২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১,৫০০ প্রাণী হত্যা: তদন্তের মুখে মাস্কের সংস্থা নিউরালিঙ্ক

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৭ ডিসেম্বর ২০২২, বুধবার
  • / 31

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ এলন মাস্কের ব্রেন কম্পিউটার ইন্টারফেস প্রতিষ্ঠান নিউরালিঙ্ক ফেডারেল তদন্তের মুখোমুখি হতে চলেছে। বেশ কয়েকদিন ধরে চলমান বিতর্কের কারণে নিউরাইলঙ্ক তার ইউটিউব চ্যানেলে প্রতিষ্ঠানটির অ্যানিমেল ফ্যাসিলিটিজের ভিডিয়ো আপলোড করেছে। নিউরালিঙ্কের বিরুদ্ধে প্রাণী-কল্যাণ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে তদন্ত করা হবে। আমেরিকার প্রাণী কল্যাণ আইনে গবেষণা ও বাণিজ্যিক পরীক্ষায় প্রাণীদের অপ্রয়োজনীয় কষ্ট দেওয়া ও হত্যা করা নিষিদ্ধ। মার্কিন ফেডারেল প্রসিকিউটররা আগেই বলেছিলেন প্রাণী কল্যাণ আইন লঙ্ঘন করে থাকতে পারে নিউরালিঙ্ক। সে সময় ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচারের ইন্সপেক্টর জেনারেল তদন্ত শুরু করেছিলেন। তদন্তে জানা যায়, প্রাণীদের ওপর বেশ কিছু ‘পরীক্ষা’ করেছিলেন গবেষকরা। তবে বেশকিছু পরীক্ষা ব্যর্থ হয় ও প্রাণীদের মৃত্যুর সংখ্যাও বৃদ্ধি পায়। জানা গিয়েছে, মাস্কের এই সংস্থা গবেষণা ও পরীক্ষার খাতিরে অন্তত ১,৫০০ পশুকে হত্যা করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ২৮০টি ভেড়া, বাঁদর, ইঁদুর ও শূকর। গবেষণার গতি বাড়াতেই মাস্কের নির্দেশে এই প্রাণীদের মারা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে নিউরালিঙ্ক জানিয়েছে, আগামী ছয় মাসের মধ্যেই মানব মস্তিষ্কে তাদের ডিভাইস স্থাপন করা হবে। কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা মাস্ক জানিয়েছেন, নিউরালিঙ্ক প্রথমবারের মতো মানবদেহে ডিভাইস বসাতে কঠোর পরিশ্রম করছে।

আরও পড়ুন: গণঅভ্যুত্থান রুখতে ১৪০০-রও বেশি খুন, ১২-১৩ শতাংশ ছিল শিশু: রাষ্ট্রসংঘ

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

১,৫০০ প্রাণী হত্যা: তদন্তের মুখে মাস্কের সংস্থা নিউরালিঙ্ক

আপডেট : ৭ ডিসেম্বর ২০২২, বুধবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ এলন মাস্কের ব্রেন কম্পিউটার ইন্টারফেস প্রতিষ্ঠান নিউরালিঙ্ক ফেডারেল তদন্তের মুখোমুখি হতে চলেছে। বেশ কয়েকদিন ধরে চলমান বিতর্কের কারণে নিউরাইলঙ্ক তার ইউটিউব চ্যানেলে প্রতিষ্ঠানটির অ্যানিমেল ফ্যাসিলিটিজের ভিডিয়ো আপলোড করেছে। নিউরালিঙ্কের বিরুদ্ধে প্রাণী-কল্যাণ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে তদন্ত করা হবে। আমেরিকার প্রাণী কল্যাণ আইনে গবেষণা ও বাণিজ্যিক পরীক্ষায় প্রাণীদের অপ্রয়োজনীয় কষ্ট দেওয়া ও হত্যা করা নিষিদ্ধ। মার্কিন ফেডারেল প্রসিকিউটররা আগেই বলেছিলেন প্রাণী কল্যাণ আইন লঙ্ঘন করে থাকতে পারে নিউরালিঙ্ক। সে সময় ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচারের ইন্সপেক্টর জেনারেল তদন্ত শুরু করেছিলেন। তদন্তে জানা যায়, প্রাণীদের ওপর বেশ কিছু ‘পরীক্ষা’ করেছিলেন গবেষকরা। তবে বেশকিছু পরীক্ষা ব্যর্থ হয় ও প্রাণীদের মৃত্যুর সংখ্যাও বৃদ্ধি পায়। জানা গিয়েছে, মাস্কের এই সংস্থা গবেষণা ও পরীক্ষার খাতিরে অন্তত ১,৫০০ পশুকে হত্যা করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ২৮০টি ভেড়া, বাঁদর, ইঁদুর ও শূকর। গবেষণার গতি বাড়াতেই মাস্কের নির্দেশে এই প্রাণীদের মারা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে নিউরালিঙ্ক জানিয়েছে, আগামী ছয় মাসের মধ্যেই মানব মস্তিষ্কে তাদের ডিভাইস স্থাপন করা হবে। কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা মাস্ক জানিয়েছেন, নিউরালিঙ্ক প্রথমবারের মতো মানবদেহে ডিভাইস বসাতে কঠোর পরিশ্রম করছে।

আরও পড়ুন: গণঅভ্যুত্থান রুখতে ১৪০০-রও বেশি খুন, ১২-১৩ শতাংশ ছিল শিশু: রাষ্ট্রসংঘ