শুভেন্দু, সুকান্ত, অর্জুন,দিলীপের গড়েও গোহারা বিজেপি
- আপডেট : ২ মার্চ ২০২২, বুধবার
- / 41
পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ কাঁথির ১৫ নম্বর, বালুরঘাটের ২২ এবং ভাটপাড়ার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে কি মিল রয়েছে জানেন?কোন সাধারণ জ্ঞাণের প্রশ্ন নয়, আসলে এই তিনটি ওয়ার্ড হল যথাক্রমে তিন শীর্ষ বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার এবং অর্জুন সিংয়ের ওয়ার্ড। যেখানে পরাজিত হয়েছে বিজেপি প্রার্থী।
বলা ভাল জোড়াফুলের দাপটে কার্যত হারিয়ে গিয়েছে পদ্মের জৌলুশ। চারদশক পর যেমন অধিকারী পরিবারের হাতছাড়া হয়েছে কাঁথি পুরসভা।শুভেন্দুর ওয়ার্ডেই পরাজিত হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী।
একই অবস্থা রাজ্য বিজেপি-র বর্তমান সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের ওয়ার্ডেও। সুকান্ত বালুরঘাটের নির্বাচিত সাংসদও বটে। এ বারের পুরভোট ছিল তাঁর কাছে কার্যত ‘সম্মানের লড়াই’। বুধবার ফলপ্রকাশের পর দেখা গেল, বালুরঘাট পুরসভা তো দূর অস্ত, নিজের ২২ নম্বর ওয়ার্ডেও পদ্মপ্রার্থী হাজার খানেক ভোটে হেরেছেন তৃণমূলের কাছে। অর্থাৎ, নিজের পাড়াতেও হারের মুখ দেখতে হল বিজেপি-র রাজ্য সভাপতিকে।
তবে সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থা অর্জুন সিংয়ের। ভাটপাড়া পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হন অর্জুনের ভাইপো সৌরভ। কিন্তু পুরভোটের ঠিক আগে সৌরভ এবং তাঁর তাঁর বাবা তৃণমূলে ফেরেন। এরফলে অর্জুনের মুখ পুড়েছে। বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় ওই ওয়ার্ডে জিতেছে ঘাসফুল শিবির।
মেদিনীপুরে ধুয়েমুছে সাফ বিজেপি, সেখানেও দিলীপ ঘোষের কেন্দ্রে হেরেছে বিজেপি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে আক্ষরিক অর্থেই বাংলার রাজনীতিতে যে দিল্লির “ডেলি প্যাসেঞ্জার’’ দের জায়গা নেই সেই কথাটা যেন ২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের পর ২২ এর পুরসভা নির্বাচন আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। একই সঙ্গে বাংলার মানুষ এটাও বুঝিয়ে দিলেন এই রাজ্যে বিদ্বেষ রাজনীতির কোন স্থান নেই। ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতিতে আস্থাশীল নয় এই রাজ্য।