০৩ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাওড়ার বেসরকারি স্কুলে হঠাৎই হাজির রাজ্যপাল, সময় কাটালেন শিক্ষক থেকে পড়ুয়াদের সঙ্গে

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২৪, শনিবার
  • / 13

আইভি আদক, হাওড়া:  হাওড়ার বেসরকারি স্কুলে হঠাৎই হাজির রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ। পড়ুয়া, অভিভাবক ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে কাটালেন বেশ কিছুটা সময়। রাজ্যপাল বলেন, বাংলার ছাত্রছাত্রীরা আমাকে উদ্বুদ্ধ করছে। আমাকে সাহস জোগাচ্ছে। ওরাই দেশের ভবিষ্যৎ। শনিবার মধ্য হাওড়ার ওই বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে আচমকাই পরিদর্শনে আসেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তিনি বলেন, রাজ্যকে আমি নতুনভাবে আবিষ্কার করছি। এই জন্য আমি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠানগুলি পরিদর্শন করছি। সেরকমই এদিন এই স্কুলে আসেন রাজ্যপাল। স্কুলের পড়ুয়া, অভিভাবক ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে আলাপচারিতায় মেতে ওঠেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, পড়ুয়ারা প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হলে সেটাই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সবথেকে বড় পাওনা। এখানে পড়ুয়াদের প্রকৃত শিক্ষালাভ হচ্ছে।

শনিবার সকালে হঠাৎই রামকৃষ্ণপুর ঘাটে এসে পৌঁছান রাজ্যপাল। সেখানে কনভয় থেকে নেমে দাঁড়িয়ে থাকা টোটো চালকদের স্কুলের বিষয়ে খোঁজ নেন। তারপর একটি টোটোয় উঠে সটান পৌঁছে যান বেসরকারি ওই ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে। পিছনে আরও দুটি টোটোতে তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা আসেন। স্কুলে প্রায় ৪৫ মিনিট মতো সময় কাটিয়ে ফিরে যান রাজ্যপাল। তাঁকে পড়ুয়া, অভিভাবক ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে সাবলীলভাবে মিশে যেতে দেখে বেজায় খুশি সকলেই।

এ বিষয়ে স্কুলের প্রিন্সিপাল জানান, রাজ্যপাল আমাদের স্কুলে আসছেন বলে জানতাম না। তিনি এদিন আচমকাই স্কুলে আসেন। উনি আমাদের অনুরোধ করেন যেন আমরা রাজভবনে গিয়ে সেলফ ডিফেন্সের ক্লাস নিই।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

হাওড়ার বেসরকারি স্কুলে হঠাৎই হাজির রাজ্যপাল, সময় কাটালেন শিক্ষক থেকে পড়ুয়াদের সঙ্গে

আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২৪, শনিবার

আইভি আদক, হাওড়া:  হাওড়ার বেসরকারি স্কুলে হঠাৎই হাজির রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ। পড়ুয়া, অভিভাবক ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে কাটালেন বেশ কিছুটা সময়। রাজ্যপাল বলেন, বাংলার ছাত্রছাত্রীরা আমাকে উদ্বুদ্ধ করছে। আমাকে সাহস জোগাচ্ছে। ওরাই দেশের ভবিষ্যৎ। শনিবার মধ্য হাওড়ার ওই বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে আচমকাই পরিদর্শনে আসেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তিনি বলেন, রাজ্যকে আমি নতুনভাবে আবিষ্কার করছি। এই জন্য আমি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠানগুলি পরিদর্শন করছি। সেরকমই এদিন এই স্কুলে আসেন রাজ্যপাল। স্কুলের পড়ুয়া, অভিভাবক ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে আলাপচারিতায় মেতে ওঠেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, পড়ুয়ারা প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হলে সেটাই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সবথেকে বড় পাওনা। এখানে পড়ুয়াদের প্রকৃত শিক্ষালাভ হচ্ছে।

শনিবার সকালে হঠাৎই রামকৃষ্ণপুর ঘাটে এসে পৌঁছান রাজ্যপাল। সেখানে কনভয় থেকে নেমে দাঁড়িয়ে থাকা টোটো চালকদের স্কুলের বিষয়ে খোঁজ নেন। তারপর একটি টোটোয় উঠে সটান পৌঁছে যান বেসরকারি ওই ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে। পিছনে আরও দুটি টোটোতে তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা আসেন। স্কুলে প্রায় ৪৫ মিনিট মতো সময় কাটিয়ে ফিরে যান রাজ্যপাল। তাঁকে পড়ুয়া, অভিভাবক ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে সাবলীলভাবে মিশে যেতে দেখে বেজায় খুশি সকলেই।

এ বিষয়ে স্কুলের প্রিন্সিপাল জানান, রাজ্যপাল আমাদের স্কুলে আসছেন বলে জানতাম না। তিনি এদিন আচমকাই স্কুলে আসেন। উনি আমাদের অনুরোধ করেন যেন আমরা রাজভবনে গিয়ে সেলফ ডিফেন্সের ক্লাস নিই।