০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, বুধবার, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সন্দেশখালিতে ভাষা নিয়ে প্রতিবাদ মিছিল

মারুফা খাতুন
  • আপডেট : ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 69

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : বাংলা ভাষা মানেই আত্মপরিচয়। বাংলা মানেই বাঙালির অস্তিত্ব। আর সেই অস্তিত্বেই আঘাত এসেছে বলে অভিযোগ তুলে আজ তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাস্তায় নামলেন সন্দেশখালির মানুষ। সন্দেশখালি বিধানসভার বোয়ারমারি ১ নম্বর অঞ্চলে আয়োজিত হয় এক বিশাল প্রতিবাদ মিছিল। বাংলা ভাষার অবমাননা এবং প্রশাসনিক ক্ষেত্রে বাংলা ভাষার যথাযথ ব্যবহার না হওয়ার অভিযোগ তুলে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব এই মিছিলের ডাক দেন। বয়ারমারী ১ নম্বর অঞ্চল প্রধানের প্রতিনিধি ওহিদ আলী ঢালী।

মিছিলের শুরু হয় স্থানীয় খেলা মাঠ থেকে। বাসন্তী হাইওয়ে রাস্তা দিয়ে পায়ে হেঁটে মিছিল শেষ হয় বয়ারমারি বাজারে মিছিলে অংশ নেন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রতিনিধি, তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল নেতৃত্ব, প্রবীণ নাগরিক এবং বহু সাধারণ মানুষ।

আরও পড়ুন: Trinamool protest stage: গান্ধিমূর্তির পাদদেশে তৃণমূলের মঞ্চ খুলছিল সেনা, খবর পেয়েই পৌঁছলেন মমতা

হাতে হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড— তাতে লেখা ছিল –

আরও পড়ুন: JPC: বয়কট আম আদমি পার্টির

“বাংলার ভাষা, বাংলার গর্ব”
“বাংলার অপমান চলবে না”
“সরকারি দপ্তরে বাংলা ভাষা বাধ্যতামূলক করতেই হবে”

আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা সন্দেশখালির আদিবাসী উন্নয়ন পর্ষদকে

প্রতিটি স্লোগানেই মুখর ছিল গোটা এলাকা—

“বাংলা চাই, বাংলা মানি, বাংলার অপমান আমরা মানব না!”

তৃণমূল কংগ্রেসের এক অঞ্চল নেতৃত্ব বলেন—

“আমরা কোনও ভাষার বিরোধী নই, কিন্তু বাংলায় বসে বাংলা ভাষাকে বঞ্চিত করা হবে— এটা আমরা কখনওই মেনে নেব না। বাংলা শুধু ভাষা নয়, এটা আমাদের সংস্কৃতি, আত্মপরিচয়ের ভিত্তি।” তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে— বাংলা ভাষার সঠিক মর্যাদা দিতেই তাঁদের এই আন্দোলন। কোনও রাজনৈতিক ফায়দা তোলার উদ্দেশ্য নয়, বরং সাংবিধানিক অধিকার রক্ষাই তাঁদের লক্ষ্য।

স্থানীয়দের মতে, শুধু মিছিল নয়— প্রশাসনিকভাবে বাংলার জন্য আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হোক। সরকারি দপ্তরে বাংলা ভাষায় কাজ বাধ্যতামূলক হোক, স্কুল-কলেজে বাংলা শিক্ষার মানোন্নয়ন হোক— এটাই তাঁদের দাবি। সন্দেশখালির বয়ারমারি ১ নম্বর অঞ্চল আজ বুঝিয়ে দিল, ভাষা নিয়ে কোনও আপস নয়। বাংলার প্রশ্নে বাঙালি রাস্তায় নামতে জানে, প্রতিবাদ করতে জানে— আর প্রয়োজনে রুখেও দাঁড়াতে জানে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সন্দেশখালিতে ভাষা নিয়ে প্রতিবাদ মিছিল

আপডেট : ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : বাংলা ভাষা মানেই আত্মপরিচয়। বাংলা মানেই বাঙালির অস্তিত্ব। আর সেই অস্তিত্বেই আঘাত এসেছে বলে অভিযোগ তুলে আজ তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাস্তায় নামলেন সন্দেশখালির মানুষ। সন্দেশখালি বিধানসভার বোয়ারমারি ১ নম্বর অঞ্চলে আয়োজিত হয় এক বিশাল প্রতিবাদ মিছিল। বাংলা ভাষার অবমাননা এবং প্রশাসনিক ক্ষেত্রে বাংলা ভাষার যথাযথ ব্যবহার না হওয়ার অভিযোগ তুলে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব এই মিছিলের ডাক দেন। বয়ারমারী ১ নম্বর অঞ্চল প্রধানের প্রতিনিধি ওহিদ আলী ঢালী।

মিছিলের শুরু হয় স্থানীয় খেলা মাঠ থেকে। বাসন্তী হাইওয়ে রাস্তা দিয়ে পায়ে হেঁটে মিছিল শেষ হয় বয়ারমারি বাজারে মিছিলে অংশ নেন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রতিনিধি, তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল নেতৃত্ব, প্রবীণ নাগরিক এবং বহু সাধারণ মানুষ।

আরও পড়ুন: Trinamool protest stage: গান্ধিমূর্তির পাদদেশে তৃণমূলের মঞ্চ খুলছিল সেনা, খবর পেয়েই পৌঁছলেন মমতা

হাতে হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড— তাতে লেখা ছিল –

আরও পড়ুন: JPC: বয়কট আম আদমি পার্টির

“বাংলার ভাষা, বাংলার গর্ব”
“বাংলার অপমান চলবে না”
“সরকারি দপ্তরে বাংলা ভাষা বাধ্যতামূলক করতেই হবে”

আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা সন্দেশখালির আদিবাসী উন্নয়ন পর্ষদকে

প্রতিটি স্লোগানেই মুখর ছিল গোটা এলাকা—

“বাংলা চাই, বাংলা মানি, বাংলার অপমান আমরা মানব না!”

তৃণমূল কংগ্রেসের এক অঞ্চল নেতৃত্ব বলেন—

“আমরা কোনও ভাষার বিরোধী নই, কিন্তু বাংলায় বসে বাংলা ভাষাকে বঞ্চিত করা হবে— এটা আমরা কখনওই মেনে নেব না। বাংলা শুধু ভাষা নয়, এটা আমাদের সংস্কৃতি, আত্মপরিচয়ের ভিত্তি।” তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে— বাংলা ভাষার সঠিক মর্যাদা দিতেই তাঁদের এই আন্দোলন। কোনও রাজনৈতিক ফায়দা তোলার উদ্দেশ্য নয়, বরং সাংবিধানিক অধিকার রক্ষাই তাঁদের লক্ষ্য।

স্থানীয়দের মতে, শুধু মিছিল নয়— প্রশাসনিকভাবে বাংলার জন্য আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হোক। সরকারি দপ্তরে বাংলা ভাষায় কাজ বাধ্যতামূলক হোক, স্কুল-কলেজে বাংলা শিক্ষার মানোন্নয়ন হোক— এটাই তাঁদের দাবি। সন্দেশখালির বয়ারমারি ১ নম্বর অঞ্চল আজ বুঝিয়ে দিল, ভাষা নিয়ে কোনও আপস নয়। বাংলার প্রশ্নে বাঙালি রাস্তায় নামতে জানে, প্রতিবাদ করতে জানে— আর প্রয়োজনে রুখেও দাঁড়াতে জানে।