০২ অগাস্ট ২০২৫, শনিবার, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জি-২০ বৈঠক ঘিরে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা শ্রীনগরে, নজরদারি অ্যান্টি-ড্রোন ইউনিটের

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২২ মে ২০২৩, সোমবার
  • / 45

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  জি-২০ বৈঠক ঘিরে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার ঘেরারোপে শ্রীনগর। জি-২০ অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির তৃতীয়  তৃতীয় ট্যুরিজম ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের জন্যই নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর। এই সম্মেলন ঘিরে জঙ্গি হানার আশঙ্কায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে মেরিন কম্যান্ডো,  ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডস। আকাশপথেও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার নজরদারি চলবে। ড্রোনের গতিবিধি রুখতে চালু করা হয়েছে অ্যান্টি-ড্রোন ইউনিট। স্পর্শকাতর জায়গাগুলিতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছে। সেনা বাহিনী, বিএসএফ, সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স, সশস্ত্র সীমা বল ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের হাজার হাজার বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

শ্রীনগরে আয়োজিত জি-২০ সম্মেলনে বিভিন্ন সদস্য দেশ থেকে ৬০ জন প্রতিনিধির উপস্থিত থাকার কথা। সব মিলিয়ে ১০০ জন হাইপ্রোফাইল অতিথির সমাগম  ঘটবে।

২০১৯ সালের অগস্ট মাসে কেন্দ্রের তরফে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করার পর এই প্রথম উপত্যকায় কোনও আন্তর্জাতিক বৈঠক হতে চলেছে। এদিকে, জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের বিরোধকে ইস্যু বানিয়ে বৈঠকে যোগ দিচ্ছে না অপর প্রতিবেশী দেশ চিন।

শ্রীনগরের শের-ই-কাশ্মীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারকেই জি-২০ বৈঠকের স্থান হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে। জঙ্গি হামলা রুখতে।

পুলিশের তরফে ট্রাফিক নিয়েও নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। শ্রীনগরের বুলেভার্ড রোডে সম্পূর্ণ যানচলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যে পথ ধরে জি-২০ সদস্য দেশগুলির প্রতিনিধিরা আসবেন, সেখানেও যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। লাল চকে দোকানদারদের বিশেষ পাস দেওয়া হয়েছে দোকান খোলা রাখার জন্য।

জি-২০ এই বৈঠকের মুখ্য কো-অর্ডিনেটর হর্ষবর্ধন শ্রিংলা জানান, এবারের জি-২০ সভাপতিত্ব পেয়েছে ভারত। এখনও অবধি দেশে মোট ১৮টি জি-২০ বৈঠক হয়েছে। এরমধ্যে শ্রীনগরের বৈঠকেই সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রতিনিধিরা অংশ গ্রহণ করবেন বলে জানান তিনি। জি-২০ সম্মেলনে বিভিন্ন সদস্য দেশ থেকে ৬০ জন প্রতিনিধির উপস্থিত থাকার কথা। সব মিলিয়ে ১০০ জন হাইপ্রোফাইল অতিথির সমাগম  ঘটবে। বিশেষ অতিথি হিসাবেও বহু প্রতিনিধি  আসছেন। পর্যটন নিয়ে আয়োজিত এই বৈঠকে যোগ দিচ্ছে না চিন, তুরস্ক ও সৌদি আরব। বাকি দুই দেশের তরফে বৈঠকে যোগদান না করার কারণ সম্পর্কে কিছু জানানো না হলেও, চিনের তরফে জানানো হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর বিতর্কিত স্থান। এই স্থানে বৈঠকের তারা তীব্র বিরোধিতা করেছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

জি-২০ বৈঠক ঘিরে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা শ্রীনগরে, নজরদারি অ্যান্টি-ড্রোন ইউনিটের

আপডেট : ২২ মে ২০২৩, সোমবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  জি-২০ বৈঠক ঘিরে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার ঘেরারোপে শ্রীনগর। জি-২০ অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির তৃতীয়  তৃতীয় ট্যুরিজম ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের জন্যই নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর। এই সম্মেলন ঘিরে জঙ্গি হানার আশঙ্কায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে মেরিন কম্যান্ডো,  ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডস। আকাশপথেও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার নজরদারি চলবে। ড্রোনের গতিবিধি রুখতে চালু করা হয়েছে অ্যান্টি-ড্রোন ইউনিট। স্পর্শকাতর জায়গাগুলিতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছে। সেনা বাহিনী, বিএসএফ, সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স, সশস্ত্র সীমা বল ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের হাজার হাজার বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

শ্রীনগরে আয়োজিত জি-২০ সম্মেলনে বিভিন্ন সদস্য দেশ থেকে ৬০ জন প্রতিনিধির উপস্থিত থাকার কথা। সব মিলিয়ে ১০০ জন হাইপ্রোফাইল অতিথির সমাগম  ঘটবে।

২০১৯ সালের অগস্ট মাসে কেন্দ্রের তরফে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করার পর এই প্রথম উপত্যকায় কোনও আন্তর্জাতিক বৈঠক হতে চলেছে। এদিকে, জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের বিরোধকে ইস্যু বানিয়ে বৈঠকে যোগ দিচ্ছে না অপর প্রতিবেশী দেশ চিন।

শ্রীনগরের শের-ই-কাশ্মীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারকেই জি-২০ বৈঠকের স্থান হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে। জঙ্গি হামলা রুখতে।

পুলিশের তরফে ট্রাফিক নিয়েও নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। শ্রীনগরের বুলেভার্ড রোডে সম্পূর্ণ যানচলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যে পথ ধরে জি-২০ সদস্য দেশগুলির প্রতিনিধিরা আসবেন, সেখানেও যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। লাল চকে দোকানদারদের বিশেষ পাস দেওয়া হয়েছে দোকান খোলা রাখার জন্য।

জি-২০ এই বৈঠকের মুখ্য কো-অর্ডিনেটর হর্ষবর্ধন শ্রিংলা জানান, এবারের জি-২০ সভাপতিত্ব পেয়েছে ভারত। এখনও অবধি দেশে মোট ১৮টি জি-২০ বৈঠক হয়েছে। এরমধ্যে শ্রীনগরের বৈঠকেই সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রতিনিধিরা অংশ গ্রহণ করবেন বলে জানান তিনি। জি-২০ সম্মেলনে বিভিন্ন সদস্য দেশ থেকে ৬০ জন প্রতিনিধির উপস্থিত থাকার কথা। সব মিলিয়ে ১০০ জন হাইপ্রোফাইল অতিথির সমাগম  ঘটবে। বিশেষ অতিথি হিসাবেও বহু প্রতিনিধি  আসছেন। পর্যটন নিয়ে আয়োজিত এই বৈঠকে যোগ দিচ্ছে না চিন, তুরস্ক ও সৌদি আরব। বাকি দুই দেশের তরফে বৈঠকে যোগদান না করার কারণ সম্পর্কে কিছু জানানো না হলেও, চিনের তরফে জানানো হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর বিতর্কিত স্থান। এই স্থানে বৈঠকের তারা তীব্র বিরোধিতা করেছে।