০৪ নভেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দলের নীতিবিরুদ্ধ কাজের জন্য তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত বেবি কোলে

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৭ জুলাই ২০২৫, সোমবার
  • / 250

পুবর কলম প্রতিবেদক: দলের নীতিবিরুদ্ধ কাজের জন্য তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত বেবি কোলে। ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের শৃঙ্খলারক্ষায় জোর দিয়েছেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দল অস্বস্তিতে পড়বে এমন কোনও কথা বললে বা দলের ভাবমূর্তিতে আঘাত লাগবে এমন কোনও কাজ কেউ করলে তাঁকে শো-কজ করার নিয়ম জারি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবির, ভবানীপুরের বিধায়ক মদন মিত্র এরকম অনেকেকেই শো-কজ করা হযেছে। এমনকী শো-কজের উত্তর সন্তোষজনক না হলে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

 

আরও পড়ুন: সরকারী সাহায্য অমিল, তৃণমূলের সাহায্যে বেঁচে রয়েছেন দুর্ঘটনায় মৃত ডেলিভেরী বয়ের পরিবার

গত সপ্তাহে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরে তৃণমূল নেত্রী বেবি কোলের সিপিএম -এর প্রবীণ নেতা অনিল দাসকে প্রকাশ্য রাস্তায় জুতোপেটা করার ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ্যে আসার পরে দলকে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে। এই ঘটনায় বেবি কোলেকে প্রথমে মেদিনীপুরের সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিধায়ক সুজয় হাজরা তাঁকে শো-কজ করেন। এরপর আরও কড়া অবস্থান নিয়ে সোমবার দল থেকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করলেন তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জযপ্রকাশ মজুমদার ।

আরও পড়ুন: Trinamool Congress: যৌথ সংসদীয় কমিটি বয়কটের সিদ্ধান্ত তৃণমূলের

সোমবার তৃণমূল ভবনে জয়প্রকাশ বলেন, খড়্গপুরে একজন প্রবীণ বামপন্থী নেতার সঙ্গে বেবি কোলে যা করেছেন, তা অমার্জনীয় অপরাধ। দুর্ভাগ্যজনক হলেও ওই মহিলা তৃণমূলের সদস্য। তিনি যা করেছেন, তা অসামাজিক ও অশালীন। এসব ক্ষেত্রে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিরে টলারেন্স নীতি গ্রহণের পক্ষপাতি। সেই কারণে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতির পক্ষ থেকে খড়্গপুরের জেলা সভাপতিকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

আরও পড়ুন: নির্লজ্জভাবে ভোটারদের অধিকার কাড়তে উদ্যত কমিশন : অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

প্রবীণ বামপন্থী নেতাকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে শিরোনামে এসেছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের নেত্রী বেবি কোলে। এই ঘটনায় নিন্দায় সরব হয়েছিলেন বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম নেতা ছাড়াও সমাজের সবস্তরের মানুষ। বাম আমলে অনিল দাস ছিলেন তৃণমূলের নাম করা নেতা। ছোট থেকে বড় সকলের কাছেই পরিচিত ছিলেন ‘ভীমদা’ নামে। বর্তমানে সত্তর বছর বয়স তাঁর। বামপন্থাকে সামনে নিয়ে এখনও তিনি একটি সংগঠন চালান অনিল দাস। সেই বর্ষীয়ান নেতাকে গত সোমবার মাঝ রাস্তায় ফেলে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে বেবি কোলে এবং তাঁর দলবল। এমনকী প্রবীণ এই নেতার গায়ে নীল রং ঢেলে দেওয়া হয়।

এই ঘটনার প্রতিবাদে নাগরিক মঞ্চও প্রতিবাদ সভা করে। তবে এই ঘটনায় বেবি কোলে ক্ষমাপ্রার্থনা তো দূরস্থান, দুঃখপ্রকাশ পর্যন্ত করেননি। বরং তিনি দাবি করেন, নিজেকে বাঁচাতেই তিনি প্রকাশ্যে মারধর করেছেন ওই প্রবীণ বামপন্থী নেতাকে। তবে দলের পক্ষ থেকে এতটুকুও সমর্থন করা হয়নি। কড়া অবস্থান নিয়ে বেবি কোলেকে বহিষ্কার করা হয়েছে দল থেকে। দলের এই পদক্ষেপে প্রবীণ বামপন্থী নেতার পরিবার খুশি। তবে তাঁরা জানিয়েছেন বেবি কোলে এবং সহযোগী মহিলাদের গ্রেফতার করুক প্রশাসন।

