পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: যুক্তরাজ্যের বার্ষিক প্রেস অ্যাওয়ার্ড বিজেতা হলেন কলকাতার ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক ও শিক্ষার্থী সারাহ আজিজ। গত ২২ মে যুক্তরাজ্যের বার্ষিক প্রেস অ্যাওয়ার্ডসে ‘ইয়াং জার্নালিস্ট অব দ্য ইয়ার’ ক্যাটাগরিতে দ্বিতীয় পুরস্কারে মনোনীত হয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, ২৩ বছর বয়সী আজিজ নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব জার্নালিজম বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্রী। ২০২৩ সালে কলকাতায় স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের সময় তিনি তার সাংবাদিকতা জীবন শুরু করেছিলেন। কলকাতার লরেটো কলেজে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকের ছাত্রী থাকাকালীন আজিজ আমেরিকান মাল্টিমিডিয়া সম্প্রচার নেটওয়ার্ক ভয়েস অফ আমেরিকায় বাংলাদেশে রোহিঙ্গা মুসলিম শরণার্থীদের উপর প্রতিবেদন লিখেছিলেন। এই প্রতিবেদনটিই তাকে শীর্ষ ব্রিটিশ মিডিয়া পুরষ্কার জিতিয়েছে।

দ্য গার্ডিয়ান ও দ্য টেলিগ্রাফের (ইউকে) জন্য আজিজের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের বিবেচনায় নিয়ে দ্য প্রেস অ্যাওয়ার্ডসের জন্য মনোনীত হয়েছেন। যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ সাংবাদিকতার পুরষ্কার হিসাবে পরিচিত এটি। সূত্রের খবর, ২০২৪ সালের নভেম্বরে, আজিজ দ্য টেলিগ্রাফে (ইউকে) একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলেন যাতে নয়াদিল্লিতে ভারত সরকার কর্তৃক আটক একটি রোহিঙ্গা শিশুর “রহস্যজনক” মৃত্যুর পেছনের সত্য উন্মোচিত হয়েছিল। মাল্টিমিডিয়ার প্রতিবেদনে শুধু আটক শিশুটির চিকিৎসায় অবহেলা ও নির্যাতনের বিষয়টিই উঠে আসেনি, বরং ভারতে আশ্রয়প্রার্থী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের গণহারে নির্বিচারে আটক ও নির্যাতনের বিস্তৃত প্যাটার্নও উঠে আসে।

ওই বছরই ভারতে, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের কারাগারে বন্দি নারীদের ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের গোপন কেলেঙ্কারি ফাঁস করেন আজিজ। দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত এই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে দেশটির সবচেয়ে দুর্বল নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধ ধামাচাপা দিতে কর্তৃপক্ষ যে কৌশল অবলম্বন করেছে তা উন্মোচিত হয়। আজিজ দ্য সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট, ভয়েস অফ আমেরিকা এবং দ্য গার্ডিয়ানের মতো একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে ভারত ও বাংলাদেশে রোহিঙ্গা মুসলমানদের নির্যাতন নিয়ে একাধিক প্রতিবেদন লেখেন। ২০২৫ সালে বাংলাদেশ ছাত্র বিক্ষোভ নিয়ে তার অনুসন্ধানী ব্রেকিং নিউজ রিপোর্টিং দ্য টাইমস (ইউকে) এ প্রকাশিত হয়েছিল। আজিজ ২০২৫ সালের আগস্টে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় এমএস নিয়ে স্নাতক হবেন।