বিমান দুর্ঘটনার আগেই পাইলটের ‘মে’ডে কল করেন, মে ডে-র বলতে কী বোঝায়?

- আপডেট : ১২ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার
- / 622
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ট্রাফিক কন্ট্রোলকে আপাতকালীন বার্তা ‘মে’ডে কল’ পাঠিয়েছিলেন এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলট। মাত্র ৬ সেকেন্ডেই সব শেষ হয়ে যায়। আহমেদাবাদের মেঘানি নগরের বিজে মেডিক্যাল কলেজের ইউজি হস্টেলের মেসের ছাদে ভেঙে পড়ে বিমানটি।
বিমানকর্মী-সহ মোট ২৪২ জন যাত্রী বিমানে ছিলেন। বিমানের সকলেরই মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ভেঙে পড়ার আগে এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলকে বিপদবার্তা বা মে’ডে কল পাঠিয়ে ছিলেন পাইলট। পাইলটের কাছ থেকে বিপদবার্তা পেয়ে এটিসি যোগাযোগের চেষ্টা করে। তবে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়নি।
বিমান পরিষেবার পরিভাষায় মে ডে-র অর্থ ‘বিপদ সংকেত’ । ফরাসি শব্দ ‘মেইডার’ থেকে মে’ডে শব্দটির উৎপত্তি। এর অর্থ ‘আমাকে সাহায্য করুন’। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে পাইলট কোনও বিপদের আঁচ পেলে এই শব্দটি ব্যবহার করেন। দ্রুত সাহায্য চান। সাধারণত এটিসি এবং এটিসি-র আওতায় থাকা বিমানের মধ্যে রেডিও কমিউনিকেশনকে মে ডে কল বলা হয়। যা পেলে দ্রুত সাহায্যের বার্তা পাঠানো হয়।
‘মে’ডে সব সময় পরপর তিনবার উচ্চারণ করা হয়। তাহলেই এটিসি বুঝতে পারে বিমানটি কোনও বিপদে পড়েছে। বিমানের ইঞ্জিনে গোলযোগ দেখা দিলে, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে পড়লে, এমনকী বিমানের মধ্যে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে মেডিক্যাল ইমার্জেন্সি হিসাবে এই মে’ডে কল করা হয়।এরপর এটিসি জরুরি পরিষেবার মাধ্যমে সাহায্যের জন্য পদক্ষেপ করে। অন্যদিকে, পরিস্থিতি যদি তেমন গুরুতর না হয়, কিন্তু উদ্বেগের বিষয় থাকে তাহলে ‘প্যান প্যান কল’ করেন পাইলট।