কুতুব উদ্দিন মোল্লা, ক্যানিং: আগামী ২০২৬-এ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন।তার আগেই সমীক্ষার নামে তথ্য সংগ্রহ করে দিল্লীতে পাচার। এমন ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল। সুন্দরবনের বাসন্তী ব্লকের কাঁঠালবেড়িয়া।
বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় সেখানে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে সমীক্ষা করে তথ্য সংগ্রহ করছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি থানার অন্তর্গত দাউদপুর গ্রামের মহিলা সুজাতা সানা।অভিযোগ তথ্য সংগ্রহের সময় ওই মহিলা এলাকার বাসিন্দাদের কাছে জানতে চায়,কোন রাজনৈতিক দল ভালো?
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনপ্রিয়?পাকা বাড়ি না কাঁচা মাটির বাড়ি ভালো? পাকিস্তান না বাংলাদেশ কাকে ভালোবাসেন?এমন সব নানান ধরণের প্রশ্ন করে ফর্ম ফিলাপ করছিলেন ওই তরুণী।ফর্মটি এন সি এস নামক একটি পোর্টালে ফিলাপ করে পাঠাচ্ছিলেন নিউ দিল্লীর দ্বারকা এলাকার ‘ইমপেটুস রিসার্চ প্রাইভেট লিমিটেড ইন্ডিয়া’র অফিসে(Impetus Research Private Limited India)।
এছাড়াও অন্যান্য তথ্য আধার নম্বর,ভোটার আইডি কার্ডের নম্বর সহ অন্যান্য তথ্য ছিল।এমন ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।এলাকার মানুষজন ওই মহিলাকে ধরে ফেলেন। তাকে ঘিরে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন এলাকার মানুষজন।পরে বাসন্তী পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ রাজা গাজী ওই মহিলাকে জিঞ্জাসাবাদ করেন।তার কথাবার্তায় প্রচুর অসঙ্গতি ধরা পড়ে।এমনকি তার কাছ থেকে কোন প্রকার সদুত্তর না পেয়ে তাকে বাসন্তী থানার পুলিের হাতে তুলে দেন। বাসন্তী থানার পুলিশ ওই মহিলাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। সেখানে তাকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করেন। পরে কোন প্রকার অসঙ্গতি না পেয়ে পুলিশ ওই তরুণী কে ছেড়ে দেয়।
ঘটনা প্রসঙ্গে বাসন্তী পঞ্চায়েত সমিতির পৃূর্ত কর্মাধ্যক্ষ রাজা গাজী জানিয়েছেন, ‘এক মহিলা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে সমীক্ষা করে তথ্য সংগ্রহ করছিলেন। তিনি বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর প্রশ্ন করে উত্তর সংগ্রহ করে ল্যাপটপে সংগ্রহ করে নিউদিল্লীতে পাঠাচ্ছিলেন। আমাদের সন্দেহ হয়। আমরা জিঞ্জাসাবাদ করি। কোন রকম সদুত্তর দিতে পারেনি। আমরা পুলিশের হাতে ওই মহিলা কে তুলে দিয়েছি।তবে এটা কোন রাজনৈতিক দলের চক্রান্ত। রাজ্যে এমন সব কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে অস্থিরতা তৈরীর চেষ্টা চালাচ্ছে।তবে সেটা সফল হবে না। বাংলার মানুষ অত্যন্ত সজাগ রয়েছেন। কোন প্রলোভন কিংবা পরিকল্পিত ফাঁদে পা বাড়াতে বাংলার মানুষ বদ্ধ পরিকর নয়। ’
অন্যদিকে এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা প্রসঙ্গে বাসন্তীর বিধায়ক শ্যামল মন্ডল জানিয়েছেন, ‘রাজ্যের প্রতি একটা গভীর ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে কেন্দ্র।বিভিন্ন সংস্থা কে কাজে লাগিয়ে সমীক্ষার নামে তথ্য সংগ্রহ করে তা নিউদিল্লীতে পাচার করা হচ্ছে। তেমনই এক মহিলা সমীক্ষার নামে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে জনসাধারণের হাতে ধরা পড়ে বাসন্তীর কাঁঠালবেড়িয়া এলাকায়।পুলিশের হাতে ওই মহিলা কে তুলে দেওয়া হয়েছে।সমীক্ষার জন্য ওই মহিলার কাছে কোন রকম বৈধ অনুমতি পত্র ছিল না।পুলিশ তদন্ত করছে।চক্রান্তের রহস্য উদ্ঘাটন হবে এবং চক্রান্তকারীরা ধরা পড়বেই। ’






























