২১ নভেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডিক্লারেশন ফর্ম নিয়ে আপত্তি মমতার, এনআরসি-র পথে এগোতে চাইছে কেন্দ্র সংশয় মুখ্যমন্ত্রীর

চামেলি দাস
  • আপডেট : ২৬ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 338

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক:  বছর গড়ালেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ভোটার তালিকায় স্বচ্ছতা আনতে সংশোধনের কাজ শুরু করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সেই লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজ্যেকে পাঠানো হয়েছে ‘ডিক্লারেশন ফর্ম’। এবার ‘ডিক্লারেশন ফর্ম’ নিয়ে আপত্তি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মুহূর্তে দিঘা রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার তাঁর হাতেই রথযাত্রার উদ্বোধন। রথযাত্রার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক সারেন তিনি। সেখান থেকেই ডিক্লারেশন ফর্মের কিছু নিয়ম নিয়ে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ভোটার তালিকা সংশোধন করার জন্য আমাদের কাছে কমিশন একটা ফর্ম পাঠিয়েছে। ডিক্লারেশন ফর্মের কয়েকটি বিষয়ে আমার আপত্তি আছে। কেন উল্লেখ করা হচ্ছে যে ১৯৮৭ থেকে ২০০২-এর মধ্যে যাদের জন্ম, তাদের তা লিখতে হবে ফর্মে? তার মানে কি তার আগে বা পরে যারা জন্মেছে, তাদেরটা হবে না?”

নির্বাচন কমিশনের নয়া ডিক্লারেশন ফর্ম নিয়ে এদিন সংশয় প্রকাশ করেন মমতা। তাঁর দাবি, নির্বাচন কমিশন তাঁকে ২টি চিঠি পাঠিয়েছে।  ১৮ ও ১৯ পাতার নির্দেশিকায় বাবা-মায়ের বার্থ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সবাই বার্থ সার্টিফিকেট কোথা থেকে পাবেন বলে প্রশ্ন তোলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে নিজের কথা বলতে গিয়ে মমতা বলেন, “আমিও নিজের মা-বাবার জন্মসাল জানি না।”

আরও পড়ুন: বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

ডিক্লারেশন ফর্ম নিয়ে আপত্তি মমতার, এনআরসি-র পথে এগোতে চাইছে কেন্দ্র সংশয় মুখ্যমন্ত্রীর

আরও পড়ুন: Chetla Agrani Club: চেতলা অগ্রণীর পুজো মণ্ডপে আগুন

নতুন ভোটারদের তালিকাভুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রেও বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। জন্মের প্রমাণপত্র সঠিকভাবে দাখিল করতে না পারলে ভোটার তালিকায় নাম তোলা যাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছে কমিশন। আর এখানেই আপত্তি তুলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর। কেন্দ্র এনআরসি-পথে এগোতে চাইছে বলে সংশয় প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। জনতাকে সতর্ক করে মমতা বলেছেন, “আপনারাও বিষয়টি নজরে রাখুন। ফর্মে দেখে নিন ভালো করে। আপত্তিজনক কিছু মনে হলে তা করবেন না। দরকারে সমবেত প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, কমিশনের উদ্দেশ্য ভালো নয়।”

আরও পড়ুন: অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থার পরিকল্পনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ডিক্লারেশন ফর্ম নিয়ে আপত্তি মমতার, এনআরসি-র পথে এগোতে চাইছে কেন্দ্র সংশয় মুখ্যমন্ত্রীর

আপডেট : ২৬ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক:  বছর গড়ালেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ভোটার তালিকায় স্বচ্ছতা আনতে সংশোধনের কাজ শুরু করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সেই লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজ্যেকে পাঠানো হয়েছে ‘ডিক্লারেশন ফর্ম’। এবার ‘ডিক্লারেশন ফর্ম’ নিয়ে আপত্তি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মুহূর্তে দিঘা রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার তাঁর হাতেই রথযাত্রার উদ্বোধন। রথযাত্রার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক সারেন তিনি। সেখান থেকেই ডিক্লারেশন ফর্মের কিছু নিয়ম নিয়ে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ভোটার তালিকা সংশোধন করার জন্য আমাদের কাছে কমিশন একটা ফর্ম পাঠিয়েছে। ডিক্লারেশন ফর্মের কয়েকটি বিষয়ে আমার আপত্তি আছে। কেন উল্লেখ করা হচ্ছে যে ১৯৮৭ থেকে ২০০২-এর মধ্যে যাদের জন্ম, তাদের তা লিখতে হবে ফর্মে? তার মানে কি তার আগে বা পরে যারা জন্মেছে, তাদেরটা হবে না?”

নির্বাচন কমিশনের নয়া ডিক্লারেশন ফর্ম নিয়ে এদিন সংশয় প্রকাশ করেন মমতা। তাঁর দাবি, নির্বাচন কমিশন তাঁকে ২টি চিঠি পাঠিয়েছে।  ১৮ ও ১৯ পাতার নির্দেশিকায় বাবা-মায়ের বার্থ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সবাই বার্থ সার্টিফিকেট কোথা থেকে পাবেন বলে প্রশ্ন তোলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে নিজের কথা বলতে গিয়ে মমতা বলেন, “আমিও নিজের মা-বাবার জন্মসাল জানি না।”

আরও পড়ুন: বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

ডিক্লারেশন ফর্ম নিয়ে আপত্তি মমতার, এনআরসি-র পথে এগোতে চাইছে কেন্দ্র সংশয় মুখ্যমন্ত্রীর

আরও পড়ুন: Chetla Agrani Club: চেতলা অগ্রণীর পুজো মণ্ডপে আগুন

নতুন ভোটারদের তালিকাভুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রেও বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। জন্মের প্রমাণপত্র সঠিকভাবে দাখিল করতে না পারলে ভোটার তালিকায় নাম তোলা যাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছে কমিশন। আর এখানেই আপত্তি তুলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর। কেন্দ্র এনআরসি-পথে এগোতে চাইছে বলে সংশয় প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। জনতাকে সতর্ক করে মমতা বলেছেন, “আপনারাও বিষয়টি নজরে রাখুন। ফর্মে দেখে নিন ভালো করে। আপত্তিজনক কিছু মনে হলে তা করবেন না। দরকারে সমবেত প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, কমিশনের উদ্দেশ্য ভালো নয়।”

আরও পড়ুন: অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থার পরিকল্পনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের