০৯ অগাস্ট ২০২৫, শনিবার, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পার্কস্ট্রিটের রাস্তায় বসে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুভেন্দুর

মারুফা খাতুন
  • আপডেট : ৯ অগাস্ট ২০২৫, শনিবার
  • / 34

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : নবান্ন অভিযানের ঘিরে উত্তাল রণক্ষেত্রের চেহারা নিল শহরের অন্যতম ব্যস্ত এলাকা পার্ক স্ট্রিট। সকাল থেকেই বিজেপি কর্মী-সমর্থক ও বিধায়করা বিধানসভা থেকে মিছিল করে নবান্নের দিকে রওনা দেন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল, বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, অশোক দিন্দা-সহ একাধিক জনপ্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

শুভেন্দু আগেই ঘোষণা করেছিলেন, তাঁকে যেখানে আটকানো হবে, ঠিক সেখানেই তিনি রাস্তায় বসে বিক্ষোভ করতে থাকবেন। কলকাতা ও হাওড়া সিটি পুলিশের পক্ষ থেকে, ঠিক সেইমত সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে কড়া থেকে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পার্ক স্ট্রিট মোড়ে বসানো হয় একাধিক ব্যারিকেড, যাতে মিছিল নবান্নের দিকে বেশি অগ্রসর হতে না পারে।

আরও পড়ুন: মুসলিমদের আক্রমণ করলে চুপ থাকব না: আগে জাতি-পরে দল সাফ জানালেন Humayun Kabir

সর্বপ্রথম বিধানসভা চত্বরে জড়ো হয়ে পতাকাবিহীন মিছিল শুরু করেন তাঁরা। পার্ক স্ট্রিটে পৌঁছতেই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। মুহূর্তের মধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। শুভেন্দুর অভিযোগ, “নির্যাতিতার বাবা-মা ও বিজেপি বিধায়কদের মারধর করা হয়েছে, অন্তত একশো জন আহত। আমাকে পর্যন্ত মারা হয়েছে। বাংলা বনাম মমতার লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে।”

আরও পড়ুন: বাংলাকে ভাগ করবেন না: শুভেন্দুর ‘চ্যাংদোলা’ মন্তব্যে সরব মুখ্যমন্ত্রী

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মিছিলকারীরা বিভিন্ন দিক দিয়ে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন। বিকল্প পথে যাওয়ার পরিকল্পনা হলেও চারদিকে ঘেরাও থাকায় মিছিল এগোতে পারেনি। জলকামান ও টিয়ার গ্যাস ব্যবহারের প্রস্তুতিও করে রাখা হয়েছিল। ফলত, আশপাশে তীব্র যানজট তৈরি হয়। শুধু পার্ক স্ট্রিটই নয়, হাওড়া ময়দান ও সাঁতরাগাছি এলাকাতেও একইরকম উত্তেজনা দেখা দেয়।

হাওড়া ব্রিজের দুই প্রান্তে ছিল পুলিশের কড়া নজরদারি। যাতে বড় মিছিল কিছুতেই নবান্নে পৌঁছতে না পারে। বিজেপি নেতা-নেত্রীদের ঘিরে তৈরি করা হয় নিরাপত্তা বলয়। শাসক শিবিরের অভিযোগ, বিজেপি ইচ্ছাকৃত ভাবে, আইনশৃঙ্খলা ভাঙার চেষ্টা করছে।

অপরদিকে বিজেপির দাবি, রাজ্য সরকার বিরোধী কণ্ঠকে ভয় পেয়ে, তা রোধ করতে পুলিশকে ব্যবহার করছে। পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা হচ্ছে তো আবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পদক্ষেপকে সমর্থন করা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পার্কস্ট্রিটের রাস্তায় বসে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুভেন্দুর

আপডেট : ৯ অগাস্ট ২০২৫, শনিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : নবান্ন অভিযানের ঘিরে উত্তাল রণক্ষেত্রের চেহারা নিল শহরের অন্যতম ব্যস্ত এলাকা পার্ক স্ট্রিট। সকাল থেকেই বিজেপি কর্মী-সমর্থক ও বিধায়করা বিধানসভা থেকে মিছিল করে নবান্নের দিকে রওনা দেন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল, বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, অশোক দিন্দা-সহ একাধিক জনপ্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

শুভেন্দু আগেই ঘোষণা করেছিলেন, তাঁকে যেখানে আটকানো হবে, ঠিক সেখানেই তিনি রাস্তায় বসে বিক্ষোভ করতে থাকবেন। কলকাতা ও হাওড়া সিটি পুলিশের পক্ষ থেকে, ঠিক সেইমত সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে কড়া থেকে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পার্ক স্ট্রিট মোড়ে বসানো হয় একাধিক ব্যারিকেড, যাতে মিছিল নবান্নের দিকে বেশি অগ্রসর হতে না পারে।

আরও পড়ুন: মুসলিমদের আক্রমণ করলে চুপ থাকব না: আগে জাতি-পরে দল সাফ জানালেন Humayun Kabir

সর্বপ্রথম বিধানসভা চত্বরে জড়ো হয়ে পতাকাবিহীন মিছিল শুরু করেন তাঁরা। পার্ক স্ট্রিটে পৌঁছতেই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। মুহূর্তের মধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। শুভেন্দুর অভিযোগ, “নির্যাতিতার বাবা-মা ও বিজেপি বিধায়কদের মারধর করা হয়েছে, অন্তত একশো জন আহত। আমাকে পর্যন্ত মারা হয়েছে। বাংলা বনাম মমতার লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে।”

আরও পড়ুন: বাংলাকে ভাগ করবেন না: শুভেন্দুর ‘চ্যাংদোলা’ মন্তব্যে সরব মুখ্যমন্ত্রী

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মিছিলকারীরা বিভিন্ন দিক দিয়ে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন। বিকল্প পথে যাওয়ার পরিকল্পনা হলেও চারদিকে ঘেরাও থাকায় মিছিল এগোতে পারেনি। জলকামান ও টিয়ার গ্যাস ব্যবহারের প্রস্তুতিও করে রাখা হয়েছিল। ফলত, আশপাশে তীব্র যানজট তৈরি হয়। শুধু পার্ক স্ট্রিটই নয়, হাওড়া ময়দান ও সাঁতরাগাছি এলাকাতেও একইরকম উত্তেজনা দেখা দেয়।

হাওড়া ব্রিজের দুই প্রান্তে ছিল পুলিশের কড়া নজরদারি। যাতে বড় মিছিল কিছুতেই নবান্নে পৌঁছতে না পারে। বিজেপি নেতা-নেত্রীদের ঘিরে তৈরি করা হয় নিরাপত্তা বলয়। শাসক শিবিরের অভিযোগ, বিজেপি ইচ্ছাকৃত ভাবে, আইনশৃঙ্খলা ভাঙার চেষ্টা করছে।

অপরদিকে বিজেপির দাবি, রাজ্য সরকার বিরোধী কণ্ঠকে ভয় পেয়ে, তা রোধ করতে পুলিশকে ব্যবহার করছে। পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা হচ্ছে তো আবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পদক্ষেপকে সমর্থন করা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।