১৬ অক্টোবর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশের স্বার্থরক্ষাই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ: ট্রাম্পের দাবি নিয়ে মুখ খুলল ভারত

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 76

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বিস্ফোরক দাবি করে নতুন বিতর্কের জন্ম দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার স্থানীয় সময়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ট্রাম্প জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন যে রাশিয়া থেকে আর তেল কিনবে না ভারত। ট্রাম্পের কথায়, “মোদি আজ আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন, রাশিয়া থেকে তাঁরা আর তেল কিনবেন না। আমরা চাই চীনও সেই পথে হাঁটুক। মোদি আমার বন্ধু, একজন ভালো মানুষ।” এবার ট্রাম্পের এই দাবি নিয়ে মুখ খুলল ভারত। নয়াদিল্লি স্পষ্ট জানিয়ে দিল, যে অস্থির জ্বালানি পরিস্থিতিতে দেশের গ্রাহকদের স্বার্থরক্ষাই সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবির পরই বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করা হয়। এ দিন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “ভারত তেল ও গ্যাসের অন্যতম আমদানিকারক। আমরা বরাবরই ভারতীয় গ্রাহকদের স্বার্থরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। আমাদের আমদানি নীতি সম্পূর্ণভাবে উদ্দেশ্য় দ্বারা পরিচালিত।”

বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক বিবৃতিতে বলেছেন, “তেল ও গ্যাসের একটি অন্যতম আমদানিকারক হল ভারত। জ্বালানি তেল নিয়ে অস্থির পরিস্থিতিতে ভারতীয় গ্রাহকদের স্বার্থরক্ষা করাই আমাদের ধারাবাহিক অগ্রাধিকার। আমাদের আমদানি নীতি সম্পূর্ণরূপে এই উদ্দেশ্য দ্বারাই পরিচালিত হয়।” জয়সওয়াল আরও বলেছেন, “জ্বালানির স্থিতিশীল দাম এবং সুরক্ষিত সরবরাহ, দু’টি বিষয়ই আমাদের লক্ষ্য। এইসঙ্গে জ্বালানি উৎসের বিস্তার এবং বাজারের পরিস্থিতি বিচার করে চাহিদাপূরণই হল অন্যতম নীতি।” ট্রাম্পের দাবি প্রসঙ্গে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমেরিকার কথা বলতে গেলে… আমরা বহু বছর ধরেই জ্বালানি কেনার বিষয়টিকে সম্প্রসারিত করার চেষ্টা করছি। গত দশকে সেই কাজ ধারাবাহিকভাবে হয়েছে। বর্তমান (মার্কিন) প্রশাসন ভারতের সঙ্গে জ্বালানি সহযোগিতা আরও দৃঢ় করার আগ্রহ দেখিয়েছে। এই বিষয়ে আলোচনা চলছে।”

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

দেশের স্বার্থরক্ষাই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ: ট্রাম্পের দাবি নিয়ে মুখ খুলল ভারত

আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২৫, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বিস্ফোরক দাবি করে নতুন বিতর্কের জন্ম দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার স্থানীয় সময়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ট্রাম্প জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন যে রাশিয়া থেকে আর তেল কিনবে না ভারত। ট্রাম্পের কথায়, “মোদি আজ আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন, রাশিয়া থেকে তাঁরা আর তেল কিনবেন না। আমরা চাই চীনও সেই পথে হাঁটুক। মোদি আমার বন্ধু, একজন ভালো মানুষ।” এবার ট্রাম্পের এই দাবি নিয়ে মুখ খুলল ভারত। নয়াদিল্লি স্পষ্ট জানিয়ে দিল, যে অস্থির জ্বালানি পরিস্থিতিতে দেশের গ্রাহকদের স্বার্থরক্ষাই সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবির পরই বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করা হয়। এ দিন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “ভারত তেল ও গ্যাসের অন্যতম আমদানিকারক। আমরা বরাবরই ভারতীয় গ্রাহকদের স্বার্থরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। আমাদের আমদানি নীতি সম্পূর্ণভাবে উদ্দেশ্য় দ্বারা পরিচালিত।”

বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক বিবৃতিতে বলেছেন, “তেল ও গ্যাসের একটি অন্যতম আমদানিকারক হল ভারত। জ্বালানি তেল নিয়ে অস্থির পরিস্থিতিতে ভারতীয় গ্রাহকদের স্বার্থরক্ষা করাই আমাদের ধারাবাহিক অগ্রাধিকার। আমাদের আমদানি নীতি সম্পূর্ণরূপে এই উদ্দেশ্য দ্বারাই পরিচালিত হয়।” জয়সওয়াল আরও বলেছেন, “জ্বালানির স্থিতিশীল দাম এবং সুরক্ষিত সরবরাহ, দু’টি বিষয়ই আমাদের লক্ষ্য। এইসঙ্গে জ্বালানি উৎসের বিস্তার এবং বাজারের পরিস্থিতি বিচার করে চাহিদাপূরণই হল অন্যতম নীতি।” ট্রাম্পের দাবি প্রসঙ্গে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমেরিকার কথা বলতে গেলে… আমরা বহু বছর ধরেই জ্বালানি কেনার বিষয়টিকে সম্প্রসারিত করার চেষ্টা করছি। গত দশকে সেই কাজ ধারাবাহিকভাবে হয়েছে। বর্তমান (মার্কিন) প্রশাসন ভারতের সঙ্গে জ্বালানি সহযোগিতা আরও দৃঢ় করার আগ্রহ দেখিয়েছে। এই বিষয়ে আলোচনা চলছে।”