২০ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বারুইপুরে প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রীর মুখে কবিগুরুর কবিতা, বাংলায় ভাষায় উচ্চারণ বিভ্রাটে ক্ষমা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৮ মে ২০২৪, মঙ্গলবার
  • / 28

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,বারুইপুর : ‘মোদির মুখে ফের রবি ঠাকুরের কবিতা’, কবিগুরুর ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ বলতে গিয়ে নিজের বাংলা উচ্চারণ নিয়ে বারুইপুরের ভরা জনসভায় ক্ষমাও চাইলেন প্রধানমন্ত্রী।বহু বার রবি ঠাকুরের কবিতা পাঠ করতে দেখা গিয়েছে মোদিকে।ভোটের বাংলায় মঙ্গলবার বিকালে আরও একবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে স্মরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর তার পর পরই মো্দির বাংলা উচ্চারণ নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূলের নেতা নেত্রীরা।

যা এই পর্বে নতুন মাত্রা যোগ করল বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ। মঙ্গলবার যাদবপুর এবং কলকাতা দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে বারুইপুরে সভা ছিল প্রধান মন্ত্রীর। এই সভাতেই বাংলার কথা বলতে গিয়ে কবিগুরুর প্রসঙ্গ টানেন মোদি। বলেন, ‘রবি ঠাকুরের পঙক্তি।বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার ফল, পূণ্য হোক পূণ্য হোক হে ভগবান।’ এরপরই খানিকটা গলা নামিয়ে মোদী বলেন, ‘আমার উচ্চারণ দোষের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।’

বারুইপুরে প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রীর মুখে কবিগুরুর কবিতা, বাংলায় ভাষায় উচ্চারণ বিভ্রাটে ক্ষমা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে বহু বক্তৃতায় মোদীর কণ্ঠে উঠে এসছিল রবি ঠাকুরের প্রসঙ্গ।সেই সময় বিশ্বভারতীর শতবর্ষ উদযাপন হোক, কিংবা ‘মন কী বাত’, সর্বত্রই কবিগুরুর প্রসঙ্গ উত্থাপন করতেন মোদী। শুধু কী তাই, সেই সময় মোদিরর দাড়ি-বেশভূষা নিয়েও আলোচিত হয়েছিল। রবি ঠাকুরের বিভিন্ন গান-কবিতার লাইন যেভাবে উচ্চারণ করতেন একজন অবাঙালি প্রধানমন্ত্রী, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচিতও হয়েছিল।

এমনকি, মোদির বাংলা উচ্চারণ নিয়ে কটাক্ষ করতে পিছপা হয়নি জোড়াফুল শিবির। এবার নিজের উচ্চারণের জন্য যেভাবে মোদী প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন,তা আলাদা নজর কাড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে। আবার ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ রাজ্য সঙ্গীত হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, নতুন করে যাতে ‘উচ্চারণ-বিভ্রাট’ নিয়ে কোনও বিতর্ক না হয়, তার জন্যই মোদীর এহেন ক্ষমাপ্রার্থনা।এদিন ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ বলতে গিয়ে মোদী বলেন, ‘এই লাইনগুলিত বাংলার মাহাত্ম্যের দর্শন রয়েছে। দুর্ভাগ্য যে, সিপিএম এবং তৃণমূলের রাজনীতি বাংলাকে বরবাদ করে দিয়েছে। দল ২টো। তবে দোকান একটাই।এদিন তিনি যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থী ড: অনিবার্ণ গাঙ্গুলী ও কলকাতা দক্ষিনের বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরীকে জেতানোর আহবান জানালেন। ভীড় ঠাসা দর্শকদের কুর্নিশ করেন এদিন মোদি।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বারুইপুরে প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রীর মুখে কবিগুরুর কবিতা, বাংলায় ভাষায় উচ্চারণ বিভ্রাটে ক্ষমা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেট : ২৮ মে ২০২৪, মঙ্গলবার

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,বারুইপুর : ‘মোদির মুখে ফের রবি ঠাকুরের কবিতা’, কবিগুরুর ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ বলতে গিয়ে নিজের বাংলা উচ্চারণ নিয়ে বারুইপুরের ভরা জনসভায় ক্ষমাও চাইলেন প্রধানমন্ত্রী।বহু বার রবি ঠাকুরের কবিতা পাঠ করতে দেখা গিয়েছে মোদিকে।ভোটের বাংলায় মঙ্গলবার বিকালে আরও একবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে স্মরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর তার পর পরই মো্দির বাংলা উচ্চারণ নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূলের নেতা নেত্রীরা।

যা এই পর্বে নতুন মাত্রা যোগ করল বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ। মঙ্গলবার যাদবপুর এবং কলকাতা দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে বারুইপুরে সভা ছিল প্রধান মন্ত্রীর। এই সভাতেই বাংলার কথা বলতে গিয়ে কবিগুরুর প্রসঙ্গ টানেন মোদি। বলেন, ‘রবি ঠাকুরের পঙক্তি।বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার ফল, পূণ্য হোক পূণ্য হোক হে ভগবান।’ এরপরই খানিকটা গলা নামিয়ে মোদী বলেন, ‘আমার উচ্চারণ দোষের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।’

বারুইপুরে প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রীর মুখে কবিগুরুর কবিতা, বাংলায় ভাষায় উচ্চারণ বিভ্রাটে ক্ষমা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে বহু বক্তৃতায় মোদীর কণ্ঠে উঠে এসছিল রবি ঠাকুরের প্রসঙ্গ।সেই সময় বিশ্বভারতীর শতবর্ষ উদযাপন হোক, কিংবা ‘মন কী বাত’, সর্বত্রই কবিগুরুর প্রসঙ্গ উত্থাপন করতেন মোদী। শুধু কী তাই, সেই সময় মোদিরর দাড়ি-বেশভূষা নিয়েও আলোচিত হয়েছিল। রবি ঠাকুরের বিভিন্ন গান-কবিতার লাইন যেভাবে উচ্চারণ করতেন একজন অবাঙালি প্রধানমন্ত্রী, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচিতও হয়েছিল।

এমনকি, মোদির বাংলা উচ্চারণ নিয়ে কটাক্ষ করতে পিছপা হয়নি জোড়াফুল শিবির। এবার নিজের উচ্চারণের জন্য যেভাবে মোদী প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন,তা আলাদা নজর কাড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে। আবার ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ রাজ্য সঙ্গীত হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, নতুন করে যাতে ‘উচ্চারণ-বিভ্রাট’ নিয়ে কোনও বিতর্ক না হয়, তার জন্যই মোদীর এহেন ক্ষমাপ্রার্থনা।এদিন ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ বলতে গিয়ে মোদী বলেন, ‘এই লাইনগুলিত বাংলার মাহাত্ম্যের দর্শন রয়েছে। দুর্ভাগ্য যে, সিপিএম এবং তৃণমূলের রাজনীতি বাংলাকে বরবাদ করে দিয়েছে। দল ২টো। তবে দোকান একটাই।এদিন তিনি যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থী ড: অনিবার্ণ গাঙ্গুলী ও কলকাতা দক্ষিনের বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরীকে জেতানোর আহবান জানালেন। ভীড় ঠাসা দর্শকদের কুর্নিশ করেন এদিন মোদি।