০৬ জুন ২০২৫, শুক্রবার, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কাজ নিয়ে অজুহাত নয়, সরকারি কাজে গাফিলতি চলবে না, প্রশাসনিক বৈঠক থেকে কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২, বৃহস্পতিবার
  • / 26

নেতাজি ইন্ডোরে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-ছবি (সন্দীপ সাহা)

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ আজ নেতাজি ইন্ডোর থেকে প্রশাসনিক বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী সব আধিকারিকদের কড়াভাবে বলেন, কাজ নিয়ে অজুহাত দেওয়া চলবে না। ওপরতলার অফিসাররা নিচের অফিসারদের দিকে কাজ ঠেলে দিচ্ছে। এটা চরম অবহেলার প্রতিচ্ছবি। নিজের দফতরের কাজ নিজেকে খেয়াল রাখতে হবে। পয়সা দিলাম আর মেলা করলাম, সেভাবে চলবে না। সরকারি কাজে গাফিলতি চলবে না। মুখ্যমন্ত্রী জানান,  এখন সংক্রমণ কমছে। কাজেই সতর্ক থেকে স্বাভাবিক জীবনে থাকতে হবে। তিনি দাবি করেন, প্রথম ধাপে ৯৫ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে এবং দ্বিতীয় ধাপে ৭২ শতাংশ মানুষ টিকা নিতে পেরেছে। অনেকেই ভাবছে প্রথম ডোজ নিয়েছি। আর সেকেন্ড ডোজ না নিলেও চলবে। মানুষকে সচেতন হতে হবে। লড়তে লড়তে করোনা হতদ্যম হয়ে পড়বে।

কাজ নিয়ে অজুহাত নয়, সরকারি কাজে গাফিলতি চলবে না, প্রশাসনিক বৈঠক থেকে কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

আরও পড়ুন: ৭ দিনের লন্ডন সফরে মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা দেখতে বিশেষ টাস্ক ফোর্স

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কাজের জন্য ব্যাঙ্কগুলি অসযোগিতা করছে। কেউ না দিলে সমবায় ব্যাঙ্ক ঋণ দেবে। সরকার গ্যারান্টি দিচ্ছে। ঋণ দিতে অসুবিধা কোথায়। ব্যাঙ্ক যে দয়া করছে না, তা বুঝিয়ে দিতে হবে। যে সমবায় ব্যাঙ্ক ঋণ দিচ্ছে না, তার কাছ থেকে জবাব চাওয়া হবে।

আরও পড়ুন: হেমন্ত রাজ্যে মুসলিম সাংসদ রাকিবুল হুসেনের ওপর প্রাণঘাতী হামলা

মুখ্যমন্ত্রী এদিন প্রশাসনিক বৈঠক থেকে বলেন, গুরুত্বপূর্ণপ্রকল্পগুলি চলবে। নতুন প্রকল্প শুরু করা যাবে না। রাজ্যে রাজস্ব আদায় কোভিডের কারণে কমেছে। রাজ্য বাজেট বহির্ভূত খরচ যেন না হয়। অর্থ দফতর ও মুখ্যসচিবের অনুমতি ছাড়া খরচ করা যাবে না।

আরও পড়ুন: ‘উর্দু পড়িয়ে বাচ্চাদের মৌলবি বানাতে চান’? বিধানসভায় সপা নেতাকে কদর্য আক্রমণ যোগীর

কাজ নিয়ে অজুহাত নয়, সরকারি কাজে গাফিলতি চলবে না, প্রশাসনিক বৈঠক থেকে কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

কেন্দ্রের কাছ থেকে এখনও ৯০ হাজার কোটি টাকা পায় রাজ্য।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী কাজের পর্যালোচনা করতে গিয়ে বলেন, কাজের নিরিখে পূর্ব বর্ধমান, বীরভূমের মতো জেলা পিছিয়ে। আলিপুরদুয়ার, পশ্চিম বর্ধমান জেলা থেকে এত অভিযোগ আসছে কেন? পশ্চিম বর্ধমান সব ব্যাপারে পিছিয়ে কেন? এত অভিযোগ আসছে কেন? মানুষের সব কাজ গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। ১০০ দিনের কাজে জোর দিতে হবে। দুর্যোগপূর্ণ জেলাগুলিতে বেশি জোর দেওয়ার নির্দেশ। পঞ্চায়েত দফতরের কাজে আরও জোর দিতে হবে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সীমান্ত এলাকায় পয়সা তুলছে কেউ কেউ, এমনটা করা যাবে না। সীমান্ত এলাকার গোটা দায়িত্ব পরিবহণ দফতরকে দেখতে হবে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, যোগ্য লোক যেন ভাতা পায়। ভাতার টাকা প্রতিমাসে ১০ তারিখের মধ্যে ঢুকে যাবে।

কাজ নিয়ে অজুহাত নয়, সরকারি কাজে গাফিলতি চলবে না, প্রশাসনিক বৈঠক থেকে কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

পূর্ব মেদিনীপুরের এসপিকে তীব্র  ভর্ৎসনা মমতার। এদিন প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জেলায় হিংসা ছড়াচ্ছে। অনেক দিন বলেছি, কোনও কাজ হয়নি। রাজ্যপাল কি কোনও নির্দেশ দিয়েছেন। এটা ওটা করো না, তোমাকে কি রাজ্যপাল ফোন করছেন? কারোর কথা না শুনে কাজ করতে হবে।

আরও পড়ুনঃ প্রশাসনিক বৈঠকে উঠল রাজ্যপালের নাম! পূর্ব মেদিনীপুরের এসপিকে তীব্র ভর্ৎসনা মুখ্যমন্ত্রীর 

বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোরের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেনডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ প্রশাসক থেকে আমলারা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিটি বিভাগকে কাজের খতিয়ান নিয়ে নানা প্রশ্ন করেন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কাজ নিয়ে অজুহাত নয়, সরকারি কাজে গাফিলতি চলবে না, প্রশাসনিক বৈঠক থেকে কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

আপডেট : ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ আজ নেতাজি ইন্ডোর থেকে প্রশাসনিক বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী সব আধিকারিকদের কড়াভাবে বলেন, কাজ নিয়ে অজুহাত দেওয়া চলবে না। ওপরতলার অফিসাররা নিচের অফিসারদের দিকে কাজ ঠেলে দিচ্ছে। এটা চরম অবহেলার প্রতিচ্ছবি। নিজের দফতরের কাজ নিজেকে খেয়াল রাখতে হবে। পয়সা দিলাম আর মেলা করলাম, সেভাবে চলবে না। সরকারি কাজে গাফিলতি চলবে না। মুখ্যমন্ত্রী জানান,  এখন সংক্রমণ কমছে। কাজেই সতর্ক থেকে স্বাভাবিক জীবনে থাকতে হবে। তিনি দাবি করেন, প্রথম ধাপে ৯৫ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে এবং দ্বিতীয় ধাপে ৭২ শতাংশ মানুষ টিকা নিতে পেরেছে। অনেকেই ভাবছে প্রথম ডোজ নিয়েছি। আর সেকেন্ড ডোজ না নিলেও চলবে। মানুষকে সচেতন হতে হবে। লড়তে লড়তে করোনা হতদ্যম হয়ে পড়বে।

কাজ নিয়ে অজুহাত নয়, সরকারি কাজে গাফিলতি চলবে না, প্রশাসনিক বৈঠক থেকে কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

আরও পড়ুন: ৭ দিনের লন্ডন সফরে মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা দেখতে বিশেষ টাস্ক ফোর্স

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কাজের জন্য ব্যাঙ্কগুলি অসযোগিতা করছে। কেউ না দিলে সমবায় ব্যাঙ্ক ঋণ দেবে। সরকার গ্যারান্টি দিচ্ছে। ঋণ দিতে অসুবিধা কোথায়। ব্যাঙ্ক যে দয়া করছে না, তা বুঝিয়ে দিতে হবে। যে সমবায় ব্যাঙ্ক ঋণ দিচ্ছে না, তার কাছ থেকে জবাব চাওয়া হবে।

আরও পড়ুন: হেমন্ত রাজ্যে মুসলিম সাংসদ রাকিবুল হুসেনের ওপর প্রাণঘাতী হামলা

মুখ্যমন্ত্রী এদিন প্রশাসনিক বৈঠক থেকে বলেন, গুরুত্বপূর্ণপ্রকল্পগুলি চলবে। নতুন প্রকল্প শুরু করা যাবে না। রাজ্যে রাজস্ব আদায় কোভিডের কারণে কমেছে। রাজ্য বাজেট বহির্ভূত খরচ যেন না হয়। অর্থ দফতর ও মুখ্যসচিবের অনুমতি ছাড়া খরচ করা যাবে না।

আরও পড়ুন: ‘উর্দু পড়িয়ে বাচ্চাদের মৌলবি বানাতে চান’? বিধানসভায় সপা নেতাকে কদর্য আক্রমণ যোগীর

কাজ নিয়ে অজুহাত নয়, সরকারি কাজে গাফিলতি চলবে না, প্রশাসনিক বৈঠক থেকে কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

কেন্দ্রের কাছ থেকে এখনও ৯০ হাজার কোটি টাকা পায় রাজ্য।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী কাজের পর্যালোচনা করতে গিয়ে বলেন, কাজের নিরিখে পূর্ব বর্ধমান, বীরভূমের মতো জেলা পিছিয়ে। আলিপুরদুয়ার, পশ্চিম বর্ধমান জেলা থেকে এত অভিযোগ আসছে কেন? পশ্চিম বর্ধমান সব ব্যাপারে পিছিয়ে কেন? এত অভিযোগ আসছে কেন? মানুষের সব কাজ গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। ১০০ দিনের কাজে জোর দিতে হবে। দুর্যোগপূর্ণ জেলাগুলিতে বেশি জোর দেওয়ার নির্দেশ। পঞ্চায়েত দফতরের কাজে আরও জোর দিতে হবে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সীমান্ত এলাকায় পয়সা তুলছে কেউ কেউ, এমনটা করা যাবে না। সীমান্ত এলাকার গোটা দায়িত্ব পরিবহণ দফতরকে দেখতে হবে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, যোগ্য লোক যেন ভাতা পায়। ভাতার টাকা প্রতিমাসে ১০ তারিখের মধ্যে ঢুকে যাবে।

কাজ নিয়ে অজুহাত নয়, সরকারি কাজে গাফিলতি চলবে না, প্রশাসনিক বৈঠক থেকে কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

পূর্ব মেদিনীপুরের এসপিকে তীব্র  ভর্ৎসনা মমতার। এদিন প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জেলায় হিংসা ছড়াচ্ছে। অনেক দিন বলেছি, কোনও কাজ হয়নি। রাজ্যপাল কি কোনও নির্দেশ দিয়েছেন। এটা ওটা করো না, তোমাকে কি রাজ্যপাল ফোন করছেন? কারোর কথা না শুনে কাজ করতে হবে।

আরও পড়ুনঃ প্রশাসনিক বৈঠকে উঠল রাজ্যপালের নাম! পূর্ব মেদিনীপুরের এসপিকে তীব্র ভর্ৎসনা মুখ্যমন্ত্রীর 

বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোরের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেনডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ প্রশাসক থেকে আমলারা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিটি বিভাগকে কাজের খতিয়ান নিয়ে নানা প্রশ্ন করেন।