কোনও বাঙালি কাশ্মীর যাবেন না
‘যেখানে মুসলিম জনসংখ্যা বেশি সেখানে যাবেন না’,বিতর্কিত মন্তব্য শুভেন্দু অধিকারীর
- আপডেট : ১১ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার
- / 299
পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: যেখানে মুসলিম জনসংখ্যা বেশি সেখানে যাবেন না’,বিতর্কিত মন্তব্য শুভেন্দু অধিকারীর। কাশ্মীরের পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় নাগরিকের মৃত্যু ঘিরে যখন গোটা দেশ শোকস্তব্ধ, তখন এই ঘটনার জেরে কাশ্মীর ভ্রমণ নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে যে ভীতি তৈরি হয়েছে, তা দূর করতে উদ্যোগী হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে। কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাও দেশবাসীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ভূস্বর্গে ফের আসার জন্য। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন, এমনকি নিজে কাশ্মীর যেতে পারেন বলেও সূত্রের খবর।
এই পরিস্থিতিতে সম্পূর্ণ ভিন্ন মেরুতে অবস্থান নিলেন বিজেপি নেতা তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন,”কোনও বাঙালি কাশ্মীর যাবেন না। যেখানে মুসলিম জনসংখ্যা বেশি, সেখানে যাবেন না।”
তিনি আরও বলেন,”আমি একজন বিধায়ক নই, বরং সচেতন নাগরিক হিসাবে বলছি—কাশ্মীর নয়, জম্মু যান, হিমাচল যান, উত্তরাখণ্ড যান, ওড়িশা যান। প্রাণ আগে। সন্তানদের জীবন বাঁচান। মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় যাবেন না।”
এই বক্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। একজন জনপ্রতিনিধি কীভাবে গোটা মুসলিম সম্প্রদায়কে এভাবে দাগিয়ে দিতে পারেন, উঠছে সেই প্রশ্ন। বিশেষ করে যখন তাঁর দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব প্রধানমন্ত্রী মোদি নিজে কাশ্মীরে পর্যটকদের যেতে উৎসাহ দিচ্ছেন, তখন শুভেন্দুর এহেন বক্তব্য বিজেপির কেন্দ্রীয় অবস্থানের সঙ্গেও সাংঘর্ষিক।
এই বক্তব্যের ফলে প্রশ্ন উঠছে— তিনি কি তাহলে কাশ্মীরের নিরাপত্তা নিয়ে আস্থা হারিয়েছেন? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ব্যবস্থার প্রতি কি তাঁর আস্থা নেই? একজন বিধায়ক কীভাবে ধর্মের ভিত্তিতে ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করতে পারেন?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, শুভেন্দুর মন্তব্য শুধু বিদ্বেষমূলক নয়, বরং দেশের একতা ও সাংবিধানিক মূল্যবোধেরও পরিপন্থী।













































