ভারতকে শুল্ক-শাস্তি ,পাকিস্তানকে প্রেম: জয়রাম রমেশ
মোদি-ট্রাম্পের ‘ব্রোম্যান্সে’ ছেদ, ‘শুল্ক- শাস্তি’তে খোঁচা কংগ্রেসের

- আপডেট : ৮ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার
- / 34
পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: ‘দোস্ত দোস্ত না রাহা’! ট্রাম্প ত্রিশূলে ( শুল্ক – শাস্তি) বিদ্ধ মোদি। আব কি বার ট্রাম্প সরকারের প্রচারের কি তাহলে এই প্রতিদান? ফের শুল্ক ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ট্রাম্পের ‘বন্ধুত্ব’কে খোঁচা দিল কংগ্রেস। বলা বাহুল্য, ‘হাউডি মোদি’ ও ‘নমস্তে ট্রাম্প’ ইভেন্টের মাধ্যমে দুই নেতার কূটনৈতিক বন্ধুত্ব একসময় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি ভিন্ন । একসময়ের ব্রোমান্স এখন গলার কাঁটার ন্যায় বিঁধছে মোদি সরকারের।
এদিন প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, মোদি মুখে যতই ট্রাম্পের সঙ্গে বন্ধুত্বের বুলি আওড়াক, বাস্তবতা ভিন্ন। একদিকে শুল্কবাণে ভারতের সঙ্গে দুয়োরানীর ন্যায় আচরণ করছে আমেরিকা, অন্যদিকে ক্রমশই পাক সেনাপ্রধান মুনিরের ঘনিষ্ঠতা বেড়েই চলেছে ট্রাম্পের। পহলগামে জঙ্গিহানা ও অপারেশন সিঁদুরের পর গত ১৮ জুন মুনির প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজের বৈঠকে ছিলেন। তারপর ফের সেদেশে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছেন পাকিস্তানের ফিল্ড মার্শাল।
রমেশ আরও বলেন, মুনিরের এক উসকানিমূলক কথাতেই ২২ এপ্রিল পহলগামে জঙ্গিহানা হয়েছিল। সেই লোকটিই ইদানীং আমেরিকার কাছের মানুষ হয়ে উঠেছেন। এত সব কাণ্ডের মতো মোদি যে বারবার দাবি করে থাকেন, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত বন্ধুত্ব রয়েছে। তা আর ধোপে টিকছে না। সব কিছু প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “মোদি একসময় দাবি করেছিলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাঁর বিশেষ বন্ধু। তাঁদের সম্পর্ক অনেক দিনের। এর ফলাফল কী হল? দিন শেষে ট্রাম্পের এই বন্ধুত্ব খুবই ব্যয়বহুল প্রমাণিত হল।
প্রসঙ্গত, ভারত – আমেরিকার শুল্ক – যুদ্ধ আবহে ফের সেদেশে যাচ্ছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির। দুমাসের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ট্রাম্পের দেশে পা রাখবেন তিনি । জানা গেছে, আগস্টের শেষেই অবসরগ্রহণ করছেন মার্কিন সেনাবাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ডের কমান্ডার জেনারেল মাইকেল কুরিল্লা। মূলত ওই সেনা আধিকারিকের বিদায় সম্বর্ধনা জানাতে সেদেশে উপস্থিত থাকবেন মুনির। এর আগে কুরিল্লা সন্ত্রাসবাদ দমনে পাকিস্তানের প্রশংসা করেছিলেন। বলেছিলেন, বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ দমনে পাকিস্তান গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী।