ক রাজেন্দ্র প্রসাদ সিং। তিনি বলেন, ‘দেশ জুড়ে বাঙালিদের উপরে অত্যাচার অব্যাহত । তাই বলে কান কেটে নেবে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। ওই শ্রমিকের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পরিবার চাইলে পুলিশের দ্বারস্থ হব আমরা।’































