২৭ নভেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তুরস্কের এই মহিলা বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা, রেকর্ড গিনেস বুকে

মাসুদ আলি
  • আপডেট : ১৯ অক্টোবর ২০২১, মঙ্গলবার
  • / 60

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : বিশ্বের সবথেকে লম্বা মহিলা হিসেবে গিনেস বুকে রেকর্ড গড়লেন তুরস্কের ২৪ বছর বয়সী রুমেইশা গেলগি। তার উচ্চতা ২১৫ দশমিক ১৬ সেন্টিমিটার বা সাত ফুট সাত ইঞ্চি।২০১৪ সালে রুমেইশার বয়স যখন ১৮, তখনও বিশ্বের সব চেয়ে লম্বা মেয়ে হিসেবে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে তার নাম উঠে আসে। এখনও সে রেকর্ড ভাঙেনি কেউ।

জন্মের পর থেকেই ‘উইভার সিন্ড্রোম’ নামে বিরল রোগে আক্রান্ত রুমেইশা। ‘উইভার সিন্ড্রোম’ এক ধরনের জিনগত রোগ। এই রোগের কারণে অস্বাভাবিক হারে বাড়তে থাকেন রোগাক্রান্ত ব্যক্তি। এই রোগের কারণে রুমেইশাকে সবসময় হুইলচেয়ারে কাটাতে হয়। ওয়াকার ব্যবহার করে অল্প সময়ের জন্য হাঁটাহাঁটি করতে পারেন তিনি।প্রসঙ্গত, বিশ্বের সব চেয়ে লম্বা পুরুষও তুরস্কের বাসিন্দা। নাম সুলতান কোসেন। সুলতানের উচ্চতা ৮ ফুট ২.৮ ইঞ্চি।

আরও পড়ুন: বয়স ১২০, বিশ্বের বয়স্ক মহিলার তালিকায় মাল্লাপুরমের কুনহেত্তুম্মা

গিনেস কর্তৃপক্ষের মত, এটি একটি ‘বিরল ঘটনা’।এর আগে এমন হয়েছিল ২০০৯ সালে। চীনের বাও জিশুন ২৩৬ সেন্টিমিটার বা ৭ ফুট ৮ দশমিক ৯৫ ইঞ্চি উচ্চতা নিয়ে এবং ইয়াও ডিফেন ২৩৩ দশমিক ৩ সেন্টিমিটার বা ৭ ফুট ৭ দশমিক ৮৫ ইঞ্চি উচ্চতা নিয়ে রেকর্ড  করেছিলেন। ইয়াও ডিফেনকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে লম্বা নারীর রেকর্ডের মালিক এখন গেলগি।

আরও পড়ুন: চার মাস আগে জন্মে প্রিম্যাচিউর শিশু জায়গা করে নিল গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে

সবচেয়ে লম্বা নারী হিসেবে রেকর্ডভুক্ত হয়েছিলেন চিনের হুনান প্রদেশের জেং জিনলিয়ান। ১৯৮২ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি মারা যান। তখন তাঁর উচ্চতা ছিল ২৪৬ দশমিক ৩ সেন্টিমিটার বা ৮ ফুট, ১ ইঞ্চি।

২০১৪ সালে প্রথম রেকর্ড করা রুমেইশার জন্য এই স্বীকৃতি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যারা এ ধরনের বিরল রোগে আক্রান্ত তাদের অনুপ্রাণিত করছে তার এই স্বীকৃতি। তিনি বলেন, একথা ঠিক যে, রাস্তায় বের হওয়ার সময় তার উচ্চতা সাধারণ মানুষকে কৌতূহলী করে তোলে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

তুরস্কের এই মহিলা বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা, রেকর্ড গিনেস বুকে

আপডেট : ১৯ অক্টোবর ২০২১, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : বিশ্বের সবথেকে লম্বা মহিলা হিসেবে গিনেস বুকে রেকর্ড গড়লেন তুরস্কের ২৪ বছর বয়সী রুমেইশা গেলগি। তার উচ্চতা ২১৫ দশমিক ১৬ সেন্টিমিটার বা সাত ফুট সাত ইঞ্চি।২০১৪ সালে রুমেইশার বয়স যখন ১৮, তখনও বিশ্বের সব চেয়ে লম্বা মেয়ে হিসেবে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে তার নাম উঠে আসে। এখনও সে রেকর্ড ভাঙেনি কেউ।

জন্মের পর থেকেই ‘উইভার সিন্ড্রোম’ নামে বিরল রোগে আক্রান্ত রুমেইশা। ‘উইভার সিন্ড্রোম’ এক ধরনের জিনগত রোগ। এই রোগের কারণে অস্বাভাবিক হারে বাড়তে থাকেন রোগাক্রান্ত ব্যক্তি। এই রোগের কারণে রুমেইশাকে সবসময় হুইলচেয়ারে কাটাতে হয়। ওয়াকার ব্যবহার করে অল্প সময়ের জন্য হাঁটাহাঁটি করতে পারেন তিনি।প্রসঙ্গত, বিশ্বের সব চেয়ে লম্বা পুরুষও তুরস্কের বাসিন্দা। নাম সুলতান কোসেন। সুলতানের উচ্চতা ৮ ফুট ২.৮ ইঞ্চি।

আরও পড়ুন: বয়স ১২০, বিশ্বের বয়স্ক মহিলার তালিকায় মাল্লাপুরমের কুনহেত্তুম্মা

গিনেস কর্তৃপক্ষের মত, এটি একটি ‘বিরল ঘটনা’।এর আগে এমন হয়েছিল ২০০৯ সালে। চীনের বাও জিশুন ২৩৬ সেন্টিমিটার বা ৭ ফুট ৮ দশমিক ৯৫ ইঞ্চি উচ্চতা নিয়ে এবং ইয়াও ডিফেন ২৩৩ দশমিক ৩ সেন্টিমিটার বা ৭ ফুট ৭ দশমিক ৮৫ ইঞ্চি উচ্চতা নিয়ে রেকর্ড  করেছিলেন। ইয়াও ডিফেনকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে লম্বা নারীর রেকর্ডের মালিক এখন গেলগি।

আরও পড়ুন: চার মাস আগে জন্মে প্রিম্যাচিউর শিশু জায়গা করে নিল গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে

সবচেয়ে লম্বা নারী হিসেবে রেকর্ডভুক্ত হয়েছিলেন চিনের হুনান প্রদেশের জেং জিনলিয়ান। ১৯৮২ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি মারা যান। তখন তাঁর উচ্চতা ছিল ২৪৬ দশমিক ৩ সেন্টিমিটার বা ৮ ফুট, ১ ইঞ্চি।

২০১৪ সালে প্রথম রেকর্ড করা রুমেইশার জন্য এই স্বীকৃতি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যারা এ ধরনের বিরল রোগে আক্রান্ত তাদের অনুপ্রাণিত করছে তার এই স্বীকৃতি। তিনি বলেন, একথা ঠিক যে, রাস্তায় বের হওয়ার সময় তার উচ্চতা সাধারণ মানুষকে কৌতূহলী করে তোলে।