০২ অগাস্ট ২০২৫, শনিবার, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জঙ্গি-যোগ প্রমাণ করুন,না হলে আমরাই ভাঙা মাদ্রাসা গড়ে দেব, হিমন্তকে চ্যালেঞ্জ আজমলের

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২, রবিবার
  • / 77

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ একের পর এক ভেঙে ফেলা মাদ্রাসাগুলোর সঙ্গে যে সত্যি সত্যিই জিহাদি বা জঙ্গি যোগ রয়েছে- তা অসম সরকারকে প্রমাণ করে দেখাতে হবে। প্রমাণ করতে হবে কেন মাদ্রাসাগুলো ধ্বংস করা হল? এমনই জোরালো দাবি তুললেন এআইইউডিএফ সুপ্রিমো মাওলানা বদরুদ্দিন আজমল।

আল কায়দা অনুমোদিত বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লা বাংলা টিম কীভাবে ভেঙে দেওয়া ৪টি মাদ্রাসার সঙ্গে যুক্ত ছিল, তা সরকারকে প্রমাণ করতে হবে। সরকার যদি প্রমাণ করতে না পারে মাদ্রাসাগুলো জিহাদি ঘাঁটি ছিল, তাহলে আগামী পাঁচ-ছয় মাসের মধ্যে ওই জায়গাতেই ফের নতুন করে মাদ্রাসা গড়বো। ঠিক এই ভাষায় হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন বদরুদ্দিন আজমল।

আরও পড়ুন: ‘সমাজতান্ত্রিক’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দে আপত্তি হিমন্তের

মাওলানা আজমলের আরও অভিযোগ, মাদ্রাসা ভেঙে ফেলা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এবং প্রশাসন পরস্পর বিরোধী বয়ান দিচ্ছেন। তিনি স্পষ্ট জানান, মাদ্রাসা গুঁড়িয়ে দেওয়া নিয়ে আমরা আদালতে যাব। আদালতে হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সরকারকে প্রমাণ করতে হবে, ভেঙে ফেলা মাদ্রাসাগুলো ছিল জিহাদি ঘাঁটি। প্রথম মাদ্রাসা ভেঙে ফেলার পর প্রশাসন বলল, নির্মাণবিধি অনুসারে মাদ্রাসাটি তৈরি করা হয়নি। এটি নিরাপদ নয়, যে কোন সময় বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। পড়ুয়াদের জন্য নিরাপদ নয় বলে মাদ্রাসা ভেঙে ফেলা হল। দ্বিতীয় মাদ্রাসা ভাঙার সময় বলা হয়, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট লঙ্ঘন করে তা তৈরি হয়েছে।
অথচ মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বারবার বলে যাচ্ছেন, ভেঙে দেওয়া মাদ্রাসায় শিক্ষার কোনও পরিবেশ ছিল না। আল কায়দার প্রশিক্ষণ হিসাবে তা ব্যবহার করা হচ্ছিল। সব কিছুর সীমা থাকা দরকার।

আরও পড়ুন: ২০২৬-এর মাদ্রাসা পরীক্ষা শুরু ২৯ জানুয়ারি

আজমল আরও বলেন, রাজ্যের কেউ চান না, আল কায়দা, হরকত উল জিহাদ আল ইসলামি বা অন্য কোনও জিহাদি মডিউল ঘাঁটি গেড়ে বসুক। কিন্তু অসমে যেভাবে জিহাদি সন্দেহে ধরপাকড় হচ্ছে ও নির্বিচারে মাদ্রাসা ভাঙা হচ্ছে তা মেনে নেওয়া যায় না। সরকারকে আদালতে সব প্রমাণ করতে হবে।

আরও পড়ুন: মাদ্রাসা পাঠ্যসূচিতে অপারেশন সিঁদুর

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

জঙ্গি-যোগ প্রমাণ করুন,না হলে আমরাই ভাঙা মাদ্রাসা গড়ে দেব, হিমন্তকে চ্যালেঞ্জ আজমলের

আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২, রবিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ একের পর এক ভেঙে ফেলা মাদ্রাসাগুলোর সঙ্গে যে সত্যি সত্যিই জিহাদি বা জঙ্গি যোগ রয়েছে- তা অসম সরকারকে প্রমাণ করে দেখাতে হবে। প্রমাণ করতে হবে কেন মাদ্রাসাগুলো ধ্বংস করা হল? এমনই জোরালো দাবি তুললেন এআইইউডিএফ সুপ্রিমো মাওলানা বদরুদ্দিন আজমল।

আল কায়দা অনুমোদিত বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লা বাংলা টিম কীভাবে ভেঙে দেওয়া ৪টি মাদ্রাসার সঙ্গে যুক্ত ছিল, তা সরকারকে প্রমাণ করতে হবে। সরকার যদি প্রমাণ করতে না পারে মাদ্রাসাগুলো জিহাদি ঘাঁটি ছিল, তাহলে আগামী পাঁচ-ছয় মাসের মধ্যে ওই জায়গাতেই ফের নতুন করে মাদ্রাসা গড়বো। ঠিক এই ভাষায় হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন বদরুদ্দিন আজমল।

আরও পড়ুন: ‘সমাজতান্ত্রিক’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দে আপত্তি হিমন্তের

মাওলানা আজমলের আরও অভিযোগ, মাদ্রাসা ভেঙে ফেলা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এবং প্রশাসন পরস্পর বিরোধী বয়ান দিচ্ছেন। তিনি স্পষ্ট জানান, মাদ্রাসা গুঁড়িয়ে দেওয়া নিয়ে আমরা আদালতে যাব। আদালতে হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সরকারকে প্রমাণ করতে হবে, ভেঙে ফেলা মাদ্রাসাগুলো ছিল জিহাদি ঘাঁটি। প্রথম মাদ্রাসা ভেঙে ফেলার পর প্রশাসন বলল, নির্মাণবিধি অনুসারে মাদ্রাসাটি তৈরি করা হয়নি। এটি নিরাপদ নয়, যে কোন সময় বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। পড়ুয়াদের জন্য নিরাপদ নয় বলে মাদ্রাসা ভেঙে ফেলা হল। দ্বিতীয় মাদ্রাসা ভাঙার সময় বলা হয়, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট লঙ্ঘন করে তা তৈরি হয়েছে।
অথচ মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বারবার বলে যাচ্ছেন, ভেঙে দেওয়া মাদ্রাসায় শিক্ষার কোনও পরিবেশ ছিল না। আল কায়দার প্রশিক্ষণ হিসাবে তা ব্যবহার করা হচ্ছিল। সব কিছুর সীমা থাকা দরকার।

আরও পড়ুন: ২০২৬-এর মাদ্রাসা পরীক্ষা শুরু ২৯ জানুয়ারি

আজমল আরও বলেন, রাজ্যের কেউ চান না, আল কায়দা, হরকত উল জিহাদ আল ইসলামি বা অন্য কোনও জিহাদি মডিউল ঘাঁটি গেড়ে বসুক। কিন্তু অসমে যেভাবে জিহাদি সন্দেহে ধরপাকড় হচ্ছে ও নির্বিচারে মাদ্রাসা ভাঙা হচ্ছে তা মেনে নেওয়া যায় না। সরকারকে আদালতে সব প্রমাণ করতে হবে।

আরও পড়ুন: মাদ্রাসা পাঠ্যসূচিতে অপারেশন সিঁদুর