০৭ অগাস্ট ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তৃণমূলের বুথ সভাপতিকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারধর করার অভিযোগ আইএসএফ এর বিরুদ্ধে

মারুফা খাতুন
  • আপডেট : ৭ অগাস্ট ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 26

কুতুব উদ্দিন মোল্লা,ক্যানিং : তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতিকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে বেধড়ক মারধর করে কপাল ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠলো আইএসএফ কর্মীর বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিং থানার অন্তর্গত নিকারীঘাটা পঞ্চায়েতের বেলেখালি এলাকায়।

স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, নিকারীঘাটা পঞ্চায়েতের বেলেখালি ২১৫ নম্বর বুথ। তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি জমাদ মোল্লা।গ্রামের যুবক তথা তৃণমূল বুথ সভাপতির ভাইপো জুলফিকার মোল্লা আইএসএফ কর্মী সমর্থক বলে এলাকায় পরিচিত। বুধবার রাতে বুথ সভাপতি জমাদ মোল্লা বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় অতর্কিতে মদ্যপ অবস্থায় জুলফিকার অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করছিল। প্রতিবাদ করেন জমাদ।

অভিযোগ প্রতিবাদ করতেই জমাদ কে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করে জুলফিকার ও তার পরিবারের সদস্যরা। এমনকি বন্দুকের বাঁট দিয়ে মেরে কপাল ফাটিয়ে দেয় বলে অভিযোগ।ঘটনার পর রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা তৃণমূল বুথ সভাপতি কে উদ্ধার করে। চিকিৎসার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। ক্ষতস্থানে চারটি সেলাই হয়েছে। হয়েছে সিসি স্ক্যানও। বর্তমানে আশাঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে।

তৃণমূলের বুথ সভাপতিকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারধর করার অভিযোগ আইএসএফ এর বিরুদ্ধে

ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল বুথ সভাপতি জমাদ জানিয়েছেন, ‘গত মঙ্গলবার মদ্যপ অবস্থায় স্থানীয় একজনের সাথে মারামারী করেছে আইএসএফ কর্মী সমর্থক জুলফিকার। কখনও কখনও বিজেপিও করে। বুধবার রাতে আমি যখন বাড়িতে ফিরছিলাম তখনও মদ্যপ অবস্থায় অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করছিল। প্রতিবাদ করতেই আচমকা বন্দুকের বাঁট দিয়ে আমার কপালে আঘাত করে। আমি রক্তাক্ত অবস্থায় ওর জামার কলার ধরে ফেলি। তখনই ওর পরিবারের লোকজন আমাকে আবারও মারধর করে।

ঘটনার পর স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। ঘটনার বিষয়ে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছি।’
ঘটনা প্রসঙ্গে আইএসএফ জেলা নেতৃত্ব মেঘনাদ হালদার জানিয়েছেন, ‘নিজেদের মধ্যে মারামারী করে আইএসএফ কে দোষারোপ করছে।আইএসএফ মারামারী রাজনীতি করে না’।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

তৃণমূলের বুথ সভাপতিকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারধর করার অভিযোগ আইএসএফ এর বিরুদ্ধে

আপডেট : ৭ অগাস্ট ২০২৫, বৃহস্পতিবার

কুতুব উদ্দিন মোল্লা,ক্যানিং : তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতিকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে বেধড়ক মারধর করে কপাল ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠলো আইএসএফ কর্মীর বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিং থানার অন্তর্গত নিকারীঘাটা পঞ্চায়েতের বেলেখালি এলাকায়।

স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, নিকারীঘাটা পঞ্চায়েতের বেলেখালি ২১৫ নম্বর বুথ। তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি জমাদ মোল্লা।গ্রামের যুবক তথা তৃণমূল বুথ সভাপতির ভাইপো জুলফিকার মোল্লা আইএসএফ কর্মী সমর্থক বলে এলাকায় পরিচিত। বুধবার রাতে বুথ সভাপতি জমাদ মোল্লা বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় অতর্কিতে মদ্যপ অবস্থায় জুলফিকার অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করছিল। প্রতিবাদ করেন জমাদ।

অভিযোগ প্রতিবাদ করতেই জমাদ কে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করে জুলফিকার ও তার পরিবারের সদস্যরা। এমনকি বন্দুকের বাঁট দিয়ে মেরে কপাল ফাটিয়ে দেয় বলে অভিযোগ।ঘটনার পর রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা তৃণমূল বুথ সভাপতি কে উদ্ধার করে। চিকিৎসার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। ক্ষতস্থানে চারটি সেলাই হয়েছে। হয়েছে সিসি স্ক্যানও। বর্তমানে আশাঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে।

তৃণমূলের বুথ সভাপতিকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারধর করার অভিযোগ আইএসএফ এর বিরুদ্ধে

ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল বুথ সভাপতি জমাদ জানিয়েছেন, ‘গত মঙ্গলবার মদ্যপ অবস্থায় স্থানীয় একজনের সাথে মারামারী করেছে আইএসএফ কর্মী সমর্থক জুলফিকার। কখনও কখনও বিজেপিও করে। বুধবার রাতে আমি যখন বাড়িতে ফিরছিলাম তখনও মদ্যপ অবস্থায় অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করছিল। প্রতিবাদ করতেই আচমকা বন্দুকের বাঁট দিয়ে আমার কপালে আঘাত করে। আমি রক্তাক্ত অবস্থায় ওর জামার কলার ধরে ফেলি। তখনই ওর পরিবারের লোকজন আমাকে আবারও মারধর করে।

ঘটনার পর স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। ঘটনার বিষয়ে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছি।’
ঘটনা প্রসঙ্গে আইএসএফ জেলা নেতৃত্ব মেঘনাদ হালদার জানিয়েছেন, ‘নিজেদের মধ্যে মারামারী করে আইএসএফ কে দোষারোপ করছে।আইএসএফ মারামারী রাজনীতি করে না’।