০১ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১০ হাজার শিক্ষক প্রয়োজন কেন? রাজ্য কে প্রশ্ন বিচারপতি বসুর

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, সোমবার
  • / 44

পারিজাত মোল্লা: সামগ্রিক পঠনপাঠনে গতি আনতে একের পর এক পর্যবেক্ষণ রাখছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। সোমবার স্কুল সম্পর্কিত মামলায় গুরত্বপূর্ণ প্রশ্ন  করতে দেখা গেল এই বিচারপতি কে।দিন দিন রাজ্যে কমছে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা। এই অবস্থায় অতিরিক্ত শিক্ষক নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা কোথায়?

এদিন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাওয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমায় শিক্ষক নিয়োগ নিয়েও প্রশ্ন তুললেন তিনি।

আরও পড়ুন: ফাঁসি নয় যাবজ্জীবন, ৪০ বছর জেল প্রেমিক সুশান্ত চৌধুরীর

সেই সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীকে আইনে বদল আনার পরামর্শও দিলেন বিচারপতি বসু। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ  বসু  এজলাসে মামলার শুনানি পর্বে বলেন, এবার মাধ্যমিকে ৪ লক্ষ পরীক্ষার্থী কমে গেল। আর রাজ্য সরকার বলছে ১০ হাজার শিক্ষক প্রয়োজন। এই অতিরিক্ত শিক্ষকদের প্রয়োজন কোথায়? অর্থের অপচয় ছাড়া কোনও লাভ হচ্ছে কি?

আরও পড়ুন: যোগ্যদের তালিকা প্রকাশের দাবিতে SSC ভবনের সামনে বিক্ষোভ

এরপরেই রাজ্য শিক্ষা দফতরের উদ্দেশে বিচারপতি আরও  বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রীকে আইনে বদল আনতে বলুন। যে সব স্কুলে খুব কম পড়ুয়া স্কুলে সেই সব স্কুলের পড়ুয়াদের কাছের কোনও স্কুলে পাঠিয়ে দিন।

আরও পড়ুন: রাজ্যের নয়া মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল

আর যেখানে শিক্ষকের অনুপাতে বেশি পড়ুয়া রয়েছে, সেই স্কুল গুলোতে শিক্ষকদের বদলি করুন।’

আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। ২০২৩ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ২৮ জন। অথচ গত বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১০ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭৭৫। কেন এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা প্রায় ৪ লক্ষ কমে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও পর্ষদের দাবি, অতিমারির জেরেই পড়ুয়ার সংখ্যা হ্রাস। মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় আদালতকে জানান,  অনেকে প্রস্তুতি নেই বলে স্বেচ্ছায় পরীক্ষা দিচ্ছে না। অনেক আবার টেস্টে পাশ করতে পারেনি। যারা কোভিডের সময় অষ্টম-নবম শ্রেণিতে পড়ত, তারাই এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। কোভিডকালে স্কুলের ক্লাস হয়নি। তারও প্রভাবও রয়েছে। সেই কারণেই পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কম হতে পারে বলে মনে করছেন রামানুজ। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু অতিরিক্ত শিক্ষক নিয়োগে প্রয়োজন নিয়ে প্রশ্ন তোলায় যথেষ্ট বেকায়দায় রাজ্য শিক্ষা দফতর বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

১০ হাজার শিক্ষক প্রয়োজন কেন? রাজ্য কে প্রশ্ন বিচারপতি বসুর

আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, সোমবার

পারিজাত মোল্লা: সামগ্রিক পঠনপাঠনে গতি আনতে একের পর এক পর্যবেক্ষণ রাখছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। সোমবার স্কুল সম্পর্কিত মামলায় গুরত্বপূর্ণ প্রশ্ন  করতে দেখা গেল এই বিচারপতি কে।দিন দিন রাজ্যে কমছে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা। এই অবস্থায় অতিরিক্ত শিক্ষক নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা কোথায়?

এদিন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাওয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমায় শিক্ষক নিয়োগ নিয়েও প্রশ্ন তুললেন তিনি।

আরও পড়ুন: ফাঁসি নয় যাবজ্জীবন, ৪০ বছর জেল প্রেমিক সুশান্ত চৌধুরীর

সেই সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীকে আইনে বদল আনার পরামর্শও দিলেন বিচারপতি বসু। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ  বসু  এজলাসে মামলার শুনানি পর্বে বলেন, এবার মাধ্যমিকে ৪ লক্ষ পরীক্ষার্থী কমে গেল। আর রাজ্য সরকার বলছে ১০ হাজার শিক্ষক প্রয়োজন। এই অতিরিক্ত শিক্ষকদের প্রয়োজন কোথায়? অর্থের অপচয় ছাড়া কোনও লাভ হচ্ছে কি?

আরও পড়ুন: যোগ্যদের তালিকা প্রকাশের দাবিতে SSC ভবনের সামনে বিক্ষোভ

এরপরেই রাজ্য শিক্ষা দফতরের উদ্দেশে বিচারপতি আরও  বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রীকে আইনে বদল আনতে বলুন। যে সব স্কুলে খুব কম পড়ুয়া স্কুলে সেই সব স্কুলের পড়ুয়াদের কাছের কোনও স্কুলে পাঠিয়ে দিন।

আরও পড়ুন: রাজ্যের নয়া মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল

আর যেখানে শিক্ষকের অনুপাতে বেশি পড়ুয়া রয়েছে, সেই স্কুল গুলোতে শিক্ষকদের বদলি করুন।’

আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। ২০২৩ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ২৮ জন। অথচ গত বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১০ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭৭৫। কেন এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা প্রায় ৪ লক্ষ কমে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও পর্ষদের দাবি, অতিমারির জেরেই পড়ুয়ার সংখ্যা হ্রাস। মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় আদালতকে জানান,  অনেকে প্রস্তুতি নেই বলে স্বেচ্ছায় পরীক্ষা দিচ্ছে না। অনেক আবার টেস্টে পাশ করতে পারেনি। যারা কোভিডের সময় অষ্টম-নবম শ্রেণিতে পড়ত, তারাই এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। কোভিডকালে স্কুলের ক্লাস হয়নি। তারও প্রভাবও রয়েছে। সেই কারণেই পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কম হতে পারে বলে মনে করছেন রামানুজ। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু অতিরিক্ত শিক্ষক নিয়োগে প্রয়োজন নিয়ে প্রশ্ন তোলায় যথেষ্ট বেকায়দায় রাজ্য শিক্ষা দফতর বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।