৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, বুধবার, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভুতুড়ে বিদ‍্যুৎ বিল: ঘেরাও স্টেশন ম‍্যানেজার

  • সুস্মিতা
  • আপডেট : ২ সেপ্টেম্বর ২০২১, বৃহস্পতিবার
  • 58

দেবশ্রী মজুমদার, বীরভূম: কারো বিদ‍্যুৎ বিল এক লাখ পঁচিশ হাজার। আবার কারো বিল তেতাল্লিশ হাজার। এরা সবাই বিপিএল তালিকা ভূক্ত প্রান্তিক মানুষ। বাড়ি মুরারই এক ব্লকের মহুরাপুর অঞ্চলের বড়তলা ও কাঁটাপাহাড়ি গ্রামে। বৃহস্পতিবার তারা মুরারই বিদ‍্যুৎ বন্টন নিগমের স্টেশন আধিকারিক তপন কুমার সৌম্যণ্ডলকে ঘেরাও করেন। পরে বিভাগীয় আধিকারিকের আশ্বাসে ঘেরাও ওঠে। তিনি বলেন, পাঁচ মাস হলো এসেছি। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো। আপাতত তিন মাসের বিল এক সাথে জমা না দিয়ে চলতি মাসের বিল জমা দিতে বলেছি।
বড়তলা গ্রামের বাসিন্দা তালওয়া সোরেন বলেন, বাড়িতে তিনটি বাল্ব জ্বলে ও দুটি ফ‍্যান চলে তাতেই তিন মাসে তেতাল্লিশ হাজার বিদ‍্যুৎ বিল। সংসার চলে না। এত বিলের টাকা কোথায় পাব? তাই ঘেরাও করেছিলাম।
কাঁটাপাহাড়ির বাবু সোরেন বলেন, আমার বাড়িতে দুটো বাল্ব জলে ও দুটো ফ‍্যান ঘোরে। তিনমাসে আমার বিদ‍্যুৎ বিল এসেছে এক লক্ষ পঁচিশ হাজারের কিছু বেশী। এত টাকা কোনদিন দেখিনি।
লক ডাউনের সময় মিটার রিডিং নিতে যায় নি দফতর। তখনও আন্দাজে বিল পাঠিয়েছে। তারপর তিন মাসও এরকম ভুতুড়ে বিল চাপিয়েছে বিদ‍্যুৎ বন্টন নিগম কোম্পানি। রামপুরহাট মহকুমার শুধু মুরারই এক ব্লক নয়, রামপুরহাট এক ব্লকের বড়শাল পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকায় এই ভুতুড়ে বিলের শিকার সাধারণ মানুষ।

ট্যাগ :
সর্বধিক পাঠিত

হরিয়ানায় তরুণীকে গণধর্ষণ, চলন্ত গাড়ি থেকে রাস্তায় ছুড়ে ফেলে হল নির্যাতিতাকে

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ভুতুড়ে বিদ‍্যুৎ বিল: ঘেরাও স্টেশন ম‍্যানেজার

আপডেট : ২ সেপ্টেম্বর ২০২১, বৃহস্পতিবার

দেবশ্রী মজুমদার, বীরভূম: কারো বিদ‍্যুৎ বিল এক লাখ পঁচিশ হাজার। আবার কারো বিল তেতাল্লিশ হাজার। এরা সবাই বিপিএল তালিকা ভূক্ত প্রান্তিক মানুষ। বাড়ি মুরারই এক ব্লকের মহুরাপুর অঞ্চলের বড়তলা ও কাঁটাপাহাড়ি গ্রামে। বৃহস্পতিবার তারা মুরারই বিদ‍্যুৎ বন্টন নিগমের স্টেশন আধিকারিক তপন কুমার সৌম্যণ্ডলকে ঘেরাও করেন। পরে বিভাগীয় আধিকারিকের আশ্বাসে ঘেরাও ওঠে। তিনি বলেন, পাঁচ মাস হলো এসেছি। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো। আপাতত তিন মাসের বিল এক সাথে জমা না দিয়ে চলতি মাসের বিল জমা দিতে বলেছি।
বড়তলা গ্রামের বাসিন্দা তালওয়া সোরেন বলেন, বাড়িতে তিনটি বাল্ব জ্বলে ও দুটি ফ‍্যান চলে তাতেই তিন মাসে তেতাল্লিশ হাজার বিদ‍্যুৎ বিল। সংসার চলে না। এত বিলের টাকা কোথায় পাব? তাই ঘেরাও করেছিলাম।
কাঁটাপাহাড়ির বাবু সোরেন বলেন, আমার বাড়িতে দুটো বাল্ব জলে ও দুটো ফ‍্যান ঘোরে। তিনমাসে আমার বিদ‍্যুৎ বিল এসেছে এক লক্ষ পঁচিশ হাজারের কিছু বেশী। এত টাকা কোনদিন দেখিনি।
লক ডাউনের সময় মিটার রিডিং নিতে যায় নি দফতর। তখনও আন্দাজে বিল পাঠিয়েছে। তারপর তিন মাসও এরকম ভুতুড়ে বিল চাপিয়েছে বিদ‍্যুৎ বন্টন নিগম কোম্পানি। রামপুরহাট মহকুমার শুধু মুরারই এক ব্লক নয়, রামপুরহাট এক ব্লকের বড়শাল পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকায় এই ভুতুড়ে বিলের শিকার সাধারণ মানুষ।