১০ নভেম্বর ২০২৫, সোমবার, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কাজের চাপে মৃত্যু বিএলও-র, অভিযোগ পরিবারের

মোক্তার হোসেন মন্ডল
  • আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৫, সোমবার
  • / 53

পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারিতে কাজের চাপে প্রাণ গেল এক বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও)-এর। অভিযোগ পরিবারের। মৃতার নাম নমিতা হাঁসদা (৪৫), পেশায় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। তিনি মেমারির চক বলরামপুরের ২৭৮ নম্বর বুথে বিএলও হিসাবে দায়িত্বে ছিলেন।

শনিবার রাতেই তিনি ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। দ্রুত তাঁকে কালনা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি।

মৃতার স্বামী মাধব হাঁসদা অভিযোগ করেছেন, ভোটার তালিকা সংশোধন (SIR) পর্বে এনুমারেশন ফর্ম বিলির জন্য প্রশাসনের তরফে প্রবল চাপ দেওয়া হচ্ছিল। সেই চাপ সামলাতে না পেরেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন নমিতা।
স্বামীর কথায়, “রোজ রোজ বলা হচ্ছিল, আরও বেশি ফর্ম বিলি করতে হবে! খুব চাপে ছিল ও। শনিবার রাত পর্যন্ত কাজ করছিল। কর্মরত অবস্থাতেই স্ট্রোক হয়, রাতে মারা যায়।”

 

ঘটনা নিয়ে প্রশাসনের তরফে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন জেলাশাসক আয়েশা রানি। তিনি জানান, “ঘটনার খবর পেয়েছি। সাধারণত যাঁরা অসুস্থ, তাঁদের বিএলও ডিউটি থেকে বাদ দেওয়া হয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

এদিকে, ভোটকর্মী ও বিএলও ঐক্যমঞ্চের সম্পাদক স্বপন মণ্ডল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-এর দফতরে চিঠি দিয়ে নমিতা হাঁসদার পরিবারকে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, আগামী ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভোটার তালিকা যাচাই সংক্রান্ত ‘এনুমারেশন ফর্ম’ বিলি ও সংগ্রহের কাজ চলবে। বুথ লেভেল অফিসাররা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছেন। ৯ ডিসেম্বর প্রকাশ পাবে প্রাথমিক খসড়া ভোটার তালিকা।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কাজের চাপে মৃত্যু বিএলও-র, অভিযোগ পরিবারের

আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৫, সোমবার

পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারিতে কাজের চাপে প্রাণ গেল এক বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও)-এর। অভিযোগ পরিবারের। মৃতার নাম নমিতা হাঁসদা (৪৫), পেশায় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। তিনি মেমারির চক বলরামপুরের ২৭৮ নম্বর বুথে বিএলও হিসাবে দায়িত্বে ছিলেন।

শনিবার রাতেই তিনি ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। দ্রুত তাঁকে কালনা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি।

মৃতার স্বামী মাধব হাঁসদা অভিযোগ করেছেন, ভোটার তালিকা সংশোধন (SIR) পর্বে এনুমারেশন ফর্ম বিলির জন্য প্রশাসনের তরফে প্রবল চাপ দেওয়া হচ্ছিল। সেই চাপ সামলাতে না পেরেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন নমিতা।
স্বামীর কথায়, “রোজ রোজ বলা হচ্ছিল, আরও বেশি ফর্ম বিলি করতে হবে! খুব চাপে ছিল ও। শনিবার রাত পর্যন্ত কাজ করছিল। কর্মরত অবস্থাতেই স্ট্রোক হয়, রাতে মারা যায়।”

 

ঘটনা নিয়ে প্রশাসনের তরফে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন জেলাশাসক আয়েশা রানি। তিনি জানান, “ঘটনার খবর পেয়েছি। সাধারণত যাঁরা অসুস্থ, তাঁদের বিএলও ডিউটি থেকে বাদ দেওয়া হয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

এদিকে, ভোটকর্মী ও বিএলও ঐক্যমঞ্চের সম্পাদক স্বপন মণ্ডল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-এর দফতরে চিঠি দিয়ে নমিতা হাঁসদার পরিবারকে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, আগামী ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভোটার তালিকা যাচাই সংক্রান্ত ‘এনুমারেশন ফর্ম’ বিলি ও সংগ্রহের কাজ চলবে। বুথ লেভেল অফিসাররা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছেন। ৯ ডিসেম্বর প্রকাশ পাবে প্রাথমিক খসড়া ভোটার তালিকা।