০৬ নভেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দিল্লি পৌঁছেই হাওয়ালা যোদ্ধা বিনীতের সঙ্গে সাক্ষাৎ মমতার

সুস্মিতা
  • আপডেট : ২৬ জুলাই ২০২১, সোমবার
  • / 63

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ সোমবার চারদিনের সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজধানীর উদ্দেশে রওনা দেন। আগামী চারদিন রাজধানীতে ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। মমতার দিল্লি সফরকে কেন্দ্র করে গোটা দেশের রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে আজ তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন সাংবাদিক বিনীতকুমার। সন্ধেতে দুজনের মধ্যে প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠক হয়। তবে কী বিষয়ে বৈঠক তা এখনও জানা যায়নি। তবে রাজনৈতিক মহলের ধারণা, রাজ্যপালের জগদীপ ধনকরের হাওয়ালা মামলায় নাম নিয়েই আলোচনা হতে পারে।

বিনীতকুমারের অভিযোগ ছিল, জৈন ভাইদের উদ্ধার হওয়া ডায়েরিতে তৎকালীন ‘প্রাক্তন মন্ত্রী’ ধনকরের নামে ৫ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টি লেখা ছিল। বিনীত বলেছিলেন, ‘ধনকরের অবিলম্বে রাজ্যপাল পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া উচিত।’

অন্যদিকে হাওয়ালা মামলায় নিজের নাম নিয়ে রাজ্যপাল ধনকর জানিয়েছিলেন, ওই মামলায় তাঁর নাম থাকলেও বেকসুর খালাস পেয়েছিলেন তিনি। এরপরেই রাজ্যসভার মুখ্যসচেতক সুখেন্দ শেখর রায় প্রশ্ন তুলেছিলেন, নথিতে ধনকরের নামে ব্যাক্তিটি তাহলে কে? সেটা রাজ্যপালই জানান।’

উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালে কাশ্মীর থেকে এক হিজবুল জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।সেই জঙ্গিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, হাওয়ালার মাধ্যমেই টাকা আসত ওই জঙ্গি সংগঠনের হাতে। সেই টাকা আসত, শিল্পপতি সুরেন্দ্র কুমার জৈনের কাছ থেকে। অভিযুক্তের সেই বয়ানেই ভিত্তিতেই তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা। খোঁজ মেলে জৈনের আরও দুটি ডায়েরি।কাকে কত টাকা দিয়েছে, তা সেখানে লিখে রেখেছিলেন জৈন।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

দিল্লি পৌঁছেই হাওয়ালা যোদ্ধা বিনীতের সঙ্গে সাক্ষাৎ মমতার

আপডেট : ২৬ জুলাই ২০২১, সোমবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ সোমবার চারদিনের সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজধানীর উদ্দেশে রওনা দেন। আগামী চারদিন রাজধানীতে ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। মমতার দিল্লি সফরকে কেন্দ্র করে গোটা দেশের রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে আজ তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন সাংবাদিক বিনীতকুমার। সন্ধেতে দুজনের মধ্যে প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠক হয়। তবে কী বিষয়ে বৈঠক তা এখনও জানা যায়নি। তবে রাজনৈতিক মহলের ধারণা, রাজ্যপালের জগদীপ ধনকরের হাওয়ালা মামলায় নাম নিয়েই আলোচনা হতে পারে।

বিনীতকুমারের অভিযোগ ছিল, জৈন ভাইদের উদ্ধার হওয়া ডায়েরিতে তৎকালীন ‘প্রাক্তন মন্ত্রী’ ধনকরের নামে ৫ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টি লেখা ছিল। বিনীত বলেছিলেন, ‘ধনকরের অবিলম্বে রাজ্যপাল পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া উচিত।’

অন্যদিকে হাওয়ালা মামলায় নিজের নাম নিয়ে রাজ্যপাল ধনকর জানিয়েছিলেন, ওই মামলায় তাঁর নাম থাকলেও বেকসুর খালাস পেয়েছিলেন তিনি। এরপরেই রাজ্যসভার মুখ্যসচেতক সুখেন্দ শেখর রায় প্রশ্ন তুলেছিলেন, নথিতে ধনকরের নামে ব্যাক্তিটি তাহলে কে? সেটা রাজ্যপালই জানান।’

উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালে কাশ্মীর থেকে এক হিজবুল জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।সেই জঙ্গিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, হাওয়ালার মাধ্যমেই টাকা আসত ওই জঙ্গি সংগঠনের হাতে। সেই টাকা আসত, শিল্পপতি সুরেন্দ্র কুমার জৈনের কাছ থেকে। অভিযুক্তের সেই বয়ানেই ভিত্তিতেই তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা। খোঁজ মেলে জৈনের আরও দুটি ডায়েরি।কাকে কত টাকা দিয়েছে, তা সেখানে লিখে রেখেছিলেন জৈন।