 

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

দলের নীতিবিরুদ্ধ কাজের জন্য তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত বেবি কোলে

আপডেট : ৭ জুলাই ২০২৫, সোমবার

পুবর কলম প্রতিবেদক: দলের নীতিবিরুদ্ধ কাজের জন্য তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত বেবি কোলে। ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের শৃঙ্খলারক্ষায় জোর দিয়েছেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দল অস্বস্তিতে পড়বে এমন কোনও কথা বললে বা দলের ভাবমূর্তিতে আঘাত লাগবে এমন কোনও কাজ কেউ করলে তাঁকে শো-কজ করার নিয়ম জারি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবির, ভবানীপুরের বিধায়ক মদন মিত্র এরকম অনেকেকেই শো-কজ করা হযেছে। এমনকী শো-কজের উত্তর সন্তোষজনক না হলে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

 

আরও পড়ুন: সরকারী সাহায্য অমিল, তৃণমূলের সাহায্যে বেঁচে রয়েছেন দুর্ঘটনায় মৃত ডেলিভেরী বয়ের পরিবার

গত সপ্তাহে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরে তৃণমূল নেত্রী বেবি কোলের সিপিএম -এর প্রবীণ নেতা অনিল দাসকে প্রকাশ্য রাস্তায় জুতোপেটা করার ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ্যে আসার পরে দলকে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে। এই ঘটনায় বেবি কোলেকে প্রথমে মেদিনীপুরের সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিধায়ক সুজয় হাজরা তাঁকে শো-কজ করেন। এরপর আরও কড়া অবস্থান নিয়ে সোমবার দল থেকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করলেন তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জযপ্রকাশ মজুমদার ।

আরও পড়ুন: Trinamool Congress: যৌথ সংসদীয় কমিটি বয়কটের সিদ্ধান্ত তৃণমূলের

সোমবার তৃণমূল ভবনে জয়প্রকাশ বলেন, খড়্গপুরে একজন প্রবীণ বামপন্থী নেতার সঙ্গে বেবি কোলে যা করেছেন, তা অমার্জনীয় অপরাধ। দুর্ভাগ্যজনক হলেও ওই মহিলা তৃণমূলের সদস্য। তিনি যা করেছেন, তা অসামাজিক ও অশালীন। এসব ক্ষেত্রে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিরে টলারেন্স নীতি গ্রহণের পক্ষপাতি। সেই কারণে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতির পক্ষ থেকে খড়্গপুরের জেলা সভাপতিকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

আরও পড়ুন: নির্লজ্জভাবে ভোটারদের অধিকার কাড়তে উদ্যত কমিশন : অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

প্রবীণ বামপন্থী নেতাকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে শিরোনামে এসেছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের নেত্রী বেবি কোলে। এই ঘটনায় নিন্দায় সরব হয়েছিলেন বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম নেতা ছাড়াও সমাজের সবস্তরের মানুষ। বাম আমলে অনিল দাস ছিলেন তৃণমূলের নাম করা নেতা। ছোট থেকে বড় সকলের কাছেই পরিচিত ছিলেন ‘ভীমদা’ নামে। বর্তমানে সত্তর বছর বয়স তাঁর। বামপন্থাকে সামনে নিয়ে এখনও তিনি একটি সংগঠন চালান অনিল দাস। সেই বর্ষীয়ান নেতাকে গত সোমবার মাঝ রাস্তায় ফেলে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে বেবি কোলে এবং তাঁর দলবল। এমনকী প্রবীণ এই নেতার গায়ে নীল রং ঢেলে দেওয়া হয়।

এই ঘটনার প্রতিবাদে নাগরিক মঞ্চও প্রতিবাদ সভা করে। তবে এই ঘটনায় বেবি কোলে ক্ষমাপ্রার্থনা তো দূরস্থান, দুঃখপ্রকাশ পর্যন্ত করেননি। বরং তিনি দাবি করেন, নিজেকে বাঁচাতেই তিনি প্রকাশ্যে মারধর করেছেন ওই প্রবীণ বামপন্থী নেতাকে। তবে দলের পক্ষ থেকে এতটুকুও সমর্থন করা হয়নি। কড়া অবস্থান নিয়ে বেবি কোলেকে বহিষ্কার করা হয়েছে দল থেকে। দলের এই পদক্ষেপে প্রবীণ বামপন্থী নেতার পরিবার খুশি। তবে তাঁরা জানিয়েছেন বেবি কোলে এবং সহযোগী মহিলাদের গ্রেফতার করুক প্রশাসন।