০৫ নভেম্বর ২০২৫, বুধবার, ১৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

Israel airstrikes on Doha: হামাসের মধ্যস্থতাকারী নেতাদের লক্ষ্য করে ইসরাইলের হামলা

মারুফা খাতুন
  • আপডেট : ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 323

কাতারের তীব্র নিন্দা

ইসরাইলি যুদ্ধবিমান কাতারের রাজধানী দোহায় হামাস প্রতিরোধ আন্দোলনের সদর দফতরে বিমান হামলা চালিয়েছে, যা ইসরাইলি গণমাধ্যম একটি “হত্যা অভিযান” হিসেবে বর্ণনা করেছে।

 

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : কাতারের রাজধানী দোহাতে হামাসের নেতাদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল (Israel airstrikes on Doha)। মঙ্গলবার বিকেলে দোহার আকাশে কালো ধোঁয়া দেখা যায় এবং বিস্ফোরণের শব্দে পুরো শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, বিস্ফোরণ এত শক্তিশালী ছিল যে কয়েকটি স্থানে জানালার কাচ ভেঙে যায়।

আরও পড়ুন: কাতারে হামাস নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে ইসরাইলি বাহিনীর হামলা

ইসরাইলি সামরিক বাহিনী হামলার দায় স্বীকার করেছে এবং জানায়, হামলার লক্ষ্য ছিল সংক্ষিপ্ত পরিসরে হামাসের শীর্ষ নেতৃত্ব। যদিও তারা নির্দিষ্ট অবস্থান বা কোনো ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেনি, তবে হামলার সঙ্গে শিন বেত নিরাপত্তা সংস্থার যৌথ অভিযানের কথা বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ইসরাইলের নাম না নিয়ে কাতারে হামলার বিরুদ্ধে মোদির পোস্ট

হামাসের একজন কর্মকর্তা বিবিসি ও সিএনএনকে জানিয়েছেন, হামলার সময় দোহায় একটি মধ্যস্থতাকারী প্রতিনিধি দল বৈঠক করছিল। এই বৈঠকে তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব এবং আঞ্চলিক শান্তি প্রসঙ্গে আলোচনা করছিল। হামলার মাধ্যমে ইসরাইল তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সরাসরি আঘাত হানার চেষ্টা করেছে।

আরও পড়ুন: সিরিয়ার বিমানবন্দরে ইসরায়েলি হানা, নিহত কমপক্ষে ৫ সেনা

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বলেন, “এই হামলা আন্তর্জাতিক আইন ও মানবিক বিধির স্পষ্ট লঙ্ঘন। এটি কাতারের নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি।” তিনি আরও বলেন, হামলার লক্ষ্য ছিল এমন একটি আবাসিক ভবন, যেখানে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর কয়েকজন সদস্য অবস্থান করছিলেন।

 

 

কাতার সরকার স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, দেশের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার ওপর হুমকি সৃষ্টিকারী কোনো পদক্ষেপ বরদাশত করা হবে না। সর্বোচ্চ পর্যায়ে তদন্ত চলছে এবং যত দ্রুত সম্ভব বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে। কাতার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে, এই ধরনের হামলার পুনরাবৃত্তি হলে আন্তর্জাতিকভাবে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

দীর্ঘদিন ধরে হামাসের শীর্ষ নেতৃত্ব গাজা উপত্যকার বাইরে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দোহাকে ব্যবহার করে আসছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের পরে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেক বাসিন্দা তাদের পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এছাড়া, হামলার পর কিছু স্থানীয় রাস্তা সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়, এবং উদ্ধারকর্মীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেন।

এই হামলা এমন সময় ঘটেছে যখন পশ্চিম এশিয়ায় যুদ্ধবিরতি এবং শান্তি আলোচনার প্রচেষ্টা তীব্র হচ্ছে। ইসরাইলের (Israel airstrikes on Doha) এই কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচিত হয়েছে এবং কাতারের মতো দেশগুলোকে উদ্বিগ্ন করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই হামলা শুধু হামাসকেই লক্ষ্য করে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও আন্তর্জাতিক শান্তি প্রক্রিয়ার ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

Israel airstrikes on Doha: হামাসের মধ্যস্থতাকারী নেতাদের লক্ষ্য করে ইসরাইলের হামলা

আপডেট : ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার

কাতারের তীব্র নিন্দা

ইসরাইলি যুদ্ধবিমান কাতারের রাজধানী দোহায় হামাস প্রতিরোধ আন্দোলনের সদর দফতরে বিমান হামলা চালিয়েছে, যা ইসরাইলি গণমাধ্যম একটি “হত্যা অভিযান” হিসেবে বর্ণনা করেছে।

 

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : কাতারের রাজধানী দোহাতে হামাসের নেতাদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল (Israel airstrikes on Doha)। মঙ্গলবার বিকেলে দোহার আকাশে কালো ধোঁয়া দেখা যায় এবং বিস্ফোরণের শব্দে পুরো শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, বিস্ফোরণ এত শক্তিশালী ছিল যে কয়েকটি স্থানে জানালার কাচ ভেঙে যায়।

আরও পড়ুন: কাতারে হামাস নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে ইসরাইলি বাহিনীর হামলা

ইসরাইলি সামরিক বাহিনী হামলার দায় স্বীকার করেছে এবং জানায়, হামলার লক্ষ্য ছিল সংক্ষিপ্ত পরিসরে হামাসের শীর্ষ নেতৃত্ব। যদিও তারা নির্দিষ্ট অবস্থান বা কোনো ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেনি, তবে হামলার সঙ্গে শিন বেত নিরাপত্তা সংস্থার যৌথ অভিযানের কথা বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ইসরাইলের নাম না নিয়ে কাতারে হামলার বিরুদ্ধে মোদির পোস্ট

হামাসের একজন কর্মকর্তা বিবিসি ও সিএনএনকে জানিয়েছেন, হামলার সময় দোহায় একটি মধ্যস্থতাকারী প্রতিনিধি দল বৈঠক করছিল। এই বৈঠকে তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব এবং আঞ্চলিক শান্তি প্রসঙ্গে আলোচনা করছিল। হামলার মাধ্যমে ইসরাইল তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সরাসরি আঘাত হানার চেষ্টা করেছে।

আরও পড়ুন: সিরিয়ার বিমানবন্দরে ইসরায়েলি হানা, নিহত কমপক্ষে ৫ সেনা

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বলেন, “এই হামলা আন্তর্জাতিক আইন ও মানবিক বিধির স্পষ্ট লঙ্ঘন। এটি কাতারের নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি।” তিনি আরও বলেন, হামলার লক্ষ্য ছিল এমন একটি আবাসিক ভবন, যেখানে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর কয়েকজন সদস্য অবস্থান করছিলেন।

 

 

কাতার সরকার স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, দেশের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার ওপর হুমকি সৃষ্টিকারী কোনো পদক্ষেপ বরদাশত করা হবে না। সর্বোচ্চ পর্যায়ে তদন্ত চলছে এবং যত দ্রুত সম্ভব বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে। কাতার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে, এই ধরনের হামলার পুনরাবৃত্তি হলে আন্তর্জাতিকভাবে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

দীর্ঘদিন ধরে হামাসের শীর্ষ নেতৃত্ব গাজা উপত্যকার বাইরে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দোহাকে ব্যবহার করে আসছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের পরে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেক বাসিন্দা তাদের পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এছাড়া, হামলার পর কিছু স্থানীয় রাস্তা সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়, এবং উদ্ধারকর্মীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেন।

এই হামলা এমন সময় ঘটেছে যখন পশ্চিম এশিয়ায় যুদ্ধবিরতি এবং শান্তি আলোচনার প্রচেষ্টা তীব্র হচ্ছে। ইসরাইলের (Israel airstrikes on Doha) এই কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচিত হয়েছে এবং কাতারের মতো দেশগুলোকে উদ্বিগ্ন করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই হামলা শুধু হামাসকেই লক্ষ্য করে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও আন্তর্জাতিক শান্তি প্রক্রিয়ার ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে।