১৮ জুন ২০২৫, বুধবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পেরুর রুক্ষ মরুতে সফল চাষ। জমি উর্বর করছে ৬০ লক্ষ মুরগি

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০২১, বৃহস্পতিবার
  • / 19

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ পেরুর চিনচা আলতা  এলাকা অত্যন্ত শুষ্ক ও রুক্ষ। বৃষ্টিপাত নেই– তাই চাষবাসের জন্য অনুপযুক্ত। এত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও সেখানে সবুজ জমি গড়ে উঠেছে। প্রায় ৩০ বর্গ কিলোমিটার জুডে কমলালেবুর গাছ শোভা পাচ্ছে। তবে এই সাফল্যের  পেছনে রয়েছে মুরগি ও মুরগির মালিকের উদ্ভাবনী শক্তি। এই মুরগির আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

ডিমের কারণে নয়– বরং মালিক হিসেবে বাস্কো মাসিয়াসের সাহায্যে এই প্রাণীগুলি আশ্চর্যজনকভাবে মরুভূমির রুপান্তর ঘটাচ্ছে। গ্রপো আলিমেন্তা গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা   হিসেবে বাস্কো বলেন– ‘‘আমরা বেশ কয়েক বছর ধরে মরুভূমিতে চাষবাস করছি। লোকে প্রথমে আমাদের  পাগল  ভেবেছিল– কারণ সাধারণত মানুষ উর্বর জমিতেই চাষাবাদ করে। অথচ আজ আমরা মরুভূমিতেই রেকর্ড পরিমাণ কমলালেবু ফলাচ্ছি।

আরও পড়ুন: পেরুতে চার মাসে ৩,৪০০ নারী নিখোঁজ

’’ মরুভূমির মাটি উর্বর করে তুলতে তার মুরগির প্রয়োজন হয়। প্রায় ৬০ লক্ষ মুরগি সেই কাজ করছে। প্রথমদিকে বাস্কো মাসিয়াস শুধু মুরগির ডিম বিক্রি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বিপুল পরিমাণ মুরগির বিষ্ঠা নিয়ে তিনি বিপাকে পড়েন। এখন তিনি সেই বিষ্ঠাকে সারে রুপান্তরিত করে কাজে লাগাচ্ছেন। মুরগির  খোরাকের অবশিষ্ট অংশও সেই সারে ব্যবহার করা  হয়।

আরও পড়ুন: প্রেমের টানে পেরুতে গিয়ে খুন মেক্সিকান নারী, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বেচে দিল প্রেমিক

বাস্কো মাসিয়াস বলেন– ‘এটাই ভুট্টার অবশিষ্ট অংশ। আগে আমরা এগুলি পুড়িয়ে ফেলতাম বা ফেলে দিতাম। এখন আমরা সেটা ঝলসে উদ্ভিদভিত্তিক সারের উপাদান বানাতে শিখেছি। সারের  মৌলিক উপাদান  হিসেবেও সেটি ব্যবহার করা হচ্ছে।’ ভাস্কো মাসিয়াস বহু শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্য অনুযায়ী বিশেষ প্রক্রিয়ায় ভুট্টার মোচা ঝলসে নেন। ফলে অনেক পুষ্টি অক্ষত  থাকে। গাছ পরে ধীরে ধীরে সেই পুষ্টি শুষে নিতে পারে। পোড়া ভুট্টা– মুরগির বিষ্ঠা ও কয়েকটি অন্য উপাদান  দিয়ে মরুভূমিতে চাষের জন্য সার তৈরি হয়। বাস্কো তার কিছু অংশ বিক্রি করেন– বাকিটা কমলালেবু গাছের গোড়ায় দিয়ে দেন। এই গোটা প্রক্রিয়াকেই  বৃত্তাকার অর্থনীতি বলা হয়। বাস্কো বলেন– ‘বৃত্তাকার অর্থনীতির মাধ্যমে আমরা সবকিছুর মধ্যে দক্ষতা আনতে পারি। ঘটনা হল এর কোনওটাই নতুন নয়– প্রকৃতি এভাবেই কাজ করে।’

আরও পড়ুন: পেরুতে ১২০০ বছর আগের মমি উদ্ধার !

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পেরুর রুক্ষ মরুতে সফল চাষ। জমি উর্বর করছে ৬০ লক্ষ মুরগি

আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০২১, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ পেরুর চিনচা আলতা  এলাকা অত্যন্ত শুষ্ক ও রুক্ষ। বৃষ্টিপাত নেই– তাই চাষবাসের জন্য অনুপযুক্ত। এত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও সেখানে সবুজ জমি গড়ে উঠেছে। প্রায় ৩০ বর্গ কিলোমিটার জুডে কমলালেবুর গাছ শোভা পাচ্ছে। তবে এই সাফল্যের  পেছনে রয়েছে মুরগি ও মুরগির মালিকের উদ্ভাবনী শক্তি। এই মুরগির আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

ডিমের কারণে নয়– বরং মালিক হিসেবে বাস্কো মাসিয়াসের সাহায্যে এই প্রাণীগুলি আশ্চর্যজনকভাবে মরুভূমির রুপান্তর ঘটাচ্ছে। গ্রপো আলিমেন্তা গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা   হিসেবে বাস্কো বলেন– ‘‘আমরা বেশ কয়েক বছর ধরে মরুভূমিতে চাষবাস করছি। লোকে প্রথমে আমাদের  পাগল  ভেবেছিল– কারণ সাধারণত মানুষ উর্বর জমিতেই চাষাবাদ করে। অথচ আজ আমরা মরুভূমিতেই রেকর্ড পরিমাণ কমলালেবু ফলাচ্ছি।

আরও পড়ুন: পেরুতে চার মাসে ৩,৪০০ নারী নিখোঁজ

’’ মরুভূমির মাটি উর্বর করে তুলতে তার মুরগির প্রয়োজন হয়। প্রায় ৬০ লক্ষ মুরগি সেই কাজ করছে। প্রথমদিকে বাস্কো মাসিয়াস শুধু মুরগির ডিম বিক্রি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বিপুল পরিমাণ মুরগির বিষ্ঠা নিয়ে তিনি বিপাকে পড়েন। এখন তিনি সেই বিষ্ঠাকে সারে রুপান্তরিত করে কাজে লাগাচ্ছেন। মুরগির  খোরাকের অবশিষ্ট অংশও সেই সারে ব্যবহার করা  হয়।

আরও পড়ুন: প্রেমের টানে পেরুতে গিয়ে খুন মেক্সিকান নারী, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বেচে দিল প্রেমিক

বাস্কো মাসিয়াস বলেন– ‘এটাই ভুট্টার অবশিষ্ট অংশ। আগে আমরা এগুলি পুড়িয়ে ফেলতাম বা ফেলে দিতাম। এখন আমরা সেটা ঝলসে উদ্ভিদভিত্তিক সারের উপাদান বানাতে শিখেছি। সারের  মৌলিক উপাদান  হিসেবেও সেটি ব্যবহার করা হচ্ছে।’ ভাস্কো মাসিয়াস বহু শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্য অনুযায়ী বিশেষ প্রক্রিয়ায় ভুট্টার মোচা ঝলসে নেন। ফলে অনেক পুষ্টি অক্ষত  থাকে। গাছ পরে ধীরে ধীরে সেই পুষ্টি শুষে নিতে পারে। পোড়া ভুট্টা– মুরগির বিষ্ঠা ও কয়েকটি অন্য উপাদান  দিয়ে মরুভূমিতে চাষের জন্য সার তৈরি হয়। বাস্কো তার কিছু অংশ বিক্রি করেন– বাকিটা কমলালেবু গাছের গোড়ায় দিয়ে দেন। এই গোটা প্রক্রিয়াকেই  বৃত্তাকার অর্থনীতি বলা হয়। বাস্কো বলেন– ‘বৃত্তাকার অর্থনীতির মাধ্যমে আমরা সবকিছুর মধ্যে দক্ষতা আনতে পারি। ঘটনা হল এর কোনওটাই নতুন নয়– প্রকৃতি এভাবেই কাজ করে।’

আরও পড়ুন: পেরুতে ১২০০ বছর আগের মমি উদ্ধার !