পাঁচ বছর পর ভারত থেকে চিন সরাসরি বিমান পরিষেবা শুরু হচ্ছে
- আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার
- / 47
পুবের কলম প্রতিবেদক: রবিবার রাত ১০টায় কলকাতা থেকে চিনের গুয়াংঝৌয়ের উদ্দেশে রওনা দেবে ইন্ডিগো বিমান। ভারত ও হংকংয়ের মধ্যে নিয়মিত বিমান পরিষেবা চালু রয়েছে। বাকি নয়াদিল্লি থেকে সাংহাই ও গুয়ানঝৌ পর্যন্ত বিমান চলাচলের সূচনা হবে নভেম্বরে। কলকাতায় ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্স-এর প্রধান রাজীব সিং বলেন, ক্ষ্মসরাসরি বিমান যোগাযোগের ফলে পরিবহণের খরচ এবং সময়- দুইই কম লাগবে। ভারত ও চিন বিশ্বের দুই সবচেয়ে জনবহুল দেশ। একসময় দু’টি দেশ একে অপরের কৌশলী শত্রু থাকলেও বর্তমানে সম্পর্কে সামান্য উন্নতি হয়েছে। ২০২০ সালে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলএসি) গালওয়ানে দুই দেশের সেনার মধ্যে সংঘর্ষের পর বারবার দুই দেশের সেনা আধিকারিকদের মধ্যে বৈঠকে ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ খানিক গলেছে। চলতি বছরের অগস্টে চিনের তিয়ানজিন শহরে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ভারত-চিন সরসারি বিমান চালুর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয় । এরপর অক্টোবর মাসের ২ তারিখে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে ভারত-চিন বিমান পরিষেবা শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্য, দুই দেশের মধ্যে বিমান চলাচল শুরুর ফলে মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ আরও মজবুত হবে । ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক আদানপ্রদান ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হবে । এদিকে চিন-ভারত কাছাকাছি আসছে এমন একটা সময়ে, যখন আমেরিকার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে চাপানউতোর চলছে। ইতিমধ্যে রাশিয়া থেকে তেল কেনার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে । এই উচ্চহারে শুল্কের কারণে মার্কিন মুলুকে ভারতের রফতানি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে ট্রাম্প প্রশাসন বারবার দাবি করে চলেছে, ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করে দেবে। এর জন্য খানিক সময় লাগলেও এটা বাস্তাবায়িত হতে চলেছে।
এই আবহে দেশের পূর্বে কলকাতা থেকে সরাসরি চিনের গুয়ানঝৌতে বিমান পরিষেবা চালু হতে চলেছে। কলকাতা ও চিনের সম্পর্ক আজকের নয়, শতবর্ষ প্রাচীন। সেই ব্রিটিশ শাসনাধীন সময়ের। চিন থেকে বহু নাগরিক ভারতের একদা রাজধানীতে এসে ব্যবসা শুরু করে । ক্রমে স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে ওঠে। তার ফলশ্রুতি কলকাতার আনাচেকানাচে চিনে খাবারের দোকান । শহরের অন্যতম জনপ্রিয় খাবার এখন চিনের চাউমিনের শহুরে সংস্করণ। কলকাতার ট্যাংরা অঞ্চলে চায়নাটাউন এলাকার এক সমাজকর্মী চেন খোই কুই বলেন, আমাদের মতো মানুষের জন্য এটা দারুণ খবর! আমাদের অনেক আত্মীয় চিনে বসবাস করেন । বিমান পথে চলাচল দুই দেশের বাণিজ্য, পর্যটন এবং বাণিজ্যিক পর্যটনকে শক্তিশালী করবে ।




